Monday, April 9, 2018

কোন ধর্মটি সবচেয়ে প্রাচীন?

 বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মে বিশেষ করে হিন্দুদের মধ্যে ভুল ধারনা রয়েছে। তারা ভাবে হিন্দু ধর্ম সবথেকে প্রাচীন ধর্ম। তারা বলে যেহেতু হিন্দু ধর্ম ইসলাম, খ্রিষ্টান ও ইহুদি ধর্মের আগে এসেছে তাই হিন্দু ধর্মই একমাত্র সত্য ধর্ম এবং বাকি সব ধর্ম হিন্দু ধর্ম হতে সৃষ্টি ইত্যাদি ইত্যাদি। এজন্য এই বিষয়টিরই একটি কেস স্টাডি করা হবে।
 প্রথমেই বলি, কোন ধর্মকে অবস্থান কালের ভিত্তিতে সত্য ধরতে হয় তবে সেই ধর্মকে শুধু প্রাচীন হলে হবে না বরং সবথেকে প্রাচীন হতে হবে, অর্থাৎ সেটি প্রথম মানবের সময় হতে সৃষ্ট হতে হবে। যদি তা না হয় তবে সে ধর্ম ভুল। কারন ঈশ্বর যদি ধর্ম সৃষ্টি করেন তবে তা সব মানুষের জন্য করবেন, কোন একদলকে বাদ রেখে পরের প্রজন্মের জন্য করবেন না। যদি কোণ ধর্মকে সত্য হতে হয় তবে সেটাকে প্রথম প্রজন্মের মানুষের হাত ধরেই চলে আসতে হবে। হিন্দুরা অনলাইনে যুক্তি দিতে প্রথম যে কাজ করে তা হচ্ছে উইকিপিডিয়া থেকে কপি করে হিন্দু ধর্মের বয়স দেখায় যে এটা সবথেকে প্রাচীন, আর সবথেকে বড় বাশ এখানেই খায়, কারন উইকপিডিয়াতে হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে প্রাচীন কিতাব ঋগবেদ এর বয়স দেয়া আছে 1200-1500 BC
https://en.wikipedia.org/wiki/Rigveda
 অর্থাৎ হিন্দু ধর্মের বয়স সাড়ে তিন হাজার বছরের বেশী না। অপরদিকে মানব সভ্যতার বয়স চল্লিশ হাজার বছরের বেশী।
https://www.sciencedaily.com/releases/2005/02/050223142230.htm
 এখন হিন্দু ধর্মই যদি সত্য হয় তবে ভগবান কেন মানুষ সৃষ্টির এতগুলো বছর পর অর্থাৎ প্রায় ৩৫ হাজার বছর পর ধর্ম প্রেরন করল? তাহলে এই ধর্ম কি সত্য হতে পারে ?
 অপরদিকে তথ্যানুসারে যে হিন্দুরা দাবী করে হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে প্রাচীণ, এটাও কিন্তু সঠিক নয়, কারন Catalhoyuk দের ধর্ম আজ থেকেও প্রায় ৯ হাজার বছর পুর্বে ছিল, অর্থাৎ হিন্দু ধর্ম থেকেও প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছর প্রাচীন তাদের ধর্ম, দেখুন
https://en.wikipedia.org/wiki/%C3%87atalh%C3%B6y%C3%BCk#Religion
 সুমেরিয়ান দের ধর্মও আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছর আগের, অর্থাৎ হিন্দু ধর্ম থেকেও এক দেড় হাজার বছর পুর্বে এই ধর্ম এসেছে।
https://en.wikipedia.org/wiki/%C3%87atalh%C3%B6y%C3%BCk#Religion
 এখন হিন্দুরা কি তবে বলবে ক্যাটালহোক বা সুমেরিয়ানদের ধর্মই সত্য ধর্ম, আর তাদেরটা মিথ্যা ? তবে হিন্দুদের মধ্যে বৈদিকরা আবার এসব তথ্যের তোয়াক্কা না করে দাবী করে যে বেদ এসেছে সৃষ্টির শুরু থেকে। অর্থাৎ প্রথম মানুষ থেকেই বেদ এর জন্ম।
এই দাবীগুলো খন্ডানো যায় অনেকভাবেই, যেমন, যদি বেদ মানব জাতির একদম প্রথম থেকে হয়ে থাকে, তবে এর ভাষা সংস্কৃতকে হতে হবে বিশ্বের সবথেকে প্রাচীণ ভাষা। কিন্তু মজার বিষয় প্রাচীনতম ত দূরে থাক, বিশ্বের সবথেকে লিখিত পাওয়া প্রাচীন ১৩ ভাষার মধ্যেও সংস্কৃত এর স্থান নেই। https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_languages_by_first_written_accounts সংস্কৃত ভাষা ইন্দো ইউরোপীয় মুল ভাষাগোষ্টীর অন্তর্ভুক্ত। ইন্দো ইউরোপিয় ভাষার বয়স খ্রিষ্টপুর্ব ৫ হাজার বছর। আনুমানিক খ্রিষ্টপুর্ব ২৫০০ বছর পুর্বে ইন্দো ইউরোপিয় ভাষার দুই শাখা কেন্তম ও শতম শাখার জন্ম। এরপর শতম শাখার ইন্দো এশীয় রুপ থেকে বৈদিক সংস্কৃত ভাষার সৃষ্টি হয় খ্রিষ্টপুর্ব ১২০০ অব্দে। অর্থাৎ ঋগবেদ ও সংস্কৃত ভাষার জন্ম একি সাথে, যার জন্ম সর্বোচ্চ ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার বছর। অর্থাৎ যে ভাষার জন্মই মাত্র সাড়ে ৩ হাজার বছর, সেই ভাষায় কিভাবে মানব সভ্যতার প্রথমে বেদ নাযিল হতে পারে ?
এখন দেখি আসুন খোদ বেদ কি বলে,
 যজুর্বেদ ১৩/৩৭,
 “হে জ্ঞানী মানুষ, প্রাচীন জ্ঞানীদের হতে শিক্ষা নাও, যারা অতিথিপরায়ণ, রথারোহীর ন্যায় যারা নিজ অশ্বদের সংযুক্ত করে, যারা দক্ষদের দ্বারা সুনিয়ন্ত্রিত, এবং যারা নিজেদের ন্যায়ের আসনে বসিয়েছে।”
এখানে বেদ প্রাচীন জ্ঞানীদের হতে শিক্ষা নিতে বলেছে, অর্থাৎ বেদ যখন লেখা হয়েছে সেই সময় থেকেও প্রাচীন মানব সভ্যতা ছিল। এরপর দেখি যারা ছিল রথারোহি, ঘোড়সওয়ার।  আমরা জানি, রথারোহন, তথা চাকার আবিষ্কার হয়েছে মানব সভ্যতার বহু পরে, অর্থাৎ বেদ কোনভাবেই মানব সভ্যতার শুরুতে নাযিল হয়নি। আর বেদ সেই সময়কে প্রাচীন বলেছে(সেই সময়ের জ্ঞানীদের প্রাচীন আখ্যা দিয়ে) অর্থাৎ বেদ মানব সভ্যতার বহু বহু পরে রচিত, খোদ বেদ থেকেই তা প্রমানিত।
এবার আসি আরো কিছু প্রাসংগিক তথ্যে, আপনারা কি জানেন হিন্দুদের বেদ নামক বইটি আসলে পারসীয়ানদের ধর্মগ্রন্থ জেন্দ আবেস্তা হতে কপি করে লেখা ? আর্যদের আদি নিবাদ হচ্ছে পারস্য, পারস্য হতে মাইগ্রেট করে এরা আফগানিস্তানের খাইবার গিরিপথ হতে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে। ভারতবর্ষে প্রবেশের পর তারা পারস্যের ধর্মগ্রন্থ জেন্দ আবেস্তার অনুকরনে বেদ রচনা করে এরা ধর্মপ্রচার শুরু করে।
 উইকিপিডিয়া অনুসারে জেন্দ আবেস্তা ও ঋগবেদ এর রচনাকাল প্রায় সমসাময়িক বলা হলেও বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের মতে আবেস্তা গ্রন্থ ঋগবেদ হতে প্রাচীন।
http://www.sabhlokcity.com 
আর আবেস্তা ও ঋগেবেদ পাশাপাশী পর্যালোনা করলে যে কেউ বুঝতে পারবে যে একটা আরেকটার কপি।  আবেস্তা হতে বহু শব্দ হ স এর ইত্যাদি পরিবর্তিত হয়ে ঋগবেদে ব্যাবহৃত হয়েছে, যেমন ,
 Avesta    Rigveda
 ahura-    asura
 homa-     soma
 hapta-     sapta
 maaha-   maasa
 henaa-    senaa
 hanti-      santi
 vivahnata-  vivaswata
 mithra-    mitra
aajuti -- aahuti
Hapta Hendu--Sapta Sindhu
thraitaan mantra-- traitaal mantra ইত্যাদি বেদ এর ৪ বর্নপ্রথা তথা Brahman, Kshatriya, Vaishya and Shudra ও আবেস্তা হতেই ধার করা। আবেস্তাতেও একিভাবে (a) atharva , the priest, (b) ratheshtan , the warrior (notice the inclusion of rath here, which means ‘chariot’ in Sanskrit) (c) vastriyoksiya, the agricultural labourer and (d) huits , the labour. এই চার বর্নপ্রথার উল্লেখ আছে, যা বেদে হুবহু কপি করা হয়েছে।
 শুধু তাই না, সরাসরি verse  বা মন্ত্র শুধু শব্দ চেইঞ্জ করে হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে আবেস্তা হতে ঋগবেদে, যেমন,
 (Rigveda)
 majadaah sakritva smarishthah
 অনুবাদঃ Only that supreme being is worthy of worship (Avesta (Gatha 17:4 Yashna 29) )
 madaatta sakhaare marharinto
 অনুবাদঃ Only Ahura Mazda is worthy of worship.
Avesta,  Gatha 17:4 Yashna 53:4)
 mahaantaa mitraa varunaa devaav ahuraaha sakhe ya fedroi vidaat patyaye caa vaastrevyo at caa khatratave ashaauno ashavavyo
 (Translation: O Ahura Mazda, you appear as the father, the ruler, the friend, the worker and as knowledge. It is your immense mercy that has given a mortal the fortune to stay at your feet.)
 Rigveda:
 mahaantaa mitraa varunaa samraajaa devaav asuraaha sakhe sakhaayaam ajaro jarimne agne martyaan amartyas tvam  (Translation: O Supreme Being, you are fire, you are the sun, you are water. You have appeared to us as Father, as our ruler, as our friend and as our teacher. O Great Father, you are beyond aging but we are not. You are beyond death but we are not. In spite of that you have given us the great fortune to call you our friend.) এরকম আরো বহু উদাহরন দেয়া যাবে।  যাই হোক, পরিশেষে বলা যায়, বেদকে অপৌরুষ, আদি ইত্যাদি বলে হিন্দুরা যেসব গর্ব করে তা ভিত্তিহীন এবং হিন্দু ধর্ম কোনভাবেই মাত্র সাড়ে ৩ হাজার বছরের প্রাচীন নয়।
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে সবথেকে প্রাচীণ ধর্ম কোনটি। এর উত্তর জানতে হলে আমাদের বুঝতে হবে ধর্ম কি। ধর্ম হচ্ছে ঈশ্বরের একত্ববাদের উপর ভিত্তি করে যা গড়ে ওঠে। পৌত্তলিকতাও ধর্ম, কিন্তু তা সঠিক ধর্ম হতে পারে না। কারন কোন ধর্মগ্রন্থই পৌত্তলিকতাবাদকে অনুমোদন করে না।। আর ইসলামের মুল বিষয় হচ্ছে তাওহীদবাদ। অর্থাৎ সৃষ্টার একত্ববাদ। আর যুগ যুগ ধরে যত আসমানী কিতাব রয়েছে সবখানেই রয়েছে সৃষ্টার একত্ববাদ। হিন্দুদের বেদেও রয়েছে সৃষ্টার একত্ববাদ। বাইবেল, ওল্ড টেষ্টামেন্ট, আবেস্তা সবখানেই একি একত্ববাদ। অর্থাৎ ইসলাম মোটেও কোন নতুন ধর্ম নয়।আল্লাহ যুগে যুগে বহু নবী রাসুল পাঠিয়েছেন, কিতাব পাঠিয়েছেন,  কোরান হচ্ছে সর্বশেষ কিতাব। নাম না জানা সেসব কিতাব এর বিকৃত বা অবশিষ্টাংশই যে বর্তমানের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই। কোরান দ্বারাই ইসলামের শুরু নয় বরং কোরান ইসলামের সর্বশেষ অধ্যাদেশ। প্রথম মানব ও নবী হযরত আদম আঃ এর হাত ধরে ইসলাম শুরু, ও কিতাব কোরান ও মুহাম্মদ সঃ এর দ্বারাই এর অধ্যাদেশ শেষ। তাই ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা সৃষ্টির আদি হতে আছে এবং অন্ত পর্যন্ত থাকবে। আর ইসলামের আদি হতে থাকার প্রমান আমরা দেখতে পাই, কোরান পুর্বক সকল কিতাবেই, যেগুলো হতে পারে পুর্বোক্ত আসমানী কিতাব বা তার অংশবিশেষ বা বিকৃত অংশ।
 যেমন পনেরশ বছর পুর্বের বাইবেল উদ্ধার হয়েছে সম্প্রতি যেখানে, যীশু আঃ কে নবী ও নবী মুহাম্মদ সঃ এর আগমনের কথা বলা আছে,
https://en.wikipedia.org/wiki/Gospel_of_Barnabas
http://www.dailymail.co.uk/news/article-2105714/Secret-14million-Bible-Jesus-predicts-coming-Prophet-Muhammad-unearthed-Turkey.html
বেদেও আছে আল্লাহ রাসুলের পরিচয় ও ইসলামের তাওহীদবাদ,
বেদে আল্লাহ
পারসীয়ান ধর্ম যেটি ঋগবেদ হতেও প্রাচীণ, তাতেও আছে ইসলামের মুল ভিত্তি ও নবিজির আগমনের বর্ননা
http://www.islamawareness.net/Zoroastrianism/scriptures.html
তাই আমরা দেখতে পাচ্ছি ইসলামের মুল ভিত্তি যুগে যুগে অপরিবর্তিত ছিল।যুগের প্রাক্কালে পুর্বের আসমানী কিতাব অনেকগুলোই হারিয়ে গেছে, কিছু বিকৃতি হয়েছে, কারন কোরান নাযিলের পর সেগুলোর আর দরকার ছিল না। তবে ইসলামের যাত্রা শুরু হয় প্রথম মানুষ আদম আঃ থেকে এবং এটা হতে থাকবে পৃথিবির অন্ত পর্যন্ত। তাই ইসলামই একমাত্র প্রাচীন, সত্য ও সৃষ্টার একত্ববাদের ধর্ম যা আছে মানব সৃষ্টির শুরু থেকে।

পাহাড়ের শ্রেণীবিভাগে আল কোরআনের অলৌকিকতা।

আমরা জানি গঠনগত দিক দিয়ে পৃথিবীর সকল পর্বত একনয়।গবেষকরা অতি সম্প্রতি বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যাবহারের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন গঠনগত কারনে পর্বত গুলোর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।অথচ কোরআনুল করিমে ১৫০০বছর আগেই উল্লেখ করেছেন পর্বতের এই ভিন্নতার কথা। অপূর্ব ভাষাশৈলী আর সুক্ষতার মাধ্যমে মাওলা বুঝিয়ে দিয়েছেন এই পার্থক্য।
ﻭَﺃَﻟْﻘَﻰ ﻓِﻲ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﺭَﻭَﺍﺳِﻲَ ﺃَﻥ ﺗَﻤِﻴﺪَ ﺑِﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻧْﻬَﺎﺭًﺍ ﻭَﺳُﺒُﻼً ﻟَّﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﻬْﺘَﺪُﻭﻥَ
এবং তিনি পৃথিবীর উপর বোঝা রেখেছেন যে, কখনো যেন তা তোমাদেরকে নিয়ে হেলে-দুলে না পড়ে এবং নদী ও পথ তৈরী করেছেন, যাতে তোমরা পথ প্রদর্শিত হও।(16: 15)
And He has set up on the earth mountains standing firm, lest it should shake with you; and rivers and roads; that ye may guide yourselves;

আচ্ছা এখানে বোঝা চাপানোর সাথে পৃথিবীর হেলে পড়ার কি সম্পর্ক?
আমরা জানি পৃথিবী নিজ অক্ষে ঘুড়ির মত ভেসে সূর্যকে কেন্দ্র করে অনবরত ঘুরছে লাটিমের মত!
আমরা যারা ঘুড়ি উড়িয়েছি বা লাটিম ঘুরিয়েছি তারা অবশ্যই জানি লাটিমের ঘূর্ণন বা ঘুড়ির উড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ওজনের ভারসাম্য! তা নাহলে ঘুড়ি বা লাটিম একদিকে হেলে পড়বে। ঘুড়ির ভারসাম্য রক্ষায় এর দুই পাশে বাড়তি কাগজ লাগিয়ে দেয়া হয় যেন হেলে নাপড়ে!
এই আয়াতের তাৎপর্য্য বুঝতে হলে আমাদের যা জানতে হবে তা হচ্ছে পৃথিবীর আকার, ওজন ও ওজনের ভারসাম্য!

আকৃতি :
পৃথিবী দেখতে পুরোপুরি গোলাকার নয়, বরং কমলালেবুর মত উপর ও নিচের দিকে কিছুটা চাপা এবং মধ্যভাগ (নিরক্ষরেখার কাছাকাছি) স্ফীত। এ'ধরণের স্ফীতি তৈরি হয়েছে নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে এর ঘূর্ণনের কারণে। একই কারণে বিষুব অঞ্চলীয় ব্যাস মেরু অঞ্চলীয় ব্যাসের তুলনায় প্রায় ৪৩ কিমি. বেশি।
বিষুব অঞ্চলে এর ব্যাস ৬৩৭৮.১৬০ কিলোমিটার। মেরু অঞ্চলের ব্যাসার্ধ ৬৩৫৭.৭৭৫ কিলোমিটার।
ওজনঃ পৃথিবীর ওজন মাপা সম্ভব, তবে যন্ত্রে চাপিয়ে নয় বুদ্ধি জোরে অঙ্ক কষে। বিজ্ঞানীরা বুদ্ধির জোরে অঙ্ক কষে এই কঠিন কাজটি সম্পন্ন করেছেন। এই কাজটি করার সাহস যিনি প্রথম দেখিয়েছিলেন তিনি হলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী হেনরী ক্যাভেন্ডিশ।দুটো ছোট বড় সীসার গোলকের আকর্ষণ শক্তির সঙ্গে পৃথিবীর অভিকর্ষের তারতম্য এবং পৃথিবীর ঘনত্বের সঙ্গে সীসার ঘনত্বের পার্থক্য নির্ণয় করে পৃথিবীর ওজন করে করেছিলেন। কত ওজন আমাদের এই বিশাল পৃথিবীর। সংখ্যায় লিখলে তা এইরকম হবে---৬,০০০,০০০
,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ টন(প্রায়)।
এই বিশাল ভর বা ওজনের দৈত্যাকার লাটিমের ওজনের ভারসাম্যের বাপারে নিউটনের সুত্র কি বলে?

আমরা জানি বল প্রযুক্ত হলে কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধি পায়। প্রতি সেকেন্ডে যে বেগ বৃদ্ধি পায় তাকে ত্বরণ বলে। অভিকর্ষ বলের প্রভাবেও বস্তুর ত্বরণ হয়। এ ত্বরণকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বা মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ বলা হয়। যেহেতু বেগ বৃদ্ধির হারকে ত্বরণ বলে, সুতরাং অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে।
অভিকর্ষজ ত্বরণকে m দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেহেতু অভিকর্ষজ ত্বরণ এক প্রকার ত্বরণ, সুতরাং এর একক হবে ত্বরণের একক অর্থাৎ মিটার/সেকেন্ড২।
ধরা যাক, M = পৃথিবীর ভর, m=ভূ-পৃষ্ঠে বা এর নিকটে অবস্থিত কোনো বস্তুর ভর, d=বস্তু ও পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্যবর্তী দূরত্ব। তাহলে মহাকর্ষ সূত্রানুসারে, অভিকর্ষ বল,
আবার বলের পরিমাপ থেকে আমরা পাই, অভিকর্ষ বল = ভর$ \times $ অভিকর্ষজ ত্বরণ
অর্থাৎ F=mg
উপরিউক্ত দুই সমীকরণ থেকে পাওয়া যায়,
\ $ mg= \frac {GMm} {d^2} $
বা,$ g= \frac {GM} {d^2} $
এ সমীকরণের ডান পাশে বস্তুর ভর m অনুপস্থিত। সুতরাং অভিকর্ষজ ত্বরণ বস্তুর ভরের উপর নির্ভর করে না। যেহেতু G এবং পৃথিবীর ভর M ধ্রুবক, তাই g-এর মান পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে বস্তুর দূরত্ব d-এর উপর নির্ভর করে। সুতরাং g-এর মান বস্তু নিরপেক্ষ হলেও স্থান নিরপেক্ষ নয়। এর অর্থ হলো g-এর মান বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম হয়।

অভিকর্ষজ ত্বরণের পরিবর্তন : পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে ভূ-পৃষ্ঠের দূরত্ব অর্থাৎ পৃথিবীর ব্যাসার্ধ R হলে ভূপৃষ্ঠে $ g= \frac {GM} {R^2} $
যেহেতু পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার নয়, মেরু অঞ্চলে একটুখানি চাপা, তাই পৃথিবীর ব্যাসার্ধ R ও ধ্রুবক নয়। সুতরাং ভূ-পৃষ্ঠের সর্বত্র g-এর মান সমান নয়। মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ R সবচেয়ে কম বলে সেখানে g-এর মান সবচেয়ে বেশি। মেরু অঞ্চলে g-এর মান ৯.৮৩২ মিটার/
সেকেন্ড২। মেরু থেকে বিষুব অঞ্চলের দিকে R এর মান বাড়তে থাকায় g-এর মান কমতে থাকে। বিষুব অঞ্চলে R এর মান সবচেয়ে বেশি বলে g-এর মান সবচেয়ে কম। ৯.৭৮ মিটার/সেকেন্ড২। ক্রান্তীয় অঞ্চলে g-এর মান ৯.৮০৬৬৫ মিটার/
সেকেন্ড২। হিসাবের সুবিধার জন্য g-এর আদর্শ মান ধরা হয় ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড২ বা ৯.৮১ মিটার/সেকেন্ড২। ভূ-পৃষ্ঠে g- এর মান ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড২। এর অর্থ হচ্ছে ভূ-পৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড বৃদ্ধি পায়।
পৃথিবীর ভারসাম্যের আলোচনা করতে গেলে যে বিষয়টির আলোচনা না করলে নাই হয়, তা হচ্ছে পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ!
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন কতক গুলো স্তরে বিভক্ত। প্রায় ৬৩৭৮ কিমি নিচে রয়েছে এর কেন্দ্র। পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রধান স্তর গুলো হল ০-৩৫ কিমি পুরু বাইরের ভূত্বক (crust), ৩৫-২৮৯০ কিমি পুরু ম্যান্টল (mantle), ২৮৯০-৬৩৭৮ কিমি পর্যন্ত কোর (Core)। ভূতাত্ত্বিক তথ্য উপাত্তের অধিকাংশই সংগৃহীত হয় সমগ্র পৃথিবীর উপরিভাগের কঠিন স্তর থেকে। পৃথিবীর উপরিভাগের স্তরের মাটি-পাথরের মাঝেই লুকিয়ে আছে এর ইতিহাস এবং সম্পদ। এর কোথাও রয়েছে গ্যাস, কোথাওবা তেল বা আকরিক আবার কোথাও রয়েছে ধাতব পদার্থের বিশাল ভাণ্ডার! এছাড়াও আছে বিশাল জলভাগ! এতে স্পষ্ট যে পৃথিবীর ওজনের ভারসাম্য স্বাভাবিক ভাবে থাকা অসম্ভব যদি না বিকল্প ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়! যেমন- ঘুড়িকে হেলে পড়া থেকে বাঁচানোর জন্য বাড়তি ওজন এর দুপাশে জুড়ে দেয়া হয়।
সুবাহানাল্লাহ!!

ঠিক এ কথাটাই বলা হয়েছে পবিত্র কোরআনে।
ﻭَﺃَﻟْﻘَﻰ ﻓِﻲ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﺭَﻭَﺍﺳِﻲَ ﺃَﻥ ﺗَﻤِﻴﺪَ ﺑِﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻧْﻬَﺎﺭًﺍ ﻭَﺳُﺒُﻼً ﻟَّﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﻬْﺘَﺪُﻭﻥَ
অর্থাৎএবং তিনি পৃথিবীর উপর বোঝা রেখেছেন যে, কখনো যেন তা তোমাদেরকে নিয়ে হেলে-দুলে না পড়ে এবং নদী ও পথ তৈরী করেছেন, যাতে তোমরা পথ প্রদর্শিত হও।(১৬:১৫)

যাইহোক,
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা যে বিষয়গুলো পেলাম তা হচ্ছে-
১)পৃথিবী সুষম গোলক নয়।
২)এর ওজনের ভারসাম্য থাকা স্বাভাবিক নয় কারন এর ওজন সর্বত্র সমান নয়!
আর এজন্যই আল্লাহ্ বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দিয়ে এর ভারসাম্য ঠিক রেখেছেন!
আল্লাহু আকবার!!
এখন আসি মূল আলোচনায়!
সুরা নাবার ৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ বলেন-
 ﻭَّﺍﻟۡﺠِﺒَﺎﻝَ ﺍَﻭۡﺗَﺎﺩًﺍ
পাহাড়গুলোকে গেঁড়ে দিয়েছি পেরেকের মতো?
এখানে আল্লাহ্ পাক ইংগিত করেছেন ভংগিল পর্বতের প্রতি।
আর ১৬:১৫ আয়াতে মাওলা ইংগিত করেছেন স্তুপ ও আগ্নেয় পর্বতের প্রতি যা পেরেকের মত নয় বরং একটি বোঝার মতই আছে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার জন্য।

আচ্ছা, আজ থেকে ১৫০০ বছর আগে কিভাবে কোরআনে আসল পর্বতের এই শ্রেণী বিভাগের তথ্য যা অতিসম্প্রতি আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ব্যাপক পরিক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে জানতে পেরেছে মানুষ? মুহাম্মদ (সাঃ) কি এগুলো গবেষনা করে বের করেছিলেন নাকি কোন এক মহান স্বত্বা তাঁকে এটা জানিয়ে দিয়েছিলেন ঐশী বাণীর মাধ্যমে?
এজন্যই কোরআনে বলা হয়েছে নিশ্চয়ই এতে রয়েছে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন!!
এরপরেও বলব কোরআন মানুষের রচিত গ্রন্থ?


Sunday, April 8, 2018

★মৌমাছির লিঙ্গ নির্ধারণে আল-কোরআনের অলৌকিকতা!

কোরআনের সত্যতার প্রমাণের জন্য সূরা নাহলের এই একটি আয়াতই যথেষ্ট।
বিষয়টি নিয়ে নতুন করে লিখার কিছু নেই।অনেকেই সুস্পষ্ট ও বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে লিখেছেন।পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু এরপরেও ইসলাম বিদ্বেষীদের মিথ্যাচার আর অপব্যাখ্যা থেমে নেই। আসলে তারা বুঝতে পেরেছে যে কোন চিন্তাশীল ব্যাক্তি যদি সূরা নাহলের ৬৮/৬৯ নং আয়াত মনোযোগের সাথে পড়ে তবে ১০০% নিশ্চিত হয়ে যাবেন যে, এ কিতাব মানব রচিত নয় বরং এক মহান স্বত্বার অমিয় বাণী! এজন্যই তাদের এই অপব্যাখ্যা আর মিথ্যাচারের চেষ্টা।

*সূরা নাহল ও কর্মি মৌমাছির লিঙ্গঃ-
কোরআনে মৌমাছিকে নিয়ে একটি সূরা আছে। এটি হল সূরা নাহল, নাহল শব্দটির অর্থ মৌমাছি ( ﺍﻟﻨﺤﻞ)
এই সূরার ৬৮ এবং ৬৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে কর্মি মৌমাছির কথা।
ওখানে কর্মী মৌমাছিকে বলা হয়েছে” ﻛﻠﻰ ও ﺍﺳﻠﻜﻰ ।
শব্দদ্বয় স্ত্রী লিঙ্গের  ক্রিয়া যা স্ত্রী-মক্ষিকা কে নির্দেশ করে ।
অর্থাৎ কোরআন কর্মি মৌমাছিদেরকে বলেছে মেয়ে মৌমাছি।
উল্লেখ্য যে বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় ক্রিয়ার (Verb) কোন লিঙ্গান্তর হয়না।মানে, ক্রিয়ার পুংলিঙ্গ/স্ত্রী লিঙ্গ হয়না।কিন্তু আরবি ভাষায় ক্রিয়ার লিঙ্গান্তর হয়। অর্থাৎ আরবি ভাষায় স্ত্রী ও পুরুষের জন্য আলাদা verb ব্যাবহৃত হয়।
আমরা ইংরেজিতে পুংলিঙ্গ এবং স্ত্রী-লিঙ্গের জন্য একই verb ব্যবহার করি।
যেমন, He eats rice.. (পুং লিঙ্গের জন্য eat)
আবার, She eats rice (স্ত্রী লিঙ্গের জন্যও eat)
কিন্তু আরবিতে এরকম নয়।আরবিতে পুংলিঙ্গ এবং স্ত্রী লিঙ্গের জন্য আলাদা আলাদা verb ব্যবহৃত হয়।
আল্লাহ্ বলেনঃ
ﻭَﺍَﻭۡﺣٰﻰ ﺭَﺑُّﻚَ ﺍِﻟَﻰ ﺍﻟﻨَّﺤۡﻞِ ﺍَﻥِ ﺍﺗَّﺨِﺬِﻯۡ ﻣِﻦَ ﺍﻟۡﺠِﺒَﺎﻝِ ﺑُﻴُﻮۡﺗًﺎ ﻭَّﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮِ ﻭَﻣِﻤَّﺎ ﻳَﻌۡﺮِﺷُﻮۡﻥَۙ ﴾
“আর তোমর প্রভু মধু মক্ষিকা (নারী মৌমাছি) কে বললেন, তোমাদের বাসস্থান বানাও পাহাড়ে, বৃক্ষে আর মানুষের গৃহে” (সূরা নাহল:৬৮)

প্রাচীনকালে মানুষের ধারনা ছিল মৌমাছি দুই প্রকার-নারী ও পুরুষ এবং পুরুষ মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে।
কিন্তু এই আয়াতের বিশ্লেষণে প্রতিয়মান হয় যে, কর্মি মৌমাছি নারী এবং মৌমাছির প্রধান কোন পুরুষ নয় বরং নারী।
সুবাহানাল্লাহ!!
মৌমাছিদের আসলে কোন রাজা নেই। আছে রাণী আর কর্মী মৌমাছি হচ্ছে স্ত্রী মৌমাছি। কোরআন দেড় হাজার বছর আগে মৌমাছির লিঙ্গ শনাক্ত করে কার্য বিবরণী বলে দিয়েছে, যা কোরআনুল করিমকে ঐশী গ্রন্থ হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য করে।
প্রশ্ন হচ্ছে আধুনিক বিশ্ব কবে থেকে জেনেছে মৌমাছির লিঙ্গ সম্পর্কে?

সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে অষ্ট্রিয়ান নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানি Karl Von-Frischতার 'মৌমাছির জীবনচক্র' নিয়ে লেখা বই 'The dancing bees'তে
বৈজ্ঞানিক ভাবে(ফটোগ্রাফি এবং অন্যান্য পদ্ধতি অবলম্বন করে) প্রমান করে দেখিয়েছেন যে,
মৌমাছি তিন ধরনেরঃ-
১) স্ত্রী মৌমাছিঃ- এদের কাজ শুধু সন্তান উৎপাদন।আর কোন কাজেই এরা অংশগ্রহণ করেনা।
২)পুরুষ মৌমাছিঃ-এদের কাজ হচ্ছে শুধু স্ত্রী মৌমাছিদের (Queen bee) সন্তান উৎপাদনের জন্য প্রজনন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা।এর বাইরে এরা আর কোন কাজ করেনা।
৩) কর্মী মৌমাছিঃ- কর্মী মৌমাছি মূলত স্ত্রী মৌমাছি কিন্তু বন্ধ্যা।মানে,এরা কখনই সন্তান উৎপাদন করতে পারেনা।প্রাকৃতিক ভাবেই এরা বন্ধ্যা হয়ে থাকে।এদের অন্য নামে বলা হয়- 'কর্মী মৌমাছি'।
মৌচাক নির্মাণ,মধু সংগ্রহ সহ তাদের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে এই কর্মী স্ত্রী মৌমাছিরাই।
পুরুষ মৌমাছি এবং স্ত্রী (Queen bee) মৌমাছি সন্তান উৎপাদন ছাড়া মৌচাক নির্মাণ,মধু সংগ্রহ সহ অন্যকোন কাজেই অংশগ্রহণ করেনা।এসব করে কর্মী মৌমাছি বা দ্বিতীয় ক্যাটাগরির স্ত্রী মৌমাছি। (এদের Queen bee বলা হয়না, Worker Bee বলা হয়)।
অর্থাৎ তার গবেষণার ফলাফল কোরআনের দাবীকে ১০০% সত্য বলে প্রমাণ করে দেয়।
সুবাহানাল্লাহ!!
এমন সুস্পষ্ট প্রমাণের পরেও যারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাদের জন্যই আল্লাহ্ বলেছেন--
ﺻُﻢٌّ ﺑُﻜْﻢٌ ﻋُﻤْﻲٌ ﻓَﻬُﻢْ ﻟَﺎ ﻳَﺮْﺟِﻌُﻮﻥَ
"তারা মূক, বধির ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।" (২:১৮)

★Note.
            For the word “eat”: “Kuli” is for females; “Kul” is for
males. The Qur’an used “Kuli” (females).For the word “follow a
path”: “Usluki” is for females; “Usluk” is for males. The Qur’an used “Usluki” (females).For the word “their bellies”: “butuniha” is for females; “butunihim” is for males. The Qur’an used
“butuniha” (females).