Thursday, March 9, 2017

★তাবিজ ব্যবহার করা কি আসলেই শিরক?

তাবিজ ব্যবহার করার হুকুম সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে প্রথমত দুটো বিষয় জানতে হবে। যথা-

১.যে সমস্ত তাবিজে আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোন মুর্তি বা তারকা বা সয়তান বা এমন কোন কথা লেখা থাকে যেগুলোর কোন অর্থ নেই বা যেগুলোতে ইসলাম বিরোধী লেখা রয়েছে।এ সমস্ত তাবিজের ব্যাপারে সমস্ত আলেম একমত যে, এসমস্ত তাবিজ ব্যবহার করা শিরক।যেমন হাদিস শরীপে রয়েছে,
من علق تميمة فقد أشرك " .   رواه أحمد (4/156)
অর্থাৎ যারা তামিমা লটকাইল,তারা শিরক করল।
তামিমা কি সেটার ব্যাখ্যা আয়েশা (রাঃ )থেকে বর্ণিত, অন্য একখানা  হাদিসে এভাবে  করা হয়েছে যে,
 لَيْسَتِ التَّمِيمَةُ مَا تَعَلَّقَ بِهِ بَعْدَ الْبَلَاءِ، إِنَّمَا التَّمِيمةُ مَا تَعَلَّقَ بِهِ قَبْلَ الْبَلَاءِ.»"
অর্থাৎ বালা মসিবত আসার পরে যা লটকানো হবে সেটা তামিমা নয়,বরং তামিমা হল- বালা মসিবতকে প্রতিহত করার জন্য বালা মসিবত আসার আগেই যা ঝুলানো হয় সেটাই হল-তামিমা।
(رواه الحاكم وقال : صحيح الإسناد ووافقه الذهبي .
وذكره الألباني في الصحيحة برقم 331)

২.যে সমস্ত তাবিজে কোরানের কোন আয়াত অথবা আল্লাহর কোন নাম অথবা কোন দোয়া লিপিবদ্ব থাকে।সে সমস্ত তাবিজ ব্যবহার করা ইসলামী শরীয়তে সম্পুর্ণরুপেই জায়েয।তবে শর্ত  হল- এ বিশ্বাস থাকতে হবে যে,ভাল করার মালিক আল্লাহ,এগুলো হল-অসিলা।নিম্ণে এ সম্পর্কে বিস্তারিত দলিল পেশ করা হল-

★আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সুরাতুল ইসরায়ে বলেন-
ﻭﻧﻨﺰﻝ ﻣﻦ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻣﺎ ﻫﻮ ﺷﻔﺎﺀ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﻟﻠﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ﻭﻻ ﻳﺰﻳﺪ ﺍﻟﻈﺎﻟﻤﻴﻦ ﺇﻻﺧﺴﺎﺭﺍ ‏( 82 ‏) ‏)
অর্থাৎ-আমি কোরানকে অবতীর্ণ করেছি যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত।
এই আয়াতে কোরআনকে বলা হয়েছে শেফা।আর এ শেফা শব্দটিকে আম বা ব্যাপক রাখা হয়েছে চাই কোরান দিয়ে ঝাঁড়ফুক করা হউক অথবা তাবিজ হিসেবে ব্যবহার করা হউক সর্বাবস্হায় কোরআন শিফা।
★রাসুল( সাঃ) এরশাদ করেন,
 ﺷﻔﺎﺀ ﺃﻣﺘﻲ ﻓﻲ ﺛﻼﺙ ﺁﻳﺔ ﻣﻦ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻭ ﻟﻌﻘﺔ ﻣﻦ ﻋﺴﻞ ﺃﻭ ﺷﺮﻃﺔ ﻣﻦ ﻣﺤﺠﻢ( 10/286ﺗﻔﺴﻴﺮﺍﻟﻘﺮﻃﺒﻲ)
 অর্থাৎ আমার উম্মতের আরোগ্য তিনটি জিনিসের মধ্যে নিহিত।যথা-
ক.আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াত।
খ.এক চামচ মধু।
গ.শিঙ্গার টান।
এ হাদিসখানাতেও পবিত্র কোরানকে শেফা বলা হয়েছে।চাই তা ঝাঁড়ফুকের মাধ্যমে হোক বা তাবিজের মাধ্যমে হউক।

★হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ )তার পিতা থেকে ,তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন,রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, إذا فزع أحدكم في نومه فليقل : بسم الله ، أعوذ بكلمات الله التامات من غضبه وسوء عقابه ، ومن شر عباده ، ومن شر الشياطين وأن يحضرون فكان عبد الله يعلمها ولده من أدرك منهم ، ومن لم يدرك كتبها وعلقها عليه .(তিরমিজি3528)
যখন তোমাদের কেহ ঘুমের ভিতরে ভয় পায় সে যেন এ দোয়া পড়ে যে, بسم الله ، أعوذ بكلمات الله التامات من غضبه وسوء عقابه ، ومن شر عباده ، ومن شر الشياطين وأن يحضرون
আর হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ )তার সন্তানদের মধ্যে যার পড়তে পারত তাদেরকে এ দোয়া শিখিয়ে দিতেন।আর যারা পড়তে পারতেন না তাদের জন্য লিখে গায়ে    ঝুলিয়ে দিতেন।
এ হাদিস থেকে বুঝা যায় যে,নবীজির সাহাবের মধ্যেও আল্লাহর নামের তাবিজ ঝুলানো হইত।

★হযরত আবু উমামাহ (রাঃ) রাসুলুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন,তিনি বলেন,।
 ﻳﻨﻔﻊ ﺑﺈﺫﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻣﻦ ﺍﻟﺒﺮﺹ ﻭﺍﻟﺠﻨﻮﻥ ﻭﺍﻟﺠﺬﺍﻡ ﻭﺍﻟﺒﻄﻦ ﻭﺍﻟﺴﻞ ﻭﺍﻟﺤﻤﻰ ﻭﺍﻟﻨﻔﺲ ﺃﻥ ﺗﻜﺘﺐ ﺑﺰﻋﻔﺮﺍﻥ ﺃﻭ ﺑﻤﺸﻖ - ﻳﻌﻨﻲ ﺍﻟﻤﻐﺮﺓ - ﺃﻋﻮﺫ ﺑﻜﻠﻤﺎﺕ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺘﺎﻣﺔ ﻭﺃﺳﻤﺎﺋﻪ ﻛﻠﻬﺎ ﻋﺎﻣﺔ ﻣﻦ ﺷﺮ ﺍﻟﺴﺎﻣﺔ ﻭﺍﻟﻐﺎﻣﺔ ﻭﻣﻦ ﺷﺮ ﺍﻟﻌﻴﻦ ﺍﻟﻼﻣﺔ ﻭﻣﻦ ﺷﺮ ﺣﺎﺳﺪ ﺇﺫﺍ ﺣﺴﺪ ﻭﻣﻦ ﺃﺑﻲ ﻓﺮﻭﺓ ﻭﻣﺎ ﻭﻟد( 10/284ﺗﻔﺴﻴﺮﺍﻟﻘﺮﻃﺒﻲ)
অর্থাৎ-আল্লাহর অনুমতিক্রমে কুষ্টরোগ,পাগলামি,গোদ রোগ,পেটের পীড়া,যক্ষা,জ্বর,আত্নার রোগ ইত্যাদি থেকে, ﺃﻋﻮﺫ ﺑﻜﻠﻤﺎﺕ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺘﺎﻣﺔ ﻭﺃﺳﻤﺎﺋﻪ ﻛﻠﻬﺎ ﻋﺎﻣﺔ ﻣﻦ ﺷﺮ ﺍﻟﺴﺎﻣﺔ ﻭﺍﻟﻐﺎﻣﺔ ﻭﻣﻦ ﺷﺮ ﺍﻟﻌﻴﻦ ﺍﻟﻼﻣﺔ ﻭﻣﻦ ﺷﺮ ﺣﺎﺳﺪ ﺇﺫﺍ ﺣﺴﺪ ﻭﻣﻦ ﺃﺑﻲ ﻓﺮﻭﺓ ﻭﻣﺎ ﻭﻟﺪ
এ দোয়াটি জাফরান বা মেশক দ্বারা লিখে দিলে উপকৃত হওয়া  যাবে।
এ হাদিস দ্বরা বুঝা যায় রাসুল (সাঃ )আল্লাহর নামযুক্ত তাবিজ লিখার কথা বলে গেছেন।

★রয়িসুল মুফাস্সির হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ )থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
إذَا عَسِرَ عَلَى الْمَرْأَةِ وِلَادُهَا فَلْيَكْتُبْ : بِسْمِ اللَّهِ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ ؛ سُبْحَانَ اللَّهِ وَتَعَالَى رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ ؛ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ { كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوا إلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا } { كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَ مَا يُوعَدُونَ لَمْ يَلْبَثُوا إلَّا سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ بَلَاغٌ فَهَلْ يُهْلَكُ إلَّا الْقَوْمُ الْفَاسِقُونَ } . قَالَ عَلِيٌّ : يُكْتَبُ فِي كاغدة فَيُعَلَّقُ عَلَى عَضُدِ الْمَرْأَةِ قَالَ عَلِيٌّ : وَقَدْ جَرَّبْنَاهُ فَلَمْ نَرَ شَيْئًا أَعْجَبَ مِنْهُ فَإِذَا وَضَعَتْ تُحِلُّهُ سَرِيعًا ثُمَّ تَجْعَلُهُ فِي خِرْقَةٍ أَوْ تُحْرِقُه(مجموع الفتوي:.ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻟﺘﺎﺳﻊ ﻋﺸﺮ64)
অর্থাৎ-যখন কোন মহিলার উপরে তার প্রসবের কষ্ট হয়,তখন যেন তাকে লিখে দেয়া হয়,নিম্ণের  এ দোয়াটিبِسْمِ اللَّهِ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ ؛ سُبْحَانَ اللَّهِ وَتَعَالَى رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ ؛ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ { كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوا إلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا } { كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَ مَا يُوعَدُونَ لَمْ يَلْبَثُوا إلَّا سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ بَلَاغٌ فَهَلْ يُهْلَكُ إلَّا الْقَوْمُ الْفَاسِقُونَ }
হযরত আলী( রাঃ) বলেন যে,একটি কাগজে লিখে এ দোয়াটিকে মহিলার বাহুতে বেঁধে দেয়া হবে।এ হাদিসখানা দ্বারাও বুঝা যাচ্ছে আল্লাহর জিকির সম্বলীত তাবিজ ব্যবহার জায়েয।আর যারা এ ধরনের তাবিজকে শিরক বলে,তারা কি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস ও আলী রাঃ থেকেও শিরক সম্পর্কে বেশি বুঝেন!
এ হাদিসখানাকে  আল্লামা ইবনে তাইমিয়া( রঃ) ও তাবিজ জায়েয হওয়ার  দলিল হিসেবে পেশ করেছেন।যেমন তিনি বলেন,
يَجُوزُ أَنْ يَكْتُبَ لِلْمُصَابِ وَغَيْرِهِ مِنْ الْمَرْضَى شَيْئًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ وَذِكْرُهُ بِالْمِدَادِ الْمُبَاحِ وَيُغْسَلُ وَيُسْقَى
অর্থাৎ-জায়েয হবে মসিবতগ্রস্ত লোক বা অন্যান্য রোগাক্রান্ত লোককে আল্লাহর কিতাব বা আল্লাহর জিকির জাতীয় কোন কিছু পবিত্র কালি  দিয়ে লিখে দেয়া বা ধৌত করা বা পান করানো।
 (مجموع الفتوي:.ﺍﻟuﺠﺰﺀ ﺍﻟﺘﺎﺳﻊ ﻋﺸﺮ64)

★হযরত আলী( রাঃ )থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
 ﺇﺫﺍ ﺃﺭﺍﺩ ﺃﺣﺪﻛﻢ ﺍﻟﺸﻔﺎﺀ ﻓﻠﻴﻜﺘﺐ ﺁﻳﺔ ﻣﻦ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﺻﺤﻔﺔ ، ﻭﻟﻴﻐﺴﻠﻬﺎ ﺑﻤﺎﺀ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ، ﻭﻟﻴﺄﺧﺬ ﻣﻦ ﺍﻣﺮﺃﺗﻪ ﺩﺭﻫﻤﺎ ﻋﻦ ﻃﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻬﺎ ، ﻓﻠﻴﺸﺘﺮ ﺑﻪ ﻋﺴﻼ ﻓﻠﻴﺸﺮﺑﻪ ﺑﺬﻟﻚ ، ﻓﺈﻧﻪ ﺷﻔﺎﺀ(تفسير القران العظيم۴/۵۸۴)
অর্থাৎ-যখন তোমাদের কেহ আরোগ্যের ইচ্ছে করে,সে যেন কোন প্লেটে কোরআনের কোন আয়াত লিখে নেয়,তারপর উহাকে বৃষ্টির পানি দিয়ে ধোত করবে এবং তার স্ত্রী থেকে সন্তুষ্টির ভিত্তিতে কিছু দিরহাম নিবে অতপর সে দেরহাম দিয়ে কিছু মধু ক্রয় করবে। সর্বশেষ সে মধু দিয়ে প্লেটের আয়াত ধোত করে পান করবে।এভাবে পান করলে তার রোগের আরোগ্য হবে।

এছাড়াও শীর্ষস্হানীয় তাবেয়ীদের থেকে ফতোয়া এসেছে যে,তাবিজ ব্যবহার করা জায়েয।যেমন-
★তাবেয়ী মুজাহিদ (রঃ) এর ব্যাপারে  বর্ণিত আছে যে,, كان مجاهد يكتب الناس التعويذ فيعلقه عليهم
অর্থাৎ-হযরত মুজাহিদ( রঃ )মানুষকে তাবিজ লিখিয়ে ঝুলিয়ে দিতেন।(مصنف ابي شيبۃ۵/۴۳۹)

★হযরত আতা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
لا بأس أن يعلق القرآن .
অর্থাৎ-কোরআনকে তাবিজ হিসেবে ঝুলানোতে কোন দোষ নেই। (مصنف ابي شيبۃ۵/۴۴۰)

★হযরত আবি আসমাহ (রঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,  : سألت سعيد بن المسيب عن التعويذ فقال : لا بأس إذا كان في أديم .
অর্থাৎ- হযরত সাইদ মুসায়্যিব (রঃ) কে তাবিজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম।তিনি আমাকে বললেন যে,যখন তা চামড়াতে লেখা হয় তখন তাতে কোন দোষ নেই।
(مصنف ابي شيبۃ۵/۴۳۹)

★হযরত জাফর (রঃ )তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন,
 عن جعفر عن أبيه أنه كان لا يرى بأسا أن يكتب القرآن في أديم ثم يعلقه (مصنف ابي شيبۃ۵/۴۳۹
অর্থাৎ-তার পিতা কোরআনের কোন আয়াত চামড়াতে  লিখে তা ঝুলিয়ে দেয়াকে কোন দোষ মনে করতেন না।

এভাবে আরও অসংখ্য প্রমান রয়েছে যা দ্বারা বুঝা যায় কোরান ও আল্লাহর জিকির জাতীয় তাবিজ ব্যবহার জায়েয।আলোচনা দীর্ঘ হওয়ার ভয়ে এখানে আর উল্লেখ করলাম না।


সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে আমাদের কাছে এ ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে গেল যে,যে সমস্ত তাবিজের কোন অর্থ থাকে না তা ব্যবহার করা শিরক আর যে সমস্ত তাবিজে কোরআন বা জিকির জাতীয় কিছু লেখা হয় তা ব্যবহার জায়েয।যারা এ সমস্ত তাবিজকে শিরক বলে তারা মুলত না বুঝেই শিরক বলতেছে।তবে আমাদের উচিৎ কোরান ও আল্লাহর  জিকিরের তাবিজকে সম্মানের সাথে ব্যবহার করা।


No comments:

Post a Comment