ইসলাম হল বিশ্বজাজানের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালা কতৃক এমন একটি পুতঃপবিত্র ও বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম,যে ধর্মে সমস্ত অশ্লীলতাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।নারীদেরকে ইসলাম দুনিয়ার সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন করেছেন।নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন নারীর দিকে কুদৃষ্টি দেওয়াকে ইসলামে মারাত্নকভাবে নিষেধ করা হয়েছে।কোরআন ও হাদিসে নারীদের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ার হুকুম সম্পর্কে কি বলা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হল-
★আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা নুরের 30 নং আয়াতে ইরশাদ করেন,
ﻗُﻞ ﻟِّﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳَﻐُﻀُّﻮﺍ ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭِﻫِﻢْ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈُﻮﺍ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻢْ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺯْﻛَﻰ ﻟَﻬُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺧَﺒِﻴﺮٌ ﺑِﻤَﺎ ﻳَﺼْﻨَﻌُﻮﻥَ
অর্থাৎ হে নবী (সাঃ),আপনি মুমিন পুরুষদেরকে বলে দিন,তারা যেন তাদের চক্ষুকে পর নারী থাকে অবনত রাখে এবং তাদের চতরকে হেফাজত করে।এভাবে চলাই হল তাদের জন্য পবিত্রতম।আর নিশ্চয় তারা যাই করুক না কেন আল্লাহ সে সম্পর্কে অবগত।অত্র আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নারীদের থেকে চক্ষু অবনত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।সুতরাং যারা নারীদের দিকে কুদৃষ্টি দিবে তারা প্রকারান্তরে আল্লাহর নির্দেশকে অমান্য করল।
★কোরআন শরীপের সুরা ইয়াসিনের 65 নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﻧَﺨْﺘِﻢُ ﻋَﻠَﻰٰ ﺃَﻓْﻮَﺍﻫِﻬِﻢْ ﻭَﺗُﻜَﻠِّﻤُﻨَﺎ
ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ ﻭَﺗَﺸْﻬَﺪُ ﺃَﺭْﺟُﻠُﻬُﻢْ ﺑِﻤَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻜْﺴِﺒُﻮﻥَ
অর্থাৎ আজকে (হাশরের মাঠে)আমি তাদের মুখের উপরে মোহর মেরে দিব আর তাদের হাত কথা বলা শুরু করবে এবংতাদের দুপা যা যা করছে সব কিছেু তাদের বিপক্ষ স্বাক্ষ দেওয়া শুরু করবে।এ আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, কিয়ামতের মাঠে মানুষের অঙ্গ -প্রতঙ্গ মানুষের বিপক্ষে স্বাক্ষ দিবে।সুতরাং আমরা যদি কোন নারীর দিকে কুদৃষ্টি দিই তাহলে কিয়ামতের মাঠে এই চক্ষু আমাদের বিপক্ষে স্বাক্ষ দিবে।
★অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺴَّﻤْﻊَ ﻭَﺍﻟْﺒَﺼَﺮَ ﻭَﺍﻟْﻔُﺆَﺍﺩَ ﻛُﻞُّ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺴْﺌُﻮﻟًﺎ (( [ ﺍﻹﺳﺮﺍﺀ 36: ]
অর্থাৎ নিশ্চয় তোমাদের চক্ষু, কর্ণ,এবং প্রত্যকেই কেয়ামতের মাঠে জিজ্ঞাসিত হবে।সুতরাং যারা কদৃষ্টি দেয় তাদের একটু চিন্তা ভাবনা করা উচিৎ হাশরের মাঠে আল্লাহ তাদের চক্ষু সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তারা কি উত্তর দিবে?
★রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হাদিস শরীপে ইরশাদ করেন,
إِنَّ النَّظْرَةَ سَهْمٌ مِنْ سِهَامِ إِبْلِيسَ مَسْمُومٌ ، مَنْ تَرَكَهَا مَخَافَتِي
أَبْدَلْتُهُ إِيمَانًا يَجِدُ حَلاوَتَهُ فِي قَلْبِه ( المعجم الكبيرِ " 10215)
অর্থাৎ- আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয় কুদৃষ্টি ইবলিসের বিষাক্ত তীর হইতে একটি তীর।যে ব্যক্তি শুধু আমার ভয়ে কুদৃষ্টি পরিত্যাগ করল আমি তাকে এমন ইমান দিব, যে ইমানের সাধ তার অন্তরে খুব বেশি অনুভব করবে।এই হাদিসে কুদৃষ্টিকে ইবলিসের কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।নাউজুবিল্লাহ!
★আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)ইরশাদ করেন,
ﻣﻦ ﻧﻈﺮَ ﺇﻟﻰ ﻣﺤﺎﺳﻦِ ﺍﻣﺮﺃﺓٍ ﺃﺟﻨﺒﻴﺔٍ ﻋﻦ ﺷﻬﻮﺓٍ ﺻُﺐَّ ﻓﻲ ﻋﻴﻨﻴﻪِ ﺍﻵَﻧُﻚ ﻳﻮﻡَ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔِ ﺍﻟﺮﺍﻭﻱ : - (ﺍﻟﺪﺭﺍﻳﺔ -ﺍﻟﺼﻔﺤﺔ ﺃﻭ ﺍﻟﺮﻗﻢ : 2/225)
অর্থাৎ-যে ব্যক্তি কোন বেগানা নারীর সোন্দর্যের দিকে কুদৃষ্টি দেয় আল্লাহ তায়ালা এটার বিনিময়ে কেয়ামতের মাঠে তার দুচোখে শিষা গলিয়ে লাগিয়ে দিবে। নাউজুবিল্লাহ!
★সহীহ মুসলিমের একখানা হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেন,
فالعينان زناهما النظر ، والأذنان زناهما الاستماع ، واللسان زناه الكلام ، واليدان تزنيان وزناهما البطش ، والرجلان تزنيان وزناهما المشي ، والقلب يهوى ويتمنى ، ويصدق ذلك الفرج ، أو يكذبه
অর্থাৎ-মানুষের দু'চোখের যিনা হল-কুদৃষ্টি দেয়া। আর দু'কানের যিনা হল-অশ্লিল কথা শ্রবন করা।আর জিহ্বার যিনা হল-অশ্লিল বাক্যালাপ করা। দু'হাতের যিনা হল-কাউকে স্পর্শ করা।দু'পায়ের যিনা হল-কোন খারাপ উদ্যশ্যে হাঁটা। মানুষের অন্তর যিনার আকাঙ্ক্ষা করে আর সে আকাঙ্ক্ষাকে যোনাঙ্গ সত্যায়ন করে বা মিথ্যায় পরিনত করে।এ হাদিস দ্বারা বুঝা যায় কুদৃষ্টি দেয়া এটা যিনার অন্তর্ভুক্ত।
★এমন কি হাদিস শরীপে কোন মৃত মানুষের দিকে কুদৃষ্টি দেয়া থেকে নিষেধ করা হয়েছে।যেমন এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)বলেন,
(لا تُبْرِزْ فَخِذَكَ وَلاَ تَنْظُرْ إلَى حَيَ وَلاَ مَيّتٍ (أبو داود) ، অর্থাৎ তুমি কখনও তোমার উরুকে কারও সামনে প্রকাশ করিও না এবং কোন জীবিত ও মৃত মহিলার দিকে কুদৃষ্টি দিও না।
★পরিশেষে সকলকে উদাত্ত আহবান জানাব যে, নারী, পুরুষ সকলেই কুদৃষ্টি থেকে নিজের চক্ষুকে হেফাজত করুন।আশা করা যায় এটার বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে জাহান্নামের আগুন থেকে হেফাজত করবে এবং বেহেশতের চিরশান্তিতে জায়গা করে দিবে।যেমন এক হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেন, اضْمَنُوا لِي سِتًّا مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَضْمَنْ لَكُمْ الْجَنَّةَ اصْدُقُوا إِذَا حَدَّثْتُمْ وَأَوْفُوا إِذَا وَعَدْتُمْ وَأَدُّوا إِذَا اؤْتُمِنْتُمْ وَاحْفَظُوا فُرُوجَكُمْ وَغُضُّوا أَبْصَارَكُمْ وَكُفُّوا أَيْدِيَكُمْ [ أحمد في مسنده وابن حبا
অর্থাৎ তোমরা আমাকে ছয়টি জিনিসের প্রতিশ্রুতি দাও, তাহলে আমি তোমাদেরকে বেহেশতের প্রতিশ্রুতি দিব।আর সে প্রতিশ্রুত ছয়টি জিনিস হল-
1-যখন তোমরা কথা বলবে তখন সত্য কথা বলবে।
2-যখন অঙ্গিকার করবে তখন অঙ্গিকার পূরন করবে।
3-যখন তোমাদের নিকট কোন কিছু আমানত রাখা হবে তখন তা আদায় করবে।
4-তোমরা তোমাদের গোপনাঙ্গকে হেফাজত করবে।
5-তোমাদের দৃষ্টিকে কুদৃষ্টি থেকে হেফাজত করবে।
6-এবং তোমাদের হাতকে অন্যায় থেকে বিরত রাখবে।
★আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা নুরের 30 নং আয়াতে ইরশাদ করেন,
ﻗُﻞ ﻟِّﻠْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳَﻐُﻀُّﻮﺍ ﻣِﻦْ ﺃَﺑْﺼَﺎﺭِﻫِﻢْ ﻭَﻳَﺤْﻔَﻈُﻮﺍ ﻓُﺮُﻭﺟَﻬُﻢْ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺯْﻛَﻰ ﻟَﻬُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺧَﺒِﻴﺮٌ ﺑِﻤَﺎ ﻳَﺼْﻨَﻌُﻮﻥَ
অর্থাৎ হে নবী (সাঃ),আপনি মুমিন পুরুষদেরকে বলে দিন,তারা যেন তাদের চক্ষুকে পর নারী থাকে অবনত রাখে এবং তাদের চতরকে হেফাজত করে।এভাবে চলাই হল তাদের জন্য পবিত্রতম।আর নিশ্চয় তারা যাই করুক না কেন আল্লাহ সে সম্পর্কে অবগত।অত্র আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নারীদের থেকে চক্ষু অবনত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।সুতরাং যারা নারীদের দিকে কুদৃষ্টি দিবে তারা প্রকারান্তরে আল্লাহর নির্দেশকে অমান্য করল।
★কোরআন শরীপের সুরা ইয়াসিনের 65 নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﻧَﺨْﺘِﻢُ ﻋَﻠَﻰٰ ﺃَﻓْﻮَﺍﻫِﻬِﻢْ ﻭَﺗُﻜَﻠِّﻤُﻨَﺎ
ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ ﻭَﺗَﺸْﻬَﺪُ ﺃَﺭْﺟُﻠُﻬُﻢْ ﺑِﻤَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻜْﺴِﺒُﻮﻥَ
অর্থাৎ আজকে (হাশরের মাঠে)আমি তাদের মুখের উপরে মোহর মেরে দিব আর তাদের হাত কথা বলা শুরু করবে এবংতাদের দুপা যা যা করছে সব কিছেু তাদের বিপক্ষ স্বাক্ষ দেওয়া শুরু করবে।এ আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, কিয়ামতের মাঠে মানুষের অঙ্গ -প্রতঙ্গ মানুষের বিপক্ষে স্বাক্ষ দিবে।সুতরাং আমরা যদি কোন নারীর দিকে কুদৃষ্টি দিই তাহলে কিয়ামতের মাঠে এই চক্ষু আমাদের বিপক্ষে স্বাক্ষ দিবে।
★অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺴَّﻤْﻊَ ﻭَﺍﻟْﺒَﺼَﺮَ ﻭَﺍﻟْﻔُﺆَﺍﺩَ ﻛُﻞُّ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺴْﺌُﻮﻟًﺎ (( [ ﺍﻹﺳﺮﺍﺀ 36: ]
অর্থাৎ নিশ্চয় তোমাদের চক্ষু, কর্ণ,এবং প্রত্যকেই কেয়ামতের মাঠে জিজ্ঞাসিত হবে।সুতরাং যারা কদৃষ্টি দেয় তাদের একটু চিন্তা ভাবনা করা উচিৎ হাশরের মাঠে আল্লাহ তাদের চক্ষু সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তারা কি উত্তর দিবে?
★রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হাদিস শরীপে ইরশাদ করেন,
إِنَّ النَّظْرَةَ سَهْمٌ مِنْ سِهَامِ إِبْلِيسَ مَسْمُومٌ ، مَنْ تَرَكَهَا مَخَافَتِي
أَبْدَلْتُهُ إِيمَانًا يَجِدُ حَلاوَتَهُ فِي قَلْبِه ( المعجم الكبيرِ " 10215)
অর্থাৎ- আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয় কুদৃষ্টি ইবলিসের বিষাক্ত তীর হইতে একটি তীর।যে ব্যক্তি শুধু আমার ভয়ে কুদৃষ্টি পরিত্যাগ করল আমি তাকে এমন ইমান দিব, যে ইমানের সাধ তার অন্তরে খুব বেশি অনুভব করবে।এই হাদিসে কুদৃষ্টিকে ইবলিসের কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।নাউজুবিল্লাহ!
★আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)ইরশাদ করেন,
ﻣﻦ ﻧﻈﺮَ ﺇﻟﻰ ﻣﺤﺎﺳﻦِ ﺍﻣﺮﺃﺓٍ ﺃﺟﻨﺒﻴﺔٍ ﻋﻦ ﺷﻬﻮﺓٍ ﺻُﺐَّ ﻓﻲ ﻋﻴﻨﻴﻪِ ﺍﻵَﻧُﻚ ﻳﻮﻡَ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔِ ﺍﻟﺮﺍﻭﻱ : - (ﺍﻟﺪﺭﺍﻳﺔ -ﺍﻟﺼﻔﺤﺔ ﺃﻭ ﺍﻟﺮﻗﻢ : 2/225)
অর্থাৎ-যে ব্যক্তি কোন বেগানা নারীর সোন্দর্যের দিকে কুদৃষ্টি দেয় আল্লাহ তায়ালা এটার বিনিময়ে কেয়ামতের মাঠে তার দুচোখে শিষা গলিয়ে লাগিয়ে দিবে। নাউজুবিল্লাহ!
★সহীহ মুসলিমের একখানা হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেন,
فالعينان زناهما النظر ، والأذنان زناهما الاستماع ، واللسان زناه الكلام ، واليدان تزنيان وزناهما البطش ، والرجلان تزنيان وزناهما المشي ، والقلب يهوى ويتمنى ، ويصدق ذلك الفرج ، أو يكذبه
অর্থাৎ-মানুষের দু'চোখের যিনা হল-কুদৃষ্টি দেয়া। আর দু'কানের যিনা হল-অশ্লিল কথা শ্রবন করা।আর জিহ্বার যিনা হল-অশ্লিল বাক্যালাপ করা। দু'হাতের যিনা হল-কাউকে স্পর্শ করা।দু'পায়ের যিনা হল-কোন খারাপ উদ্যশ্যে হাঁটা। মানুষের অন্তর যিনার আকাঙ্ক্ষা করে আর সে আকাঙ্ক্ষাকে যোনাঙ্গ সত্যায়ন করে বা মিথ্যায় পরিনত করে।এ হাদিস দ্বারা বুঝা যায় কুদৃষ্টি দেয়া এটা যিনার অন্তর্ভুক্ত।
★এমন কি হাদিস শরীপে কোন মৃত মানুষের দিকে কুদৃষ্টি দেয়া থেকে নিষেধ করা হয়েছে।যেমন এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)বলেন,
(لا تُبْرِزْ فَخِذَكَ وَلاَ تَنْظُرْ إلَى حَيَ وَلاَ مَيّتٍ (أبو داود) ، অর্থাৎ তুমি কখনও তোমার উরুকে কারও সামনে প্রকাশ করিও না এবং কোন জীবিত ও মৃত মহিলার দিকে কুদৃষ্টি দিও না।
★পরিশেষে সকলকে উদাত্ত আহবান জানাব যে, নারী, পুরুষ সকলেই কুদৃষ্টি থেকে নিজের চক্ষুকে হেফাজত করুন।আশা করা যায় এটার বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে জাহান্নামের আগুন থেকে হেফাজত করবে এবং বেহেশতের চিরশান্তিতে জায়গা করে দিবে।যেমন এক হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেন, اضْمَنُوا لِي سِتًّا مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَضْمَنْ لَكُمْ الْجَنَّةَ اصْدُقُوا إِذَا حَدَّثْتُمْ وَأَوْفُوا إِذَا وَعَدْتُمْ وَأَدُّوا إِذَا اؤْتُمِنْتُمْ وَاحْفَظُوا فُرُوجَكُمْ وَغُضُّوا أَبْصَارَكُمْ وَكُفُّوا أَيْدِيَكُمْ [ أحمد في مسنده وابن حبا
অর্থাৎ তোমরা আমাকে ছয়টি জিনিসের প্রতিশ্রুতি দাও, তাহলে আমি তোমাদেরকে বেহেশতের প্রতিশ্রুতি দিব।আর সে প্রতিশ্রুত ছয়টি জিনিস হল-
1-যখন তোমরা কথা বলবে তখন সত্য কথা বলবে।
2-যখন অঙ্গিকার করবে তখন অঙ্গিকার পূরন করবে।
3-যখন তোমাদের নিকট কোন কিছু আমানত রাখা হবে তখন তা আদায় করবে।
4-তোমরা তোমাদের গোপনাঙ্গকে হেফাজত করবে।
5-তোমাদের দৃষ্টিকে কুদৃষ্টি থেকে হেফাজত করবে।
6-এবং তোমাদের হাতকে অন্যায় থেকে বিরত রাখবে।