Tuesday, June 13, 2017

★নাস্তিক ও অহিন্দুদের ব্যাপারে হিন্দুধর্ম কি বলে?

হিন্দ বা হিন্দু ধর্মের গ্রন্থগুলিতে যুদ্ধের ব্যপক বর্ণনা রয়েছে । ভারতের ধর্মভিত্তিক কাব্য গ্রন্থ মহাভারত এবং রামায়নের মূলবিষয় ইহল যুদ্ধ বিগ্রহ , হানাহানী, মারামারি । মহাভারতের উদ্যোগ পর্ব, ভীষ্ম পর্ব, দ্রোন পর্ব, কর্ণপর্ব, শল্যপর্ব, প্রভৃতিতে যুদ্ধের ধ্বংসলীলার কথা বর্ণিত হয়েছে। ভারতের বুকে অতীতে যে রক্ত গঙ্গা প্রবাহিত হয়েছিল তার বর্ণনা ঐ সব পর্বে বিস্তারিত ভাবে বিবৃত হয়েছে । রামায়নের রাম বাবনের যুদ্ধের কাহিনী কবি বাল্মিকীর বিষয় বস্তু । মহাভারতের একটি অংশের নাম গীতা । গীতা অর্থ গীত বা গান । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এই গান রচিত হয়েছিল । কৃষ্ণ (কাল) অর্জুন (সাদা) প্রতীকের মাধ্যমে কথোপকথন এই গানের বিষয়বস্তু ।

গীতার মতে যুদ্ধক্ষেত্র কুরক্ষেত্র, ধর্মক্ষেত্ররূপে স্বীকৃত । ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেত যুযুৎসব I অর্জুন শুভ্র বা কোমল অন্তরের মানুষ । তিনিযুদ্ধ, হত্যা রক্তপাত পছন্দ করতেন না । তিনি ছিলেন যুদ্ধবিরোধী শান্তি প্রিয় সাদা অন্তরের মানুষ । অপরদিকে কৃষ্ণরূপে যাকে চিত্রিত করা হয়েছে তিনি ছিলেন যুদ্ধের পক্ষে । হত্যা এবং ধ্বংস তার কাছে অতি সাধারণ বিষয় অর্জুন যখন বললেন, আমি যুদ্ধ করব না তখন কৃষ্ণ বললেন  হে পার্থ কাতর হইওনা ।
 এই পৌরুষ হীনতা তোমাকে শোভা পায়না(২/৩)।
 প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তিরা কি মৃত, কি জীবিত কাহারও জন্য শোক করেন না (২/১১) ।
 গতানূগতা সূংশ্চনানু শোচন্তি পন্ডিত । অতএব তুমি যুদ্ধ কর (২/১৮)
যুধ্যস্ব ভারত । ধর্ম যুদ্ধ অপেক্ষ ক্ষত্রিয়ের পক্ষে শ্রেয় আর কিছু নাই । ধর্মাদ্ধি যুদ্ধাচ্ছ্রেয়োহনাৎ ক্ষত্রিয়স্য নবিদ্যতে (২/৩১)
হত বা প্রাপ্ন্যসি স্বর্গ জিত্বাবা ভোক্ষ্য সেম হীম (২/৩৭)
এই যুদ্ধে হত হলে স্বর্গ লাভ আর জয়ী হলে পৃথি বীলাভ ।

এত সব লোভনীয় বক্তব্যের পরও অর্জুন অস্ত্র ত্যাগ করে বসে আছেন । তিনি কোন মতেই যুদ্ধ করবেন না ।
 অপরদিকে কৃষ্ণ বার বার বলে যাচ্ছেন, নিরাশী নির্মমোভূত্বা যুধ্যস্ব বিগত জ্বর(৩/৩০)
কামনা ও মমতা শূণ্য হয়ে শোক ত্যাগ করে তুমি যুদ্ধ কর ।গীতা কোন আবতীর্ণ গ্রন্থ নয় । কুরুক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে অবতার কৃষ্ণ এহেন দীর্ঘ বক্তৃতা প্রদান করেছিলেন বলেও গুণীজন বিশ্বাস করেন না ।
বঙ্কিম চন্দ্র চট্রোপাধ্যায় বলেছেন , গীতা গ্রন্থখানী ভগবত প্রণীত নহে, অন্য ব্যক্তি ইহার প্রনেতা ( রচনাবলী,৬৯৩পৃঃ )
তিনি আরো বলেছেন, যুদ্ধ ক্ষেত্রে উভয় সেবার সস্মুলে রথ স্থাপিত করিয়া কৃষ্ণার্জুনে যথার্থ এইরূপ কথোপকথন যে হইয়াছিল তাহা বিশেষ সন্দেহ (রচনাবলী ) অনেকের মতে গীতা শঙ্করাচার্য প্রণীত । রচনার পর এটিকে মহাভারতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়
(ভারতেবিবেকানন্দ, ৪২৪পৃঃ)

হিন্দুধর্ম অনুযায়ী যারা নাস্তিক ও অহিন্দু  তাদেরকে   পা দিয়ে মাড়িয়ে হত্যা করা, তাদের উপর রাগান্বিত হওয়া,তাদের ধনসম্পদ ছিনিয়ে আনা এবং তাদের সাথে যুদ্ব করে গনিমত হিসেবে তাদের সম্পদকে ও মহিলাদের   হস্তগত করা ইত্যাদি সকল কাজই বৈধ।কিন্তু বহুকাল পর্যন্ত হিন্দুধর্ম সম্পর্কে মানুষ না জানার কারনে এই চিনিসগুলো জানতো না কারন হিন্দু ধর্ম সকলের পড়ার অনুমতি ছিল না ।এখন ইন্টারনেটের কারনে মানুষ আস্তে আস্তে এ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতেছে।নিম্নে হিন্দু ধর্মে   নাস্তিক ও অহিন্দুদের ব্যাপারে কি বলা হয়েছে সে  সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করা হল-

★“যে লোক ঈশ্বরের আরাধনা করে না এবং যার মনে ঈশ্বরের প্রতি অনুরাগ নেই,তাকে পা দিয়ে মাড়িয়ে হত্যা করতে হবে।” (ঋগবেদ ১।৮৪।৮)

“তাদেরকে হত্যা কর, যারা বেদ ও উপাসনার বিপরীত।” অথর্ববেদ ২০/৯৩/১,

এই ব্যাপারে সরাসির বেদাঙ্গ এ রয়েছে, যারা অবিশ্বাসী ও ঈশ্বরের আরাধনা করে না তাদেরকে পাড়িয়ে মারার কথা।
নিরুক্ত ৫/১৭ ,


★“হে ঈশ্বর,যারা দোষারোপ করে বেদ ও ঈশ্বরের তাদের উপর তোমার রাগ বর্ষণ কর।”
                                       (ঋগবেদ ২।২৩। ৪
এর কমেন্টারিতে স্বামী দয়ানন্দ স্বরস্বতি লিখেছেন,  “যারা বেদ ও ঈশ্বর বিরোধি তারা হচ্ছে পাপী, এটাই হচ্ছে পার্থক্য ঈশ্বরের ভজনকারী ও অবিশ্বাসীর মধ্যে।”

★গবাদিপশুগুলো কি করছে নাস্তিকদের এলাকায়,যাদের বৈদিক রীতিতে বিশ্বাস নেই? যারা সোমার সাথে দুধ মিলিয়ে উতসর্গ করে না এবং গরুর ঘি প্রদান করে যজ্ঞও করে না? ছিনিয়ে আনো তাদের ধনসম্পদ আমাদের কাছে”। (ঋগবেদ ৩।৫৩।১৪)

স্বামী দয়ানন্দ স্বরস্বতি এর কমেন্টারিতে লিখেছে,“আলোকিত মানুষদের(আর্য) মধ্যে নাস্তিকরা কখনোই বেড়ে উঠবে না। এজন্য একজন জ্ঞানীর উচিত নাস্তিকতাবাদকে সমুলে উৎপাটন করে ফেলা।”


★কীকটবাসী [বেদের বাহিরের লোক] তাহারা গাভীর কি উপযোগ নেয়, না পানযোগ্য দুধ আদি দোহন করে, এবং না ঘৃতকে উত্তপ্ত করে। হে ঐশ্বর্যবান! নিজ ধন আমোদ প্রমোদে ব্যয়কারী পুরুষের ধনকে আমাদের প্রাপ্ত করাও আমাদের মধ্যে কুপ্রবৃত্তিবান লোক কে দমন করো "। (ঋগবেদ ৩/৫৩/১৪, জয়দেব শর্মা)

★“সেনাপ্রধান হিংস্র ও নির্দয়ভাবে শত্রুদের পরিবারের সদস্যদের সাথেও যুদ্ধ করবে।”(যজুর্বেদ ১৭।৩৯)

" এবং যজুর্বেদ ৭/৪৪ বলা হয়েছে, তাদের যুদ্ধের মাধ্যম বশ্যতা স্বীকার করাতে হবে”।

“শত্রূদের পরিবারকে হত্যা করো,তাদের জমি ধংস করো”। (যজুর্বেদ ১৭/৩৮)

"হে সেনাপ্রধান,আমাদের আশা পুর্ণ করো। হে ধনসম্পদের বাদশা,তোমার সহায়তায় আমরা যেন সম্পদশালী হতে পারি এবং যুদ্ধে জয় লাভ করে প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হতে পারি।” (যজুর্বেদ ১৮/৭৪)

★বেদ অনুসারে যে ব্যাক্তি কোন ব্রাক্ষণের ক্ষতি করে দেখুন তার প্রতি কি আদেশ,
“যে ব্যাক্তি ব্রাক্ষণের ক্ষতি করে ব্রাক্ষণের গরু নিজের কাজে লাগায়, তাকে ধংস করে দাও।”
                                   (অথর্ববেদ ১২/৫/৫২,)
 এই সুক্তেরই ৬২ নাম্বার মন্ত্রে আর্য সমাজের মুল ওয়েবসাইটে বলা আছে,
 “তু বেদ নিন্দুককো কাট ডাল, চির ডাল, ফাড় ডাল, জ্বালা দে, ফুক দে, ভষ্ম কর দে,”
অর্থাৎ বেদের নিন্দাকারীকে, কেটে ফেল, চিড়ে ফেল,ফেড়ে ফেল,জ্বালিয়ে দাও,ফুকে দাও,ভষ্ম করে দাও। (অথর্ববেদ ১২/৫/৬২,)

অথর্ববেদ ১২/৫/৫৪ এর কমেন্টারিতে তারা লিখেছে,“বেদানুযায়ী সত্যবীর পুরুষ নাস্তিকোকা নাশ করে”
অর্থঃ বেদ অনুযাই সত্যবীর পুরুষ নাস্তিকদের হত্যা করবে।

★শত্রুদের হত্যা কর ও তাদের জায়গা জমী ও রান্নাঘর ধংস কর। (যজুর্বেদ ১৩/১৩),

 “যুদ্ধই তোমাদের উন্নতির উৎস, এজন্যই তোমাদেরকে আমি যুদ্ধে প্রেরন করি”
 (যজুর্বেদ ৭/৩৮,)

★বেদাংগেও আছে,
শত্রুদের ধংস করে তাদের সম্পদ কেড়ে আনো। তাদের সম্পদ ও খাদ্য ঘর থেকে ছিনিয়ে আনো।”( নিরুক্ত ৪/৫ ,)


★গাড়ি, ঘোড়া, হাতি, অর্থ, শস্য , গবাদিপশু ও নারী তার দখলে যে যুদ্ধের মাধ্যমে তা জয় করে। (মনুসংহিতা ৭/৯৬,)
অর্থাৎ শত্রু পরিবারের নারীরাও যাবে দখলকারীর ভোগের জন্য।

আর যজুর্বেদ ২৯/৩৯ এ, এভাবেই যুদ্ধে ধনসম্পদ লুট খুনের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব দখল করতে বলছে। এবং একিসাথে এই মন্ত্রে স্পষ্টভাবে কোন আত্তরক্ষার্থে নয় বরং যারা শান্তিপ্রিয় তাদেরকে আক্রমন করে দখল করতে বলছে,
 “আমরা যেন সামরিক অস্রের মাধ্যমে বিশ্ব দখল করতে পারি, আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আমরা যেন শান্তিপ্রিয় বা আরামপ্রিয় শত্রুদের বিরুদ্ধে জয় লাভ করতে পারি। এভাবে অস্র দিয়ে আমরা যেন সারা বিশ্বের সকল অঞ্চলকে বশ্যতা স্বীকার করাতে পারি।”

এজন্যই বেদ শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার প্রতি যার রয়েছে অস্র।
“তার প্রতি শ্রদ্ধা, যার রয়েছে তলোয়ার, তীর। তার প্রতি সন্মান যার রয়েছে ধারালো অস্র। তার প্রতি খাদ্য নিবেদন যার রয়েছে ভাল অস্র।” (যজুর্বেদ ১৬/৩৬,)
সম্মানিত পাঠক উপরের আলোচনা থেকেই চিন্তা করে দেখুন হিন্দুধর্মের যুদ্বনীতী কত জটিল ও মারাত্নক যেখানে শান্তিপূর্ন অবস্হায়ও আক্রমন করা যাবে।বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে করুন-https://m.facebook.com/notes/md-rafat-rahman/বেদ-এ-অমানবিকতা-ও-নাস্তিক-অবিশ্বাসী-হত্যার-বিধানঃ/1476690319305165/










Saturday, June 10, 2017

★ইসলামের নাম দিয়ে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম কারা চালায় দেখুনঃ

ইসলাম হল-এই বিশ্বভ্রম্মাণ্ডের স্রষ্টা আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা।এখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিন্দুমাত্র স্থান নেই।আল-হামদুলিল্লাহ  বর্তমানে সারা বিশ্বে যেভাবে মুসলিমের  সংখ্যা বৃদ্বি পাচ্ছে বিবিসির ভাষ্যমতে আগামী ২০৭০ সালের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায় হয়ে যাবে বিশ্বের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ট।
বিস্তারিত লিঙ্ক- http://www.bbc.com/bengali/39301022
আর ইসলামের এই ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রাকে রুখতে ইহুদী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ,এমেরিকান গোয়োন্দা সংস্হা সিআইএ ,ভারতের সন্ত্রাসী গোষ্টি আর এস এস এবং খ্রীষ্ঠান মিশনারীরাসহ অসংখ্য গোষ্টি কোঁমরে গামছা বেধে নেমেছে।
তারা ইসলামের বিরুদ্বে যতগুলো প্লান নিয়ে  নেমেছে তার মধ্যে একটি প্লান হচ্ছে -তারা কিছু মুসলিমকে টার্গেট করে তাদের ব্রেইন ওয়াশ করে কোরআন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাদেরকে মন্ত্রাসী কার্যক্রমের দিকে ধাবিত করতেছে।এজন্য তারা হাজার হাজার টাকা ব্যয় করতেছে।
ইসলামের নাম দিয়ে বিশ্বের জায়গায় জায়গায় কিছু উগ্রপন্থি মন্ত্রাসী গোষ্টি  সৃষ্টি করে বোমাবাজি করে ইসলাম ও মুসলিমদের কলুষিত করছে।
সত্য কখনও গোপন থাকেনা মিডিয়ার কারনে আমরা আজ এসবের  অনেক কিছুই  বুঝতেছি।
যেমন দেখুন-  কাশ্মীরে লস্করের সদস্য  'হিন্দু জঙ্গি' আটক-:http://www.bbc.com/bengali/news-40578276

বাম পন্থি নেতা Fidel Castro বলেছিলেন ""ISIS তৈরি করেছে ইসরাইল""
http://www.haaretz.com/world-news/americas/1.755429?v=975E9D335856D438F64D7A3FFA5D3DB6

সৌদি-আরবে-হামলার-হুমকি-আইএস'র
http://www.jugantor.com/online/international/2017/06/10/49233/

গুঁড়িয়ে-দেওয়া-আইএস-ঘাঁটি-সিআইএ’র-তৈরি-ব্যবহার:
http://m.banglatribune.com/foreign/news/198415/

আইএসের প্রধান আবু বকর বাগদাদি ইহুদি গোয়েন্দা সংস্হা  মোসাদের লোক:
www.jugantor.com/old/first-page/2015/11/18/9398


ইসরাইলে হামলার পর আইএসের ক্ষমা প্রার্থণা।
http://www.jugantor.com/online/international/2017/04/27/45761


আইএসের ব্যাপারে সৌদি আরবের গ্রাণ্ড মুফতির ফতোয়া:::
http://youtu.be/eZO8cs0IR8k

আইএসের নামে ওয়েবসাইট চালায় ভারতের হিন্দুরা:::
http://www.news-bangla.net/newsdetail/detail/34/304952

পাকিস্তানে সেনা অভিযানে আইএসের ৮ কমান্ডার নিহত :::
http://m.dailynayadiganta.com/?/detail/news/225877

ইরানে-জোড়া-হামলা:-দায়-স্বীকার-আইএসের:::
http://www.jugantor.com/online/international/2017/06/07/48983/

১: ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরই আইএস ফ্রান্সে দুইবার সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
২: জাপান ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরই দুই জাপানি অপহৃত হয় ও আইএস তাদের হত্যা করে
৩/ ইন্দোনেশিয়া ফিলিস্তিনের গাজায় একটি হাসপাতাল
প্রতিষ্ঠা করার পরই আইএস জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম এই মুসলিম রাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা চালায়
৪/ ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বেলজিয়াম একটি বৈঠকের আয়োজন করার পরই আইএস ইউরোপের এই দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
৫/ মে মাসে
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে
কিছু বক্তব্য দেয়া হয়। ইসরায়েলের একজন উচ্চ প্রভাবশালী এনালিস্ট মেন্দি সাফাদিকে গুপ্তচর হিসেবে আখ্যা দিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিএনপি নেতা আসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেড় মাসের মাথায়
আইএস
বাংলাদেশে এমন একটি
ভয়ানক সন্ত্রাসী হামলা ঘটালো।
৬/ বৃটেনে নির্বাচনে মুসলিম প্রার্থীরা ভালো অবস্থানে থাকায় এবং একজন প্রার্থী ইসরাইল বিরোধী কথা বলায় আই এস এর হামলা হয়, (একই কারণে জার্মানীতেও আইএস হামলা হয়েছিল)

এত প্রমান থাকার পরও যারা এ সমস্ত সন্ত্রাসী গোষ্টির কারনে ইসলামকে কলুষিত করতে চায় তাদের হয়ত বলতে হবে:- চরম অজ্ঞ নতুবা চরম ইসলাম বিদ্বেষী।
তাদেরকে বলতে চাই, ইসলাম পৃথিবীর শুরু থেকেই ছিল বর্তমানেও আছে কিয়ামত পর্যন্ত  থাকবে  ইনশাল্লাহ কিন্তু যারা অন্ধভাবে ইসলামের বিরোধীতা  করে যাচ্ছে তারা কিন্তু ফেরাউন,নমরুদের মতই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

তবে এটা ঠিক যে, বর্তমানে অধিকাংশ মুসলিমরা কোরান ও হাদিসের আমল থেকে দুরে থাকার কারনেই তারা বিশ্বে বিভিন্নভাবে অপমানিত হচ্ছে।আর মুসলিমদের উপর এরকম কিছু বিরুপ অবস্থা কেয়ামতের আগে পতিত হওয়ার ব্যাপারে  রাসুল (সাঃ) আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগেই ভবিষ্যতবাণী করে গেছেন।রাসুলের ভবিষ্যতবাণী ১০০% সঠিক সুতরাং চিন্তার কোন কারন নেই।আমাদেরকে মজবুতভাবেই কোরআন ও হাদিসকে আঁকড়ে ধরতে হবে তাহলে আমরাই হব-এই পৃথিবীর শ্রেষ্ট জাতী।
যেমন আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন,"তোমরাই হলে এই পৃথিবীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট জাতি।তোমাদের বাছাই করা হয়েছে সারা বিশ্বের মানুষদের কল্যান সাধনের জন্য। তোমাদের কাজ হল-তোমরা মানুষকে ভাল কাজের আদেশ দিবে ,খারাপ কাজ থেকে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর প্রতি পরিপূর্নরুপে ইমান রাখবে।"(আলে ইমরান-১১০)

★ব্রিটিশ নও মুসলিম ক্যাট স্টিভেন্সের ইসলাম গ্রহণের কাহিনী::::::

সাবেক পপ-তারকা ক্যাট স্টিভেন্স একজন বিখ্যাত নও-মুসলিম। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের এক খ্রিস্টান পরিবারে। তার বাবা ছিলেন একজন গ্রিক অর্থোডক্স খ্রিস্টান ও মা ছিলেন সুইডিশ ক্যাথলিক। অথচ স্টিভেন্স ব্রিটেনের প্রোটেস্টান্ট খ্রিস্টান সমাজে বসবাস করতে প্রোটেস্টান্ট ধর্মমত অনুযায়ী। মায়ের উৎসাহ পেয়ে স্টিভেন্স গান শেখেন। ফলে ২০ বছর বয়স হওয়ার আগেই তার ৮টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় এবং ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।
স্টিভেন্স ১৯৬৯ সালে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হন। তার শারীরিক অবস্থা এতই খারাপ হয়ে পড়েছিল যে চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছিলেন। প্রায় এক বছর ধরে হাসপাতালে থাকার পর তার মধ্যে বড় রকমের মানসিক পরিবর্তন ঘটে। এ সময় তিনি গভীর আগ্রহ নিয়ে প্রাচ্যের নানা ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করেন। এরপর থেকে তার গানের ভাবধারা ও পরিবেশ বদলে যেতে থাকে এবং সেগুলো হয়ে উঠতে থাকে আধ্যাত্মিক অর্থবহ।

স্টিভেন্স মরক্কো সফরে গেলে সেখানে আযানের সুমিষ্ট ধ্বনি তাকে বেশ আকৃষ্ট করে। এ সময় তার মনে যে ভাবনার উদয় হয়েছিল তা শোনা যাক তারই কথায়:
মনে মনে ভাবলাম,আল্লাহর জন্য সঙ্গীত? এমন বিষয় তো আর কখনও শুনিনি। অর্থের জন্য সঙ্গীত, খ্যাতির জন্য সঙ্গীত এবং ব্যক্তির গায়ের জোর বা শক্তির জন্য সঙ্গীত—এ ধরনের কথা তো শুনেছি;কিন্তু আল্লাহর জন্য সঙ্গীতের কথা কখনও শুনিনি।
স্টিভেন্স-এর পরবর্তী গানের ক্যাসেটগুলো আরো বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ক্যাট স্টিভেন্সের ভাই ডেভিড জানতেন ক্যাট বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনা করতে খুব ভালবাসেন। তাই মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় ডেভিড তার ভাইয়ের জন্য ইংরেজি ভাষায় অনুদিত পবিত্র কুরআনের একটি কপি সংগ্রহ করেন এবং দেশে ফিরে এসে ওই কপিটি তার ভাইকে উপহার দেন।
পবিত্র কুরআন পড়ে ক্যাট স্টিভেন্স এত অভিভূত হন যে তিনি ইসলাম সম্পর্কে সার্বিক গবেষণা ও পড়াশুনা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন:
“পবিত্র কুরআনের যে দিকটি সব কিছুর আগে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল তা হল এ মহাগ্রন্থের কভারের ওপর লেখকের কোনো নাম ছিল না। এ উপহার ছিল এমনই মূল্যবান সম্পদ যে তা আমার জীবনকে বদলে দিয়েছে।
যাই হোক,শুরু করলাম কুরআন অধ্যয়ন । যতবারই এ মহাগ্রন্থ পড়তাম ততবারই প্রশান্তি অনুভব করতাম । মনে হত এ কুরআন যেন আমার জন্যই লেখা হয়েছে, তাই বার বার পড়েও তৃষ্ণা মিটত না। পবিত্র কুরআন পড়ে বুঝতে পারলাম যে ইসলামই হল সেই ধর্ম যার সন্ধান আমি করছিলাম। কারণ, আমার মনের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছি এ মহান ধর্মে।
পবিত্র কুরআন আমার ওপর প্রভাব ফেলেছে কল্পনার চেয়েও অনেক গুণ বেশি। আমি বুঝতে পারলাম যে কুরআনের শাশ্বত বাণী নাজিল হয়েছে গোটা মানব জাতির চিরন্তন সৌভাগ্যের জন্যই। এ মহাগ্রন্থের বাণী খুবই সহজ ও স্পষ্ট। কুরআনের শব্দগুলো আমাকে খুবই বিস্মিত করে । এ পর্যন্ত জীবনে যত বই পড়েছি তার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা বা ব্যতিক্রমধর্মী লেগেছে এ মহাগ্রন্থ।

পবিত্র কুরআন পড়ার আগে পার্থিব জীবনকে আমার কাছে এক দুর্বোধ্য রহস্য বা ধাঁধা বলে মনে হত ।এ বিশ্ব জগতের যে একজন স্রস্টা রয়েছেন তা বিশ্বাস করতাম। কিন্তু জানতাম না এই যে স্রস্টা যাকে চোখে দেখা সম্ভব নয় তিনি কে। এটা জানার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু কোনো ফল পাইনি। ঠিক যেন এমন এক নৌকার অবস্থায় ছিলাম যা উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছিল না। কিন্তু যখন পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করলাম তখন অনুভব করলাম যে এ বই যেন আমার সঙ্গে কথা বলছে। এভাবে এ মহাগ্রন্থের বাণীর মধ্যে পুরোপুরি ডুবে পড়েছিলাম।”

পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের পর ধীরে ধীরে ইসলামী মূল্যবোধগুলোকে নিজ জীবনের ওপর প্রয়োগ করছিলেন ক্যাট স্টিভেন্স। মশগুল হতে থাকেন আল্লাহর ইবাদতে। মদ, ক্লাব ও পার্টি—এসব পাপপুণ্য অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলছিলেন। অবশেষে গ্রহণ করেন পবিত্র ইসলাম ধর্ম। এভাবে ক্যাট স্টিভেন্স পরিণত হন ইউসুফ ইসলামে।

ইউসুফ নামটি যোসেফ নামের আরবি রূপ। এই নামটি বেছে নেয়া প্রসঙ্গে সাবেক ক্যাট স্টিভেন্স বা নও-মুসলিম ইউসুফ ইসলাম বলেছেন: “আমি সব সময়ই যোসেফ নামটি পছন্দ করতাম। যে স্কুলে আমি প্রথম ভর্তি হই ও পড়াশুনা করেছিলাম সেই স্কুলটির নাম ছিল সেন্ট যোসেফ। অবশ্য এই নাম বেছে নেয়ার মূল কারণটি হল কুরআনের সুরা ইউসুফ অধ্যয়ন এই সুরা দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে আমার মনকে।” ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর ইউসুফ ইসলাম মুসলমানদের প্রথম কিবলা অধ্যুষিত বায়তুল মুকাদ্দাস শহর সফর করেন। এই পবিত্র শহর সফরের কারণ তুলে ধরে তিনি বলেছেন, “এই পবিত্র স্থানে আমার ভাইয়ের জিয়ারতের সুবাদেই আমি সুপথ তথা ঈমানের সম্পদ পেয়েছি। মসজিদুল আকসা জিয়ারতের সময় যারা আমাকে নও-মুসলিম হিসেবে সনাক্ত করে ফেলে তারা আমার চার দিকে জড় হয় ।

আমি এই মসজিদে নামাজ পড়লাম ও অনেক কাঁদলাম। হায় আলকুদস! এ পবিত্র স্থান মুসলিম বিশ্বের হৃৎপিণ্ড। যতদিন এ হৃৎপিণ্ড অসুস্থ থাকবে ততদিন গোটা মুসলিম বিশ্বই অসুস্থ থাকবে। এই মসজিদুল আকসাকে দখল মুক্ত করা আমাদেরই দায়িত্ব। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জাতিগুলো যদি কুরআন ও এর শিক্ষার আলোকে চলে তাহলে কুদস মুক্ত হবে। আসলে ফিলিস্তিন সংকট কেবল ফিলিস্তিনি জাতির সংকট নয়। বরং গোটা মুসলিম বিশ্ব এই সংকটের সঙ্গে সম্পর্কিত।”

সাবেক পপ তারকা ইউসুফ ইসলাম বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে নিয়ে সঙ্গীতের একটি অ্যালবাম রচনা করেছেন। তার কাছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে সব সময়ই শান্তির প্রতীক বা আদর্শ বলে মনে হয়। নওমুসলিম ইউসুফ ইসলাম মনে করেন ইসলাম এমন এক ধর্ম যা অন্য সব ধর্মের কাছেও শান্তি ও সমঝোতার প্রচার-প্রসার ঘটাচ্ছে।
 তিনি বলেছেন, “বিশ্বনবী (সা.) নিয়ে রচিত সঙ্গীতের (সিডি) অ্যালবামটিতে আমি গোলাপ ফুলের সুঘ্রাণ দিয়েছি। তাই সিডিটি খোলার সাথে সাথেই শ্রোতা সুগন্ধ পান। এটা করার কারণ, গোলাপ ফুল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র অস্তিত্বের প্রতীক। আমি চাই শ্রোতারা যখন এই অ্যালবামের গান শুনবেন তখন যেন তারা এ মহামানবের প্রতীকী সুঘ্রাণ অনুভব করেন”

নও-মুসলিম ইউসুফ ইসলাম এখন ইসলামী জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর প্রয়াস চালাচ্ছেন। মুসলমান হওয়ার পর তিনি কিছু দিন গান গাওয়া ও রেকর্ড করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। বিয়ে করার পর তিনি ব্রিটিশ মুসলিম সমাজের সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন। পপ তারকা হিসেবে তার বার্ষিক আয় ছিল দেড় মিলিয়ন ডলার। তার জমানো সেইসব অর্থ ও ভবিষ্যৎ আয়কে লন্ডন ও অন্যান্য অঞ্চলের মুসলমানদের শিক্ষার কাজে ও অন্যান্য দাতব্য খাতে ব্যয় করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। মানব-দরদি শান্তি মিশন নিয়েও দেশে দেশে সফর করছেন সাবেক ক্যাট স্টিভেন্স। পৃথিবীর উত্তর থেকে দক্ষিণে এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিস্তৃত হয়েছে তার সফর।
এটা সত্য মুসলমান হওয়ার কারণে পাশ্চাত্যের শীর্ষস্থানীয় পপ তারকার পদটি এখন আর তার দখলে নেই, কিন্তু যা তিনি পেয়েছেন তা হল সবচেয়ে বড় সম্পদ তথা ঈমান ও আধ্যাত্মিক প্রশান্তি।

Monday, June 5, 2017

সমুদ্রের পানির মাঝখানে অদৃশ্য দেয়ালের অস্তিত্ব:কুরআন কি বর্ননা করেছে এ ক্ষেত্রে?

কুরআন কারিম সর্বকালের সর্ব যুগের মানুষের জন্য এক আলোকবর্তিকা ও বৈজ্ঞানিক সাংকেতিক সংক্ষিপ্ত বার্তা। পৃধিবীর মাঝে একমাত্র আল-কোরআন ও তার নিয়মাবলী মানুষকে শান্তির ধারায় আনয়ন করতে পারে। কুরআনের এ telegraphic message নাস্তিকতা ও বহুঈশ্বরবাদ হতে হতে মানুষকে হটিয়ে এক আল্লাহর দিকে আহবান করে। আসুন দেখি কি scientific message লুকিয়ে আছে কুরআনের এই আয়াতে যা ১৩৫০ বছর আগে মানুষ ভাবতে পারেনি বা সেভাবে চিন্তা করার যোগ্যতা বা সামর্থ অর্জন করতে সক্ষম হয়নি-
027.061 أَمَّنْ جَعَلَ الأرْضَ قَرَارًا وَجَعَلَ خِلالَهَا أَنْهَارً وَجَعَلَ لَهَا رَوَاسِيَ وَجَعَلَ بَيْنَ الْبَحْرَيْنِ حَاجِزًا أَإِلَهٌ مَعَ اللَّهِ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لا يَعْلَمُونَ
অর্থাৎ-  কে পৃথিবীকে করেছে আবাসযোগ্য এবং তার মধ্যে প্রবাহিত করেছেন নদী-নালা। আর তাতে স্থাপন করেছেন সৃদৃঢ় পর্বতমাল এবং দুই সাগরের মাঝখানে সৃষ্টি করেছেন অন্তরায়। আল্লাহর সঙ্গে কি অন্য কোনো ইলাহ আছে? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।
(নামাল, ২৭ : ৬১)
055.019 مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ

055.020 بَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لا يَبْغِيَانِ

055.021 فَبِأَيِّ آلاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অনুবাদ:তিনি দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন, যারা পরস্পর মিলিত হয়। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক আড়াল, যা তারা অতিক্রম করতে পারে না। অতএব (হে মানব ও দানব) তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোনো নিয়ামতকে অস্বীকার করবে? (রহমান, ৫৫ : ১৯- ২১)

★সামুদ্রিক বিজ্ঞানিদের আবিষ্কার-:
                      গত ১৩৫০ বছরে এই আয়াতগুলির ব্যাখ্যা পূর্ববর্তী প্রজন্মের কাছে ছিল এক অজানা রহস্য। কিন্তু বর্তমানে Marine Science বা Oceanologist সামুদ্রিক বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক গবেষণা ও আবিষ্কারের ভিত্তিতে আমরা এখন এই আয়াতগুলির ব্যাখ্যা দিতে পারি বলা যায় পানির মতো পরিষ্কার কুরআনিক তথ্য।। উষ্ণ পানির স্রোতধারা বিশ্বের শীতল সাগরগুলোর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার সাগরসমূহে এ ধরনের স্রোতের প্রবাহ পরিলক্ষিত হয়। আশ্চর্য হলেও সত্য যারা মনে করেন রাসুল (সাঃ) আরব সাগরের কাছে গিয়ে হটাৎ করে এ তত্ব আবিষ্কার করেছেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানাই এ ধরনের স্রোত কেবল শুধু আরব উপদ্বীপের চারপাশেই সম্পূর্ণ অনুপস্থিত, বরং ভূমধ্যসাগরীয় ও ভারতীয় অঞ্চলসমূহেও এ স্রোতের দেখা পাওয়া যায়না। সর্বপথম এ প্রকারের স্রোতধারা আবিষ্কৃত্র হয় ১৯৪২ সালে। বর্তমানে সেগুলিকে অত্যন্ত জটিল গানিতিক ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে ও  কৃত্রিম satellite- এর মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে।
★আরো বিশ্লেষন-:
কুরআন মাজিদের এটিও অতুলনীয় আলৌকিকতা যে, তা এমন একটি রহস্যের দিকনির্দেশনা দিয়েছে, যা তৎকালে তথাকার কোনো আরব প্রত্যক্ষ করাতো দুরের কথা ভাবেওনি, যেখানে বা যে সময়ে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম গ্রহণ করেন। পূর্বে বর্ণিত কুরআন কারিমের আয়াত দুটি বোঝায়,
‘আল্লাহ তাআলা দু’টি সমুদ্রকে প্রবাহিত করেছেন এবং সেখানে দুই সাগরের মাঝখানে রয়েছে একটি অদৃশ্য দেয়াল বা আড়াল।’

অতিসম্প্রতি Oceanologist scientist-গন আবিষ্কার করেছেন, পানির এই দুই স্রোতধারা তিনটি মৌল নিয়ম অনুসরনের ফলে পানির মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে তা হলো-
 ১) ঘনত্ব

২) লবণাক্ততা

৩)ও উচ্চতার

তারা এও আবিষ্কার করেছেন, যখন পানির বাইরের স্রোতধারা ভেতরের স্রোতধারার দিকে প্রবাহিত হয় কিংবা তার বিপরীত অবস্থা ঘটে, তখন অন্য স্রোতের পানি তা তৎক্ষণাৎ তার অবস্থা বদলে ফেলে। যদিও আপাতদৃষ্টিতে আমরা দেখি সেখানে দুই ধরনের পানি স্বাধীনভাবে মিশে যায়, তথাপি উভয় প্রকৃতির পানি তাদের স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট্য রক্ষা করে চলে। অর্থাৎ পরিষ্কারভাবে সংক্ষিপ্তাকারে বললে বলতে হয় – পানির স্ব গুনাগুন বজায় থাকে যা অন্য পনির সাথে মিশ্রিত হয়না।কুরআন কারিম এমন একটি জটিল রহস্য বর্ননা করেছে, বিজ্ঞানীরা তা আবিষ্কার করার বহু শতাব্দী পূর্বে।

যেমন রোম সাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর  পানি একটি অপরটির সাথে মিশতে পারে না, কারণ সেখানে রয়েছে অন্তরায়। অথচ যে যুগে এ ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর কোন যন্ত্র পাতি ছিল না। এমন যুগে কুরআন বলে দিচ্ছে:
مرج البحرين يلتقيان بينهما برزخ لا يبغيان
তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরায়, যা তারা অতিক্রম করে না। (সূরা রাহমান ১৯-২০)

বিভিন্ন তাফসীরে বর্ণিত হয়েছে যে, দুই সমুদ্র বলতে মিঠা ও লোনা সমূদ্র বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে উভয় প্রকার সাগর ও নদী সৃষ্টি করেছেন। কিছু কিছু স্থানে  দু’দরিয়া এক সাথে মিলিত হয়ে যায়, যার উদাহরন পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে আমরা দেখতে পাই। কিন্তু যে স্থানে মিষ্টি ও লোনা দুপ্রকার নদী বা সাগর মুখোমুখি বা পাশাপাশি প্রবাহিত হয় সেখানে বেশ দুর পর্যন্ত উভয়ের পানি আলাদা ও স্বতন্ত্র থাকে। একদিকে থাকে মিষ্টি পানি ও অপরদিকে থাকে লোনা পানি। কোথাও কোথাও এই মিষ্টি ও লোনা পানি উপরে নীচেও প্রবাহিত হয় (ঘনত্ব, লবণাক্ততা ও উচ্চতার কারনে )।  পানি তরল ও সূক্ষ্ম পদার্থ হওয়া সত্ত্বেও পরস্পরে মিশ্রিত হয় না।

★খ্যাতনামা Marine Biologist Jack V Costa-র আবিষ্কার-:
ফ্রান্সের বিজ্ঞানী জাক ভি. কোষ্টা, যিনি সমুদ্রের ভিতর পানি রিসার্চ বিষয়ে প্রসিদ্ধ, তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন রোম সাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগর রাসায়নিক মিশ্রনের গুনাবলী ও মাত্রার দিক থেকে একটি অন্যটির চেয়ে ভিন্ন রকম। তিনি এ বাস্তব সত্যটি হাতেনাতে প্রমানের উদ্দেশ্যে জিব্রাল্টারের দুই সমুদ্রের মিলন কেন্দ্রের কাছাকাছি সমুদ্রের তলদেশে গবেষণা চালালেন, সেখান থেকে তথ্য পেলেন যে জিব্রাল্টারের উত্তর তীর [মারুকেশ] আর দক্ষিণ তীর [স্পেন] থেকে আশাতীতভাবে একটি মিষ্টি পানির ঝর্ণা উথলে উঠে। এ বড় ঝর্ণাটি উভয় সমুদ্রের মধ্য দিয়ে ৪৫ সূক্ষ্ম কোনে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হয়ে চিরুনির দাঁতের আকৃতি ধারণ করে বাঁধের ন্যায় কাজ করে। এ ক্রিয়াকলাপের ফলে রোম সাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগর একটি আরেকটির সঙ্গে মিশতে পারে না।

দু’টি সমুদ্রের মিলনস্থলে যে পৃথকীকরণ বা পর্দা রয়েছে তা খালি চোখে বুঝার উপায় নেই। কেননা বাহ্যত সব সাগর একই রূপের মনে হয়। শুধু তিনি নন, বরং সমগ্র মেরিন বিজ্ঞানীরাই এই বাঁধা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন। তারা ১৯৪২ সনে শতাধিক মেরিন স্টেশন বসিয়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরীক্ষা করলেন। কোন জিনিস দুই সাগরের মিলন কেন্দ্রে বাঁধা সৃষ্টি করে আছে? তারা তথায় আলো পরীক্ষা করেন, বাতাস পরীক্ষা করেন এবং মাটি পরীক্ষা করে এর মধ্যে কোন বাঁধা বা পর্দা সৃষ্টি করার কারণ খুঁজে পেলেন না। এখানে পানির একটি হালকা, একটি ঘন রং পরিলক্ষিত হয়। যা খালি চোখে প্রত্যক্ষ করা সম্ভব নয়।

এমনকি বিজ্ঞানীরা আরো গভীর ভাবে বিষয়টিকে উপলব্ধির জন্য এবং আরো-পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র-এর দূরের থেকে অনুধাবনের পদ্ধতির মাধ্যমে বা এর মাধ্যমে ছবি ধারণ করেন।যার বর্ণনা এরূপ যে, ভূমধ্য সাগরের পানি গাঢ় নীল এবং আটলান্টিক সাগরের পানি হালকা নীল, আর জিবরাল্টার সেল যা পাহাড়াকৃতির এবং তার রং হল খয়েরি।

ঘনত্ব-উষ্ণতা এবং লবণাক্ততার দিক থেকে ভূমধ্য সাগরের পানি আটলান্টিকের তুলনায় অনেক বেশী। আরো মজার ব্যাপার হলো, ভূমধ্য সাগরের পানি জিবরাল্টার সেল বা সাগর তলের উঁচু ভূমির ওপর দিয়ে আটলান্টিক সাগরের মধ্যে শতাধিক কিলোমিটার প্রবেশ করেছে এবং তা ১০০০ হাজার মিটার গভীরে পৌঁছার পরেও তার উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের ও রঙ্গের কোন পরিবর্তন সাধিত হয়নি। যদিও এতদূভয়ের মাঝে রয়েছে প্রচন্ড ঢেউ, প্রবল খরস্রোত এবং উত্তাল তরঙ্গ তথাপিও পরস্পর মিশ্রিত হয় না


★খ্যাতনামা Marine Biologist- Jack V Costa-র ইসলাম গ্রহন:
ফ্যান্সের প্রথিতযশা সমুদ্রবিজ্ঞানী জ্যাক ভি কোস্টা (Jack V Costa)। সমুদ্রের তলদেশের বিভিন্ন আবিষ্কারে তার অবদান অনস্বীকার্য। দুই সমুদ্রের মিলনদৃশ্য নিয়ে তিনি ব্যাপক গবেষণা করেছেন। তিনি তার রিসার্চে উপলব্ধি করেছিলেন যে, রোম সাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর রাসায়নিক মিশ্রণের গুণাবলি ও মাত্রা দিক দিয়ে একটি আরেকটি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি এ বাস্তবতা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করার জন্য জিব্রাল্টারের দুই সমুদ্রের সংযোগস্থলে গবেষণা চালালেন। তিনি দেখলেন, জিব্রাল্টারের উত্তর তীর (মারুকেশ) আর দক্ষিণ তীর (স্পেন) থেকে আশ্চর্যজনকভাবে একটি মিষ্টি পানির ঝরনা উথলে ওঠে। এ ঝরনাটি উভয় সমুদ্রের মধ্য দিয়ে ৪৫০ সূক্ষ্ম কোণে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হয়ে চিরুনির দাঁতের আকার ধারণ করে বাঁধের মতো কাজ করে। ফলে রোম সাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের পানি একটি আরেকটির সঙ্গে মিশে না।

পরে তাকে আল কোরআনে বর্ণিত আয়াতটি শোনানো হলো। তিনি দেখলেন, কোরআনে বর্ণিত তথ্যের সঙ্গে তার গবেষণার সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। জ্যাক ভি কস্টা চিন্তা করলেন, ১৪০০ বছর আগে মুহাম্মদ (সা.) এর মতো নিরক্ষর মানুষ সমুদ্রের তলদেশ পর্যবেক্ষণ করে এসব তথ্য কোরআনে লিখতে পারেন না। তাহলে কোরআনে সমুদ্র বিজ্ঞানের এ মহা তথ্য কীভাবে এলো? নিশ্চয় আল কোরআন ঐশী সত্য গ্রন্থ। এটা কোনো মানব রচিত নয়। Jack V Costa মুসলমান হয়ে গেলেন।

পবিত্র কোরআনের এমন অলৌকিকতা সর্বকালে প্রমাণিত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আল কোরআন মীমাংসাকারী বাণী এবং এটি নিরর্থক নয়।’
(সূরা আত তারিক : ১৩-১৪)।
অর্থাৎ পবিত্র কোরআনের প্রতিটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ এবং বাস্তবতার বিচারে সঠিক ও গুরুত্বপূর্ণ।






★বিশিষ্ট জ্ঞানী ও খ্রীষ্ঠান প্রফেসর ড. মরিস বুকাইলির ইসলাম গ্রহনের কাহিণী::::

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিত্রা ১৯৮১-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি আশির দশকের শেষের দিকে ফিরাউনের মমিকে নিয়ে প্রত্নতাত্তিক গবেষণার জন্য মিসরের কাছে অনুরোধ জানালেন। মিসরের সরকার তাতে রাজি হলে কায়রো থেকে ফিরাউনের লাশ এল প্যারিসে। প্লেনের সিড়ি থেকেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, তার মন্ত্রীবর্গ ও ফ্রান্সের সিনিয়র অফিসারগণ মাথা নিচু করে ফিরাউনকে স্বাগত জানালেন!!!

ফিরাউনকে জাঁকালো প্যারেডের মাধ্যমে রাজকীয়ভাবে বরণ করে ফ্রান্সের প্রত্নতাত্তিক কেন্দ্রের একটা বিশেষ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হল, যেখানে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সার্জনরা রয়েছে আর তারা ফিরাউনের মমির ময়নাতদন্ত করে সেটা স্টাডি করবে ও এর গোপনীয়তা উদঘাটন করবে।

মমি গবেষণার প্রধান সার্জন ছিলেন প্রফেসর ড. মরিস বুকাইলি। থেরাপিস্ট যারা ছিলেন তারা মমিটাকে পুনর্গঠন (ক্ষত অংশগুলো ঠিক করা) করতে চাচ্ছিল, আর ড. মরিস বুকাইলি দৃষ্টি দিচ্ছিলেন যে কিভাবে ফিরাউন মারা গেল! পরিশেষে, রাতের শেষের দিকে ফাইনাল রেজাল্ট আসলো। যাতে বলা হয়েছে তার শরীরে লবণের অংশ আছে আর ইহাই সবচেয়ে বড় প্রমাণ যে সে (ফিরাউন) ডুবে মারা গিয়েছিল আর মৃত্যু বরণের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র (লোহিত সাগর) থেকে তোলা হয়েছিল তারপর লাশ দ্রুত মমি করা হয়েছিল। এখানে ফিরাউনের মমিটি প্রফেসর মরিসকে হতবুদ্ধি করে দিল, যে কিভাবে এই মমি অন্য মমিদের তুলনায় সুরক্ষিত অবস্থায় থাকল, যা এটা সমুদ্র থেকে তোলা হয়েছে। কারণ আদ্র পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে আর প্রতিটি আদ্র বস্তুকে দ্রুত ধ্বংস করে দিয়ে থাকে।

ড. মরিস ফাইনাল রিপোর্ট তৈরি করল যাতে তিনি বললেন: এটা একটা নতুন আবিস্কার। সেই সময় তাকে কেউ ফেরাউনের এই ডুবে যাওয়া মমি সম্পর্কে প্রকাশ্যে আলোচনা না করার পরার্মশ দেন, কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে এর প্রতিবাদ করে বললেন যে, এরকম একটা বিশাল আবিস্কার যেটা আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য সহায়তা করবে সেটা জানানো যাবেনা!!

কেউ একজন তাকে বলল যে কুরআনে ফিরাউনের ডুবে যাওয়া ও তার লাশ সংরক্ষণের ব্যাপারে বিশদ আলোচনা এসেছে। এই ঘটনা শুনে ডা. মরিস বিস্মিত হয়ে গেলেন এবং প্রশ্ন করতে লাগলেন, এটা কিভাবে সম্ভব?? এই মমি পাওয়া গিয়েছে মোটে ১৮৮১ সালে, আর কুরআন নাজিল হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে!! আর প্রাচীন আরবেরা তো মমি করার পদ্ধতিই জানতো না, মাত্র কয়েক দশক আগে তা আমাদের হাতে আবিস্কৃত হয়!! ড. বুকাইলি ফিরাউনের লাশের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে গভীরভাবে ভাবছিলেন যে, মুসলিমদের কুরআনে কিভাবে ফিরাউনের লাশ সংরক্ষণের কথা এসেছে??
বাইবেলে ফিরাউন কর্তৃক মুসা (আ.)-এর পিছু নেয়ার কথা বলা আছে কিন্তু ফিরাউনের লাশের পরিনতি সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলা নাই। তিনি নিজেকেই প্রশ্ন করছিলেন আর ভাবতে ছিলেন যে, এটা কিভাবে ধারণা করা যায় যে, এই মমি যার সে মুসার (আ.)-এর পিছু নিয়েছিল? আর এটা কেমন করে সম্ভব যে, মুহাম্মদ (সা.) ১৪০০ বছর আগেই এটা সম্পর্কে জানতেন?? এবং আরো অনেক কিছু.......।

ডা. মরিস সেই রাতে ঘুমাতে পারলেন না, তিনি তোরাহ (তাওরাত) আনালেন এবং সেটা পড়লেন। তোরাহতে বলা আছে, পানি আসলো এবং ফিরাউনের সৈন্য এবং তাদের যানবাহনগুলোকে ঢেকে দিল, যারা সমুদ্রে ঢুকল তাদের কেউই বাঁচতে পারল না। ড. বুকাইলি আশ্চার্য হয়ে দেখলেন যে, তাওরাতে লাশের সংরক্ষণের ব্যাপারে কিছু বলা নাই!!

অতপার তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তিনি মুসলিম দেশে যাবেন এবং সেখানে প্রখ্যাত মুসলিম ময়নাতদন্তে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাক্ষাৎকার নিবেন ও আলোচনা করবেন। তিনি তথায় পৌছে ফিরাউনের লাশ ডুবে যাওয়া পরবর্তী সংরক্ষণের যে রেজাল্ট পেয়েছেন তা নিয়ে আলোচনা করেন, তখন একজন মুসলিম বিশেষজ্ঞ পবিত্র কুরআন খুললেন এবং আয়াতটা ড. বুকাইলিকে শুনালেন যেখানে সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা বলেনঃ-
"“অতএব, আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।"” [আল-কুরআন; সুরাঃ ১০, আয়াতঃ ৯২]

তিনি এই আয়াতের দ্বারা খুবই প্রভাবিত ও অভিভূত হয়ে তখনি ইসলাম গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়ে উচ্চ কন্ঠে ঘোষনা করলেন যে, আমি ইসলামে প্রবেশ করেছি এবং আমি এই কুরআনে বিশ্বাসী। [সুবহানাল্লাহ]

ডা. মরিস বুকাইলি ফ্রান্স ফিরে গেলেন এক ভিন্ন অবস্থায়। ফ্রান্সে ১০ বছর তিনি আর কোন ডাক্তারি প্রকটিস করেন নি বরং এই সময়ে তিনি আরবী ভাষা শিখেছেন আর পবিত্র কুরআনের   বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করেছেন। সব শেষে তিনি পবিত্র কুরআনের এই আয়াতটির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারলেন যাতে বলা আছেঃ
"“এতে মিথ্যার প্রভাব নেই, সামনের দিক থেকেও নেই এবং পেছন দিক থেকেও নেই। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।
” [আল-কুরআন; সুরাঃ ৪১, আয়াতঃ ৪২]

১৯৭৬ সালে ড. মরিস বুকাইলি বাইবেল, কুরআন এবং বিজ্ঞান” নামে একটি বই লেখেন যা পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের টনক নাড়িয়ে দেয়।যা বেস্ট সেলার হয়। যা প্রায় ৫০ টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে!এছাড়াও তিনি কোরানের উপর আরও একটি বই লেখেন এর নাম হল-আল কুরআন এক মহাবিস্ষয়।

আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এভাবে-ই হেদায়াত দান করেন। আল্লাহ আমাদেরকে ও কোরআন বোঝার ও তদানুযায়ী জীবন গড়ার তাওফীক দান করুক। আমীন।