সুরা ফাতিহার পর ‘আমীন’ বলা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। হাদীস শরীফে এর অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। নামাযে যেমন ইমাম ও মুনফারিদ (একা নামায আদায়কারী)-এর জন্য ‘আমীন’ বলা সুন্নত তেমনি মুকতাদির জন্যও ইমামের ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻐﻀﻮﺏ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﻻ ﺍﻟﻀﺎﻟﻴﻦ শোনার পর ‘আমীন’ বলা সুন্নত। ফকীহ ও ইমামগণের ইজমা আছে যে, আমীন মুখে উচ্চারণ করতে হবে। অর্থাৎ তা মনে মনে পড়ার (কল্পনা করার) বিষয় নয়; বরং নামাযের অন্যান্য তাসবীহের মতো ‘আমীন’ও সহীহ-শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে হবে। তবে তাঁদের মাঝে এ বিষয়ে সামান্য মতপার্থক্য হয়েছে যে, ‘আমীন’ শব্দটি কি আস্তে উচ্চারণ করা হবে, না জোরে। এটা মূলত ‘তানাওউয়ে সুন্নাহ’ বা সুন্নাহর বিভিন্নতা, যাকে ইখতিলাফে মুবাহও বলা হয় অর্থাৎ এখানে দুটি নিয়মই মোবাহ ও বৈধ এবং যে নিয়মই অনুসরণ করা হোক সুন্নত আদায় হবে।
কিন্তু আফসোসের বিষয় এই যে, অন্য অনেক কিছুর মতো একেও মানুষ জায়েয-নাজায়েয ও সুন্নত-বিদআতের পর্যায়ে নিয়ে গেছে, এমনকি একে কেন্দ্র করে বিবাদ- বিসংবাদেও লিপ্ত হয়েছে। এখনও অনেক জায়গায় দেখা যায়, কিছু মানুষ এত উঁচুস্বরে আমীন বলেন, যেন নামাযের মাঝেই অন্য মুসল্লীদের কটাক্ষ করেন যে, তোমরা সবাই সুন্নাহ তরককারী!নিচে আমিন আস্তে বলা সম্পর্কে বিস্তারিত দলিলসমূহ পেশ করা হল-
★আমীন একটি দুআ। আতা ইবনে রাবাহ বলেন, ‘আমীন হচ্ছে দুআ।’ ﺁﻣﻴﻦ ﺩﻋﺎﺀ (সহীহ বুখারী ১/১০৭) লুগাতুল হাদীসের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ মাজমাউল বিহারে (১/২০৫) আছে, ‘আমীন অর্থ, ইয়া আল্লাহ আমার দুআ কবুল করুন, বা এমনই হোক।’ ﻭﻣﻌﻨﺎﻩ ﺍﺳﺘﺠﺐ ﻟﻲ ﺃﻭ ﻛﺬﻟﻚ ﻓﻠﻴﻜﻦ অতএব প্রথমেই দেখা উচিত, দুআ কি জোরে করা উত্তম, না আস্তে। যদিও জোরে দুআ করাও জায়েয এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোরেও দুআ করেছেন, তবে দুআর মূল তরীকা হল আস্তে করা। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে- ﺍﺩﻋﻮﺍ ﺭﺑﻜﻢ ﺗﻀﺮﻋﺎ ﻭﺧﻔﻴﺔ তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ডাক কাতরভাবে ও গোপনে। তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না। (সূরা আ’রাফ : ৫৫)
★হাদিসগ্রন্থের সুপ্রসিদ্ব কিতাব আল-আলাস সহিহাইন কিতাবে হাদিস এসেছে-
ﻋَﻦْ ﻋَﻠْﻘَﻤَﺔَ ﺑْﻦِ ﻭَﺍﺋِﻞٍ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ، ﺃَﻧَّﻪُ ﺻَﻠَّﻰ ﻣَﻊَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺣِﻴﻦَ ﻗَﺎﻝَ : ﻏَﻴْﺮِ ﺍﻟْﻤَﻐْﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦ{ ﻗَﺎﻝَ : «ﺁﻣِﻴﻦَ » ﻳَﺨْﻔِﺾُ ﺑِﻬَﺎ ﺻَﻮْﺗَﻪُ " «ﻫَﺬَﺍ ﺣَﺪِﻳﺚٌ ﺻَﺤِﻴﺢٌ ﻋَﻠَﻰ ﺷَﺮْﻁِ ﺍﻟﺸَّﻴْﺨَﻴْﻦِ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺨَﺮِّﺟَﺎﻩُ »(হাদিস নং-১২০০)
অর্থাৎ হযরত ওয়ায়েল বিন হুজর রা. থেকে বর্ণিত: তিনি রসূলুল্লাহ স.-এর সাথে নামায পড়ছিলেন। যখন রসূলুল্লাহ স. ﻏَﻴْﺮِ ﺍﻟْﻤَﻐْﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦَ বললেন তখন নীরবে ‘আমীন’ বললেন। হাকেম বলেন: এ হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের শর্তে সহীহ। তবে হাদীসটি বুখারী-মুসলিম রহ. কেউই বর্ণনা করেননি।
এ হাদীসটি ইমাম আবু দাউদ তইয়ালীসী রহ. তাঁর সুনানেও বর্ণনা করেছেন। (হাদীস নম্বর- ১১১৭) হজর ইবনুল আম্বাস ব্যতীত উক্ত হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের রাবী। আর হজর ইবনুল আম্বাস ﺛﻘﺔٌ “নির্ভরযোগ্য”। (আল কাশেফ: ৯৫০)
এই হাদিস দ্বারা বুঝা যায় রাসুল( সাঃ)আমিন আস্তে বলতেন।
★হাদিস শাস্ত্রের আরেক প্রসিদ্ব কিতাব আবু দাউদ শরীপে এসেছে-
ﺃَﻥَّ ﺳَﻤُﺮَﺓَ ﺑْﻦَ ﺟُﻨْﺪُﺏٍ، ﻭَﻋِﻤْﺮَﺍﻥَ ﺑْﻦَ ﺣُﺼَﻴْﻦٍ، ﺗَﺬَﺍﻛَﺮَﺍ ﻓَﺤَﺪَّﺙَ ﺳَﻤُﺮَﺓُ ﺑْﻦُ ﺟُﻨْﺪُﺏٍ، ﺃَﻧَّﻪُ ﺣَﻔِﻆَ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺳَﻜْﺘَﺘَﻴْﻦِ ﺳَﻜْﺘَﺔً ﺇِﺫَﺍ ﻛَﺒَّﺮَ ﻭَﺳَﻜْﺘَﺔً ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺮَﻍَ ﻣِﻦْ ﻗِﺮَﺍﺀَﺓِ ﻏَﻴْﺮِ ﺍﻟْﻤَﻐْﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦَ ﻓَﺤَﻔِﻆَ ﺫَﻟِﻚَ ﺳَﻤُﺮَﺓُ ﻭَﺃَﻧْﻜَﺮَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻋِﻤْﺮَﺍﻥُ ﺑْﻦُ ﺣُﺼَﻴْﻦٍ ﻓَﻜَﺘَﺒَﺎ ﻓِﻲ ﺫَﻟِﻚَ ﺇِﻟَﻰ ﺃُﺑَﻰِّ ﺑْﻦِ ﻛَﻌْﺐٍ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻓِﻲ ﻛِﺘَﺎﺑِﻪِ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻤَﺎ ﺃَﻭْ ﻓِﻲ ﺭَﺩِّﻩِ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻤَﺎ ﺃَﻥَّ ﺳَﻤُﺮَﺓَ ﻗَﺪْ ﺣَﻔِﻆَ .
অর্থাৎ হযরত সামুরা বিন জুুনদুব ও ইমরান বিন হুছইন রা. পরস্পর আলোচনা করার সময় হযরত সামুরা রা. বললেন: তিনি রসূলুল্লাহ স. থেকে দু’টি নীরবতা স্মরণ রেখেছেন। একটি নীরবতা হলো তাকবীরে তাহরিমা বলার পর। অপরটি হলো ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦَ َ ﻏَﻴْﺮِ ﺍﻟْﻤَﻐْﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻ বলার পর। এ কথাটি হযরত সামুরা স্মরণ রাখলেও হযরত ইমরান অস্বীকার করায় উভয়ে এ ব্যাপারটি হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা.-এর নিকটে লিখে জানালেন। তিনি তাঁদের পত্রের জবাবে জানালেন যে, সামুরা হাদীসটি সঠিকভাবে স্মরণ রেখেছেন।
(আবু দাউদ: ৭৭৯) হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসটির রাবীগণ সবাই-ই বুখারী-মুসলিমের উঁচু মানের ﺛﻘﺔٌ “নির্ভরযোগ্য” রাবী। শায়খ শুআইব আরনাউত মুসনাদে আহমাদের তাহকীকে বলেন: ﺭﺟﺎﻟﻪ ﺛﻘﺎﺕ ﺭﺟﺎﻝ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ “এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই নির্ভরযোগ্য, সহীহ হাদীসের রাবী”। (মুসনাদে আহমাদ: ২০১৬৬)
এই হাদিস দ্বারাও বুঝা যায় রাসুল( সাঃ)আমিন আস্তে বলতেন।
★হাদিস শাস্ত্রের সুপ্রসিদ্ব আরেক কিতাব (সুনানে নাসাঈ ১/১৪৭) পৃষ্টায় এসেছে-
ﺇﺫﺍ ﻗﺎﻝ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻐﻀﻮﺏﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﻻ ﺍﻟﻀﺎﻟﻴﻦ ﻓﻘﻮﻟﻮﺍ ﺁﻣﻴﻦ، ﻓﺈﻥ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺗﻘﻮ ﺁﻣﻴﻦ، ﻭﺇﻥ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻳﻘﻮﻝ ﺁﻣﻴﻦ، ﻓﻤﻦ ﻭﺍﻓﻖ ﺗﺄﻣﻴﻨﻪ ﺗﺄﻣﻴﻦ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﻏﻔﺮ ﻟﻪ ﻣﺎ ﺗﻘﺪﻡ ﻣﻦ ﺫﻧﺒﻪ
অর্থাৎ ইমাম যখন বলে - ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻐﻀﻮﺏ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﻻ ﺍﻟﻀﺎﻟﻴﻦ তখন তোমরা বল আমীন। কারণ ফেরেশতাগণ বলেন আমীন এবং ইমামও বলেন আমীন। যার আমীন বলা ফেরেশতাদের আমীন বলার সাথে মিলবে তার পিছনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
পাঠক বৃন্দ লক্ষ করুন,, এখানে কি বলা হয়েছে,,??? এখানে বলা হয়েছে : **ফেরেশতাগণ বলেন আমীন এবং ইমামও বলেন আমীন।
** ইমামও এ সময় আমিন বলে কথাটি তখনই বলা চলে যখন ইমাম নিঃশব্দে আমিন বলে। ফেরেশতাগন যেমন নিঃশব্দে আমিন বলার কারনে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, এসময় ফেরেশতাগন আমিন বলে। তদ্রুপ ইমামও নিঃশব্দে বলার কারনে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, এ সময় ইমামও আমীন বলে। তাছাড়া এখানে ফেরেশতাগনের আমীন বলার সংগে মিল রেখে আমীন বলতে বলা হয়েছে। আর তারা তো নিঃশব্দে আমীন বলে থাকেন। সুতরাং এই হাদিসের উপর আমল তাদেরই সহিহ হবে যারা নিঃশব্দে আমীন বলবে।
★এখন আমীন আস্তে বলা সম্পর্কে সাহাবিদের কিছু আছার পেশ করছি।যথা-
১. হযরত ওমর রা. বলেন,
ﺃﺭﺑﻊ ﻳﺨﻔﻴﻬﻦ ﺍﻹﻣﺎﻡ : ﺍﻟﺘﻌﻮﺫ ﻭﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﺁﻣﻴﻦ ﻭﺍﻟﻠﻬﻢ ﺭﺑﻨﺎ ﻭﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ
অর্থাৎ- চারটি বিষয় ইমাম অনুচ্চস্বরে পাঠ করবে : আউযু বিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, আমীন ও আল্লাহুম্মা রাববানা ওয়া লাকাল হামদ।
(ইবনে জারীর, কানযুল উম্মাল ৮/২৭৪; বিনায়াহ ২/২১ ২
★. আবু ওয়াইল রাহ. বলেন,
ﻛﺎﻥ ﻋﻠﻲ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻻ ﻳﺠﻬﺮﺍﻥ ﺑﺒﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﻻ ﺑﺎﻟﺘﻌﻮﺫ، ﻭﻻ ﺑﺎﻟﺘﺄﻣﻴﻦ، ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻬﻴﺜﻤﻲ : ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ ﻭﻓﻴﻪ ﺃﺑﻮ ﺳﻌﺪ ﺍﻟﺒﻘﺎﻝ، ﻭﻫﻮ ﺛﻘﺔ ﻣﺪﻟﺲ
অর্থাৎ- খলীফায়ে রাশেদ আলী রা. ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বিসমিল্লাহ উঁচু আওয়াজে পড়তেন না। তেমনি আউযুবিল্লাহ ও আমীনও। . (আলমুজামুল কাবীর, হাদীস : ৯৪০৪; মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১০৮)
★হযরত আবু ওয়াইল থেকে বর্ণিত,
ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻋﻤﺮ ﻭﻋﻠﻲ ﻳﺠﻬﺮﺍﻥ ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﻻ ﺑﺂﻣﻴﻦ
অর্থাৎ হযরত ওমর রা. ও হযরত আলী রা. বিসমিল্লাহ উচ্চস্বরে পড়তেন না।
. (ইবনে জারীর তবারী ; আলজাওহারুন নকী ১/১৩০)
★হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন,
ﻳﺨﻔﻲ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺛﻼﺛﺎ : ﺍﻻﺳﺘﻌﺎﺫﺓ ﻭﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﺁﻣﻴﻦ
অর্থাৎ- ইমাম তিনটি বিষয় অনুচ্চস্বরে পড়বে : আউযুবিল্লাহ ..., বিসমিল্লাহ ... ও আমীন।
. (আলমুহাল্লা ৩/১৮৪)
★ ইমাম ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন,
ﺃﺭﺑﻊ ﻳﺨﻔﻴﻬﻦ ﺍﻹﻣﺎﻡ : ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﺍﻻﺳﺘﻌﺎﺫﺓ ﻭﺁﻣﻴﻦ، ﻭﺇﺫﺍ ﻗﺎﻝ ﺳﻤﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻤﻦ ﺣﻤﺪﻩ ﻗﺎﻝ ﺭﺑﻨﺎ ﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ .
অর্থাৎ-চারটি বিষয় ইমাম অনুচ্চস্বরে পাঠ করবে : বিসমিল্লাহ, আউযুবিল্লাহ, আমীন ও সামিআল্লাহর পর রাববানা লাকাল হামদ।
★ অন্য বর্ণনায় আছে,
ﺧﻤﺲ ﻳﺨﻔﻴﻬﻦ : ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻭﺑﺤﻤﺪﻙ ﻭﺗﻌﻮﺫ ﻭﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﺁﻣﻴﻦ ﻭﺍﻟﻠﻬﻢ ﺭﺑﻨﺎ ﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ
অর্থাৎ-পাঁচটি বিষয় অনুচ্চস্বরে পড়া হয় : সুবহানাকাল্লাহুম্মা, আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, আমীন ও আল্লাহুম্মা রাববানা লাকাল হামদ।
. (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ২/৮৭; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৮৬ )
উপরের আলোচনা থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল যে সুরা ফাতিহা শেষে আমিন আস্তে বলা উত্তম হওয়া এটা সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত।তবে যে সমস্ত বর্ণনায় জোরের কথা এসেছে তা শিক্ষা দেওয়ার জন্য।
কিন্তু আফসোসের বিষয় এই যে, অন্য অনেক কিছুর মতো একেও মানুষ জায়েয-নাজায়েয ও সুন্নত-বিদআতের পর্যায়ে নিয়ে গেছে, এমনকি একে কেন্দ্র করে বিবাদ- বিসংবাদেও লিপ্ত হয়েছে। এখনও অনেক জায়গায় দেখা যায়, কিছু মানুষ এত উঁচুস্বরে আমীন বলেন, যেন নামাযের মাঝেই অন্য মুসল্লীদের কটাক্ষ করেন যে, তোমরা সবাই সুন্নাহ তরককারী!নিচে আমিন আস্তে বলা সম্পর্কে বিস্তারিত দলিলসমূহ পেশ করা হল-
★আমীন একটি দুআ। আতা ইবনে রাবাহ বলেন, ‘আমীন হচ্ছে দুআ।’ ﺁﻣﻴﻦ ﺩﻋﺎﺀ (সহীহ বুখারী ১/১০৭) লুগাতুল হাদীসের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ মাজমাউল বিহারে (১/২০৫) আছে, ‘আমীন অর্থ, ইয়া আল্লাহ আমার দুআ কবুল করুন, বা এমনই হোক।’ ﻭﻣﻌﻨﺎﻩ ﺍﺳﺘﺠﺐ ﻟﻲ ﺃﻭ ﻛﺬﻟﻚ ﻓﻠﻴﻜﻦ অতএব প্রথমেই দেখা উচিত, দুআ কি জোরে করা উত্তম, না আস্তে। যদিও জোরে দুআ করাও জায়েয এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোরেও দুআ করেছেন, তবে দুআর মূল তরীকা হল আস্তে করা। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে- ﺍﺩﻋﻮﺍ ﺭﺑﻜﻢ ﺗﻀﺮﻋﺎ ﻭﺧﻔﻴﺔ তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ডাক কাতরভাবে ও গোপনে। তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না। (সূরা আ’রাফ : ৫৫)
★হাদিসগ্রন্থের সুপ্রসিদ্ব কিতাব আল-আলাস সহিহাইন কিতাবে হাদিস এসেছে-
ﻋَﻦْ ﻋَﻠْﻘَﻤَﺔَ ﺑْﻦِ ﻭَﺍﺋِﻞٍ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ، ﺃَﻧَّﻪُ ﺻَﻠَّﻰ ﻣَﻊَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺣِﻴﻦَ ﻗَﺎﻝَ : ﻏَﻴْﺮِ ﺍﻟْﻤَﻐْﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦ{ ﻗَﺎﻝَ : «ﺁﻣِﻴﻦَ » ﻳَﺨْﻔِﺾُ ﺑِﻬَﺎ ﺻَﻮْﺗَﻪُ " «ﻫَﺬَﺍ ﺣَﺪِﻳﺚٌ ﺻَﺤِﻴﺢٌ ﻋَﻠَﻰ ﺷَﺮْﻁِ ﺍﻟﺸَّﻴْﺨَﻴْﻦِ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺨَﺮِّﺟَﺎﻩُ »(হাদিস নং-১২০০)
অর্থাৎ হযরত ওয়ায়েল বিন হুজর রা. থেকে বর্ণিত: তিনি রসূলুল্লাহ স.-এর সাথে নামায পড়ছিলেন। যখন রসূলুল্লাহ স. ﻏَﻴْﺮِ ﺍﻟْﻤَﻐْﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻟَﺎ ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦَ বললেন তখন নীরবে ‘আমীন’ বললেন। হাকেম বলেন: এ হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের শর্তে সহীহ। তবে হাদীসটি বুখারী-মুসলিম রহ. কেউই বর্ণনা করেননি।
এ হাদীসটি ইমাম আবু দাউদ তইয়ালীসী রহ. তাঁর সুনানেও বর্ণনা করেছেন। (হাদীস নম্বর- ১১১৭) হজর ইবনুল আম্বাস ব্যতীত উক্ত হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী/মুসলিমের রাবী। আর হজর ইবনুল আম্বাস ﺛﻘﺔٌ “নির্ভরযোগ্য”। (আল কাশেফ: ৯৫০)
এই হাদিস দ্বারা বুঝা যায় রাসুল( সাঃ)আমিন আস্তে বলতেন।
★হাদিস শাস্ত্রের আরেক প্রসিদ্ব কিতাব আবু দাউদ শরীপে এসেছে-
ﺃَﻥَّ ﺳَﻤُﺮَﺓَ ﺑْﻦَ ﺟُﻨْﺪُﺏٍ، ﻭَﻋِﻤْﺮَﺍﻥَ ﺑْﻦَ ﺣُﺼَﻴْﻦٍ، ﺗَﺬَﺍﻛَﺮَﺍ ﻓَﺤَﺪَّﺙَ ﺳَﻤُﺮَﺓُ ﺑْﻦُ ﺟُﻨْﺪُﺏٍ، ﺃَﻧَّﻪُ ﺣَﻔِﻆَ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺳَﻜْﺘَﺘَﻴْﻦِ ﺳَﻜْﺘَﺔً ﺇِﺫَﺍ ﻛَﺒَّﺮَ ﻭَﺳَﻜْﺘَﺔً ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺮَﻍَ ﻣِﻦْ ﻗِﺮَﺍﺀَﺓِ ﻏَﻴْﺮِ ﺍﻟْﻤَﻐْﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻَ ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦَ ﻓَﺤَﻔِﻆَ ﺫَﻟِﻚَ ﺳَﻤُﺮَﺓُ ﻭَﺃَﻧْﻜَﺮَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻋِﻤْﺮَﺍﻥُ ﺑْﻦُ ﺣُﺼَﻴْﻦٍ ﻓَﻜَﺘَﺒَﺎ ﻓِﻲ ﺫَﻟِﻚَ ﺇِﻟَﻰ ﺃُﺑَﻰِّ ﺑْﻦِ ﻛَﻌْﺐٍ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻓِﻲ ﻛِﺘَﺎﺑِﻪِ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻤَﺎ ﺃَﻭْ ﻓِﻲ ﺭَﺩِّﻩِ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻤَﺎ ﺃَﻥَّ ﺳَﻤُﺮَﺓَ ﻗَﺪْ ﺣَﻔِﻆَ .
অর্থাৎ হযরত সামুরা বিন জুুনদুব ও ইমরান বিন হুছইন রা. পরস্পর আলোচনা করার সময় হযরত সামুরা রা. বললেন: তিনি রসূলুল্লাহ স. থেকে দু’টি নীরবতা স্মরণ রেখেছেন। একটি নীরবতা হলো তাকবীরে তাহরিমা বলার পর। অপরটি হলো ﺍﻟﻀَّﺎﻟِّﻴﻦَ َ ﻏَﻴْﺮِ ﺍﻟْﻤَﻐْﻀُﻮﺏِ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻭَﻻ বলার পর। এ কথাটি হযরত সামুরা স্মরণ রাখলেও হযরত ইমরান অস্বীকার করায় উভয়ে এ ব্যাপারটি হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা.-এর নিকটে লিখে জানালেন। তিনি তাঁদের পত্রের জবাবে জানালেন যে, সামুরা হাদীসটি সঠিকভাবে স্মরণ রেখেছেন।
(আবু দাউদ: ৭৭৯) হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসটির রাবীগণ সবাই-ই বুখারী-মুসলিমের উঁচু মানের ﺛﻘﺔٌ “নির্ভরযোগ্য” রাবী। শায়খ শুআইব আরনাউত মুসনাদে আহমাদের তাহকীকে বলেন: ﺭﺟﺎﻟﻪ ﺛﻘﺎﺕ ﺭﺟﺎﻝ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ “এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই নির্ভরযোগ্য, সহীহ হাদীসের রাবী”। (মুসনাদে আহমাদ: ২০১৬৬)
এই হাদিস দ্বারাও বুঝা যায় রাসুল( সাঃ)আমিন আস্তে বলতেন।
★হাদিস শাস্ত্রের সুপ্রসিদ্ব আরেক কিতাব (সুনানে নাসাঈ ১/১৪৭) পৃষ্টায় এসেছে-
ﺇﺫﺍ ﻗﺎﻝ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻐﻀﻮﺏﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﻻ ﺍﻟﻀﺎﻟﻴﻦ ﻓﻘﻮﻟﻮﺍ ﺁﻣﻴﻦ، ﻓﺈﻥ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺗﻘﻮ ﺁﻣﻴﻦ، ﻭﺇﻥ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻳﻘﻮﻝ ﺁﻣﻴﻦ، ﻓﻤﻦ ﻭﺍﻓﻖ ﺗﺄﻣﻴﻨﻪ ﺗﺄﻣﻴﻦ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﻏﻔﺮ ﻟﻪ ﻣﺎ ﺗﻘﺪﻡ ﻣﻦ ﺫﻧﺒﻪ
অর্থাৎ ইমাম যখন বলে - ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻐﻀﻮﺏ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﻻ ﺍﻟﻀﺎﻟﻴﻦ তখন তোমরা বল আমীন। কারণ ফেরেশতাগণ বলেন আমীন এবং ইমামও বলেন আমীন। যার আমীন বলা ফেরেশতাদের আমীন বলার সাথে মিলবে তার পিছনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
পাঠক বৃন্দ লক্ষ করুন,, এখানে কি বলা হয়েছে,,??? এখানে বলা হয়েছে : **ফেরেশতাগণ বলেন আমীন এবং ইমামও বলেন আমীন।
** ইমামও এ সময় আমিন বলে কথাটি তখনই বলা চলে যখন ইমাম নিঃশব্দে আমিন বলে। ফেরেশতাগন যেমন নিঃশব্দে আমিন বলার কারনে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, এসময় ফেরেশতাগন আমিন বলে। তদ্রুপ ইমামও নিঃশব্দে বলার কারনে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, এ সময় ইমামও আমীন বলে। তাছাড়া এখানে ফেরেশতাগনের আমীন বলার সংগে মিল রেখে আমীন বলতে বলা হয়েছে। আর তারা তো নিঃশব্দে আমীন বলে থাকেন। সুতরাং এই হাদিসের উপর আমল তাদেরই সহিহ হবে যারা নিঃশব্দে আমীন বলবে।
★এখন আমীন আস্তে বলা সম্পর্কে সাহাবিদের কিছু আছার পেশ করছি।যথা-
১. হযরত ওমর রা. বলেন,
ﺃﺭﺑﻊ ﻳﺨﻔﻴﻬﻦ ﺍﻹﻣﺎﻡ : ﺍﻟﺘﻌﻮﺫ ﻭﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﺁﻣﻴﻦ ﻭﺍﻟﻠﻬﻢ ﺭﺑﻨﺎ ﻭﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ
অর্থাৎ- চারটি বিষয় ইমাম অনুচ্চস্বরে পাঠ করবে : আউযু বিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, আমীন ও আল্লাহুম্মা রাববানা ওয়া লাকাল হামদ।
(ইবনে জারীর, কানযুল উম্মাল ৮/২৭৪; বিনায়াহ ২/২১ ২
★. আবু ওয়াইল রাহ. বলেন,
ﻛﺎﻥ ﻋﻠﻲ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻻ ﻳﺠﻬﺮﺍﻥ ﺑﺒﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﻻ ﺑﺎﻟﺘﻌﻮﺫ، ﻭﻻ ﺑﺎﻟﺘﺄﻣﻴﻦ، ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻬﻴﺜﻤﻲ : ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ ﻭﻓﻴﻪ ﺃﺑﻮ ﺳﻌﺪ ﺍﻟﺒﻘﺎﻝ، ﻭﻫﻮ ﺛﻘﺔ ﻣﺪﻟﺲ
অর্থাৎ- খলীফায়ে রাশেদ আলী রা. ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বিসমিল্লাহ উঁচু আওয়াজে পড়তেন না। তেমনি আউযুবিল্লাহ ও আমীনও। . (আলমুজামুল কাবীর, হাদীস : ৯৪০৪; মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১০৮)
★হযরত আবু ওয়াইল থেকে বর্ণিত,
ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻋﻤﺮ ﻭﻋﻠﻲ ﻳﺠﻬﺮﺍﻥ ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﻻ ﺑﺂﻣﻴﻦ
অর্থাৎ হযরত ওমর রা. ও হযরত আলী রা. বিসমিল্লাহ উচ্চস্বরে পড়তেন না।
. (ইবনে জারীর তবারী ; আলজাওহারুন নকী ১/১৩০)
★হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন,
ﻳﺨﻔﻲ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺛﻼﺛﺎ : ﺍﻻﺳﺘﻌﺎﺫﺓ ﻭﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﺁﻣﻴﻦ
অর্থাৎ- ইমাম তিনটি বিষয় অনুচ্চস্বরে পড়বে : আউযুবিল্লাহ ..., বিসমিল্লাহ ... ও আমীন।
. (আলমুহাল্লা ৩/১৮৪)
★ ইমাম ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন,
ﺃﺭﺑﻊ ﻳﺨﻔﻴﻬﻦ ﺍﻹﻣﺎﻡ : ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﺍﻻﺳﺘﻌﺎﺫﺓ ﻭﺁﻣﻴﻦ، ﻭﺇﺫﺍ ﻗﺎﻝ ﺳﻤﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻤﻦ ﺣﻤﺪﻩ ﻗﺎﻝ ﺭﺑﻨﺎ ﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ .
অর্থাৎ-চারটি বিষয় ইমাম অনুচ্চস্বরে পাঠ করবে : বিসমিল্লাহ, আউযুবিল্লাহ, আমীন ও সামিআল্লাহর পর রাববানা লাকাল হামদ।
★ অন্য বর্ণনায় আছে,
ﺧﻤﺲ ﻳﺨﻔﻴﻬﻦ : ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻭﺑﺤﻤﺪﻙ ﻭﺗﻌﻮﺫ ﻭﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﺁﻣﻴﻦ ﻭﺍﻟﻠﻬﻢ ﺭﺑﻨﺎ ﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ
অর্থাৎ-পাঁচটি বিষয় অনুচ্চস্বরে পড়া হয় : সুবহানাকাল্লাহুম্মা, আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, আমীন ও আল্লাহুম্মা রাববানা লাকাল হামদ।
. (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ২/৮৭; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৮৬ )
উপরের আলোচনা থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল যে সুরা ফাতিহা শেষে আমিন আস্তে বলা উত্তম হওয়া এটা সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত।তবে যে সমস্ত বর্ণনায় জোরের কথা এসেছে তা শিক্ষা দেওয়ার জন্য।