ইসলাম হল-আল্লাহ তায়ালা কতৃক একমাত্র মনোনীত জীবন ব্যবস্হা।যে জীবনব্যবস্হার প্রতিটি কাজই হল-বিজ্ঞান সম্মত ও আধুনিক।মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞানের যতই উন্নতি হচ্ছে ইসলামের বিধানগুলোর সত্যতা ততই দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হচ্ছে।বিজ্ঞানের থিওরির মধ্যে অন্যতম একটি থিওরি হল-বিগ ব্যাং থিওরি।আল্লাহর প্রেরিত রাসুল মুহাম্মদ (সাঃ) আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে পবিত্র কোরআন শরীপে বিগ ব্যাং থিওরির সত্যতার প্রতি বলে গিয়েছেন।নিম্নে বিগ ব্যাং থিওরির সত্যতা সম্পর্কে আল কোরআনের অবস্হান তুলে ধরা হল-
★বিগ ব্যাং থিওরি কি? বিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে জ্যোতির্বিদগণ কর্তৃক প্রদত্ত একটি ব্যাখ্যা হল বিগ ব্যাং থিওরি, যা ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন তথ্য ও পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এই তত্ত্ব সমর্থিত হয়েছে। “বিগ ব্যাং” অনুসারে মহাবিশ্ব প্রাথমিক অবস্থায় একটি বিশাল নিহারিকা ছিল। তারপর সেখানে একটি মহা বিস্ফরন ঘটে, ফলে ছায়া পথ তৈরি হয়। পরবর্তীতে এগুলো তারা, গ্রহ, সূর্য ও চন্দ্র ইত্তাদিতে রুপান্তরিত হয়। এই তত্ত্ব বলে আজ থেকে প্রায় ১৩.৭ বিলিয়ন বছর পূর্বে এই মহাবিশ্ব একটি অতি ঘন এবং উত্তপ্ত অবস্থা থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। বিজ্ঞানী এডুইন হাবল প্রথম বলেন, দূরবর্তী ছায়াপথসমূহের বেগ সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এরা পরষ্পর দূরে সরে যাচ্ছে অর্থাৎ মহাবিশ্ব ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে।
★আল- কোরআনে বিগ ব্যাং এর আলোচনা: বিগ ব্যাং সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা অস্বীকার করেছে তারা কি চিন্তা করে না যে, (একদা) এই আসমান ও জমিনের সব কিছুই মিলিত অবস্থায় ছিল, অত:পর আমরা এ গুলোকে আলাদা করে দিয়েছি।"(সূরা আম্বিয়ার আয়াত নং -৩০) এখানে মিলিত অবস্থা বলতে পরস্পরে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকাকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বজগতের প্রাথমিক অবস্থায় এটি একটি পিন্ড ও দলার মতো ছিল। পরে এদেরকে আলাদা-অলাদা ভাগে বিভক্ত করে জমিন ও অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহের আলাদা জগত সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে। এই আয়াতে "রাতক্ব" এবং "ফাতাক্ব" শব্দদ্বয় দিয়ে বুঝানো হয়েছে যে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যাবতীয় কিছু একক বস্তুতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল এবং পরবর্তীতে তা স্বতন্ত্র অস্তিত্বে আলাদা হয়েছিল। এই আয়াতের শব্দদ্বয় "একতা নীতি" বা "প্রিন্সিপল অব সিঙ্গুলারিটি" এর নির্দেশ করে এবং বিগ ব্যাং থিওরীর পরিপূর্ণ ধারণা বহন করে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, মহাবিশ্বে ছায়াপথ গঠিত হবার পূর্বে , সব পদার্থ প্রাথমিক ভাবে গ্যাস অবস্থায় ছিল। সংক্ষেপে বলা যায়, ছায়াপথ তৈরির আগে বিপুল পরিমান পদার্থ গ্যাস বা মেঘ অবস্থায় বিদ্যমান ছিল। আসলে মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থাকে বর্ণনা করতে “ধোয়া” শব্দটি গ্যাসের থেকে আরও বেশি যথার্থ। কোরআনে মহাবিশ্বের এই অবস্থাকে বর্ণনা করা হয়েছে “দুখা-ন” শব্দ দ্বারা যার অর্থ “ধোয়া”। যেমন-কোরআনে এসেছে- “অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।” [৪১:১১]
তাহলে কোরআন অনুযায়ী এই প্রাকৃতিক মহাবিশ্বকে ‘Be’ কম্যান্ডমেন্ট তথা ‘Big Bang’ এর মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে (২:১১৭, ২১:৩০)… তারপর থেকে মহাবিশ্বকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে (৫১:৪৭)… ধীরে ধীরে সংকোচনের মাধ্যমেন একদিন ধ্বংস করা হবে (২১:১০৪)… এবং আবারো নতুন করে মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করা হবে (২১:১০৪,১৪:৪৮)।
এই বিগ ব্যাং থিওরীর একটা অনুসিদ্ধান্ত হল "অনবরত দূরে সরে যাওয়া গ্রহ নক্ষত্রগুলো একসময় আবার কাছাকাছি আসা শুরু করবে কেন্দ্রবিমুখী বল শুন্য হয়ে যাওয়ার ফলে এবং সময়ের ব্যাবধানে সব গ্রহ নক্ষত্র আবার একত্রে মিলিত হয়ে একটা পিন্ডে পরিনত হবে"। "সেই দিন আকাশমন্ডলীকে গুটিয়ে ফেলব, যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দফতর" (সূরা আম্বিয়া : ১০৪)
ড:মিলার বলেছেন, এই আয়াতটি নিয়ে চিন্তা-গবেষণার পর কোরআন যে ঐশী গ্রন্থ তা মেনে নিতে বাধ্য হই। যারা প্রচার চালাচ্ছে কোরআন হযরত মুহাম্মদ (সা) এর নিজস্ব বক্তব্য তাদের দাবি নাকচ করার জন্য এই একটি আয়াতই যথেষ্ট।(THE AMAZING QURAN ,chap.Origin of the Universe and Life)
ড:মিলার বলেছেন, দেড় হাজার বছর আগে ইসলামের নবীর পক্ষে কিভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য নিয়ে কথা বলা সম্ভব, যিনি কোন দিন কোন স্কুলে পড়ালেখা করেন নি। কারণ এটি এমন এক বৈজ্ঞানিক বিষয়, যা সম্পর্কে তত্ত্ব আবিষ্কার করে মাত্র কয়েক বছর আগে ১৯৭৩ সালে নোবেল পুরুস্কার পেয়েছেন এক বিজ্ঞানী। মিলারের মতে এই আয়াতে সেই বিগ ব্যাং এর কথাই বলা হয়েছে যার মাধ্যমে পৃথিবী, আকাশমন্ডলী ও তারকারাজি সৃষ্টি হয়েছে।
পরিশেষে বলা যায় যে,পবিত্র কোরআন গতানুগতিক কোন বৈজ্ঞানিক থিওরির কিতাব নয়।বরং এটা সৃষ্টকর্তার পক্ষ থেকে মানবজাতির হেদায়েতের আলোকবর্তিকা।তারপরও কোরআনে যে সমস্ত বৈজ্ঞানিক থিওরি আলোচিত হয়েছে পৃথিবী যতই বিজ্ঞানে আলোকিত হবে কোরআনের গূড় রহস্য ততই পরিষ্কার হবে।কোরআনের সাথে বৈজ্ঞানিকের কোন থিওরির যদি বৈপরিত্য দেখা দেয় আমাদেরকে বুঝতে হবে সেই থিওরিতে নিশ্চয় কোন ভুল রয়েছে।কারন মানুষের জ্ঞান হল-সসীম আর আল্লাহর জ্ঞান হল-অসীম।অসীম জ্ঞানের সাথে সসীমের কোন তুলনা হতে পারে না।
★বিগ ব্যাং থিওরি কি? বিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে জ্যোতির্বিদগণ কর্তৃক প্রদত্ত একটি ব্যাখ্যা হল বিগ ব্যাং থিওরি, যা ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন তথ্য ও পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এই তত্ত্ব সমর্থিত হয়েছে। “বিগ ব্যাং” অনুসারে মহাবিশ্ব প্রাথমিক অবস্থায় একটি বিশাল নিহারিকা ছিল। তারপর সেখানে একটি মহা বিস্ফরন ঘটে, ফলে ছায়া পথ তৈরি হয়। পরবর্তীতে এগুলো তারা, গ্রহ, সূর্য ও চন্দ্র ইত্তাদিতে রুপান্তরিত হয়। এই তত্ত্ব বলে আজ থেকে প্রায় ১৩.৭ বিলিয়ন বছর পূর্বে এই মহাবিশ্ব একটি অতি ঘন এবং উত্তপ্ত অবস্থা থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। বিজ্ঞানী এডুইন হাবল প্রথম বলেন, দূরবর্তী ছায়াপথসমূহের বেগ সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এরা পরষ্পর দূরে সরে যাচ্ছে অর্থাৎ মহাবিশ্ব ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে।
★আল- কোরআনে বিগ ব্যাং এর আলোচনা: বিগ ব্যাং সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা অস্বীকার করেছে তারা কি চিন্তা করে না যে, (একদা) এই আসমান ও জমিনের সব কিছুই মিলিত অবস্থায় ছিল, অত:পর আমরা এ গুলোকে আলাদা করে দিয়েছি।"(সূরা আম্বিয়ার আয়াত নং -৩০) এখানে মিলিত অবস্থা বলতে পরস্পরে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকাকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বজগতের প্রাথমিক অবস্থায় এটি একটি পিন্ড ও দলার মতো ছিল। পরে এদেরকে আলাদা-অলাদা ভাগে বিভক্ত করে জমিন ও অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহের আলাদা জগত সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে। এই আয়াতে "রাতক্ব" এবং "ফাতাক্ব" শব্দদ্বয় দিয়ে বুঝানো হয়েছে যে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যাবতীয় কিছু একক বস্তুতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল এবং পরবর্তীতে তা স্বতন্ত্র অস্তিত্বে আলাদা হয়েছিল। এই আয়াতের শব্দদ্বয় "একতা নীতি" বা "প্রিন্সিপল অব সিঙ্গুলারিটি" এর নির্দেশ করে এবং বিগ ব্যাং থিওরীর পরিপূর্ণ ধারণা বহন করে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, মহাবিশ্বে ছায়াপথ গঠিত হবার পূর্বে , সব পদার্থ প্রাথমিক ভাবে গ্যাস অবস্থায় ছিল। সংক্ষেপে বলা যায়, ছায়াপথ তৈরির আগে বিপুল পরিমান পদার্থ গ্যাস বা মেঘ অবস্থায় বিদ্যমান ছিল। আসলে মহাবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থাকে বর্ণনা করতে “ধোয়া” শব্দটি গ্যাসের থেকে আরও বেশি যথার্থ। কোরআনে মহাবিশ্বের এই অবস্থাকে বর্ণনা করা হয়েছে “দুখা-ন” শব্দ দ্বারা যার অর্থ “ধোয়া”। যেমন-কোরআনে এসেছে- “অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।” [৪১:১১]
তাহলে কোরআন অনুযায়ী এই প্রাকৃতিক মহাবিশ্বকে ‘Be’ কম্যান্ডমেন্ট তথা ‘Big Bang’ এর মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে (২:১১৭, ২১:৩০)… তারপর থেকে মহাবিশ্বকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে (৫১:৪৭)… ধীরে ধীরে সংকোচনের মাধ্যমেন একদিন ধ্বংস করা হবে (২১:১০৪)… এবং আবারো নতুন করে মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করা হবে (২১:১০৪,১৪:৪৮)।
এই বিগ ব্যাং থিওরীর একটা অনুসিদ্ধান্ত হল "অনবরত দূরে সরে যাওয়া গ্রহ নক্ষত্রগুলো একসময় আবার কাছাকাছি আসা শুরু করবে কেন্দ্রবিমুখী বল শুন্য হয়ে যাওয়ার ফলে এবং সময়ের ব্যাবধানে সব গ্রহ নক্ষত্র আবার একত্রে মিলিত হয়ে একটা পিন্ডে পরিনত হবে"। "সেই দিন আকাশমন্ডলীকে গুটিয়ে ফেলব, যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দফতর" (সূরা আম্বিয়া : ১০৪)
ড:মিলার বলেছেন, এই আয়াতটি নিয়ে চিন্তা-গবেষণার পর কোরআন যে ঐশী গ্রন্থ তা মেনে নিতে বাধ্য হই। যারা প্রচার চালাচ্ছে কোরআন হযরত মুহাম্মদ (সা) এর নিজস্ব বক্তব্য তাদের দাবি নাকচ করার জন্য এই একটি আয়াতই যথেষ্ট।(THE AMAZING QURAN ,chap.Origin of the Universe and Life)
ড:মিলার বলেছেন, দেড় হাজার বছর আগে ইসলামের নবীর পক্ষে কিভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য নিয়ে কথা বলা সম্ভব, যিনি কোন দিন কোন স্কুলে পড়ালেখা করেন নি। কারণ এটি এমন এক বৈজ্ঞানিক বিষয়, যা সম্পর্কে তত্ত্ব আবিষ্কার করে মাত্র কয়েক বছর আগে ১৯৭৩ সালে নোবেল পুরুস্কার পেয়েছেন এক বিজ্ঞানী। মিলারের মতে এই আয়াতে সেই বিগ ব্যাং এর কথাই বলা হয়েছে যার মাধ্যমে পৃথিবী, আকাশমন্ডলী ও তারকারাজি সৃষ্টি হয়েছে।
পরিশেষে বলা যায় যে,পবিত্র কোরআন গতানুগতিক কোন বৈজ্ঞানিক থিওরির কিতাব নয়।বরং এটা সৃষ্টকর্তার পক্ষ থেকে মানবজাতির হেদায়েতের আলোকবর্তিকা।তারপরও কোরআনে যে সমস্ত বৈজ্ঞানিক থিওরি আলোচিত হয়েছে পৃথিবী যতই বিজ্ঞানে আলোকিত হবে কোরআনের গূড় রহস্য ততই পরিষ্কার হবে।কোরআনের সাথে বৈজ্ঞানিকের কোন থিওরির যদি বৈপরিত্য দেখা দেয় আমাদেরকে বুঝতে হবে সেই থিওরিতে নিশ্চয় কোন ভুল রয়েছে।কারন মানুষের জ্ঞান হল-সসীম আর আল্লাহর জ্ঞান হল-অসীম।অসীম জ্ঞানের সাথে সসীমের কোন তুলনা হতে পারে না।
ছাগল।
ReplyDeleteকোরানে বিগব্যাং!!!
ReplyDeleteপিপড়ার পাছায় গন্ডারের ঠ্যাঙ।
------------------------------
এই পোস্টটি হচ্ছে মুসলমানদের আরো একটি মিথ্যাচার ও গোঁজামিল ফাঁস করে দেবার জন্য লেখা।সাপ যেমন লেজের মধ্যে পাড়া দিলে ফোস করে ওঠে।ইসলাম নিয়ে কিছু বলতে গেলেই মুসলিমরা ফোস করে যে প্রথম ছোবলটি দেয়ার চেষ্টা করে তার নাম হল"খুব তো বিজ্ঞান সোদাও! তুই কি জানোস,আমগো কোরানে চৌদ্দশ বছর আগেই বিগব্যাঙের কথা আছে"।
কিন্তু তাদের প্রত্যেককেই যখন বিগ ব্যাং এর বেসিক কোন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তারা কিচ্ছু বলতে পারে।তারা হয় বিষয়টা মহাভন্ড জাকির নায়েকের মুখে শুনেছে তারপর তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বলেছে "আহ আমার ধর্মে কত্ত বিজ্ঞান "।কিন্তু কেউই বিজ্ঞান এর কোন বই হাতিয়ে কোরানের ঐ আয়াত গুলোর সাথে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করে নাই।
আমি এখানে একটা একটা করে কোরানের আয়াতকে ধরে ধরে দেখাবো কিভাবে মুসলিমরা বার্গারের সাথে পান্তাভাত মিলিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করে।
*আকাশ ও পৃথিবী এক সাথে মিশে ছিলো,পরে আমি উভয় কে পৃথক করে দিলাম।( সুরা আম্বিয়া,আয়াত নং:30)
খন্ডন:এই আয়াত টি হলো কোরানে বিগ ব্যাং এর কথা আছে সেটা প্রমান করার প্রধান আয়াত।এখানে দুইটি প্রধান শব্দ আছে একটা হল আকাশ আরেকটা হলো পৃথিবী।কোরানে আকাশকে বলা হয়েছে সুরক্ষিত ছাদ।
"এবং আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ"(আম্বিয়া,আয়াত 32)
কিন্তু বিজ্ঞানে আকাশের অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন।আমরা যে আকাশকে নীল বলি সেটা মূলত মহাকাশের একটি তুচ্ছ অংশ যেখানে বায়ুমন্ডলের অস্তিত্বের কারনে সেখানে আলোর বিক্ষেপনের ফলে নীল রং ধারন করে।আবার অসুমাবস্যায় যখন রাতের আকাশকে কালো বলি তখন কিন্তু সরাসরি বায়ুমন্ডল ভেদ করে মহাকাশকেই নির্দেশ করি।আমাদের এই মহাবিশ্ব সাধারন ভাবে যে তিনটি বিষয় নিয়ে গঠিত তা হল ভর,শক্তি এবং স্থানকাল।মহাবিশ্ব থেকে ভর ও শক্তিকে বাদ দিলে যা থাকে সেটাই স্থানকাল বা আকাশ।একটু সহজ করে বলি।আপনি যখন পৃথিবী থেকে চাঁদ দেখেন তখন বলবেন চাঁদের অবস্থান আকাশে আবার চাঁদে গিয়ে যদি পৃথিবীর দিকে তাকান তখন বলবেন পৃথিবীর অবস্থান আকাশে।অর্থাত চাঁদ থেকে দেখলে পৃথিবী আকাশে আবার পৃথিবী থেকে দেখলে চাঁদ আকাশে।আকাশ হল ভরবিহীন শূন্যস্থান।প্রতিটি পরমানুর ভেতর বেশিরভাগ অংশই এই শূন্যস্থান।তাই এক কথায় বলা যায় প্রতিটি পরমানুর বেশির ভাগ অংশই আকাশ দিয়ে ভরা।তাই আমরা নিজেরাই আমাদের শরীরে আকাশ ধারন করি।আকাশ কেবল উপরে নয় বরং চারপাশে।আদিমকাল থেকেই মানুষের ধারনা আকাশ উপরে থাকে এবং সেখানে দেবতাগন অবস্থান করেন এবং কেউ আবার তাদের সাথে দেখা করতে "মেরাজ বা উর্ধগমন" করেন।কিন্তু মহাকাশে উপর নিচ বলে কিছু হয় না।আমি যদি দিন বারোটায় কোন মুসলিমকে প্রশ্ন করি আল্লাহর আরশ কই?সে দুই হাত তুলে উপরের দিকে নির্দেশ করবে কিন্তু তাকেই যদি একই প্রশ্ন পুনরায় রাত বারোটায় করি তখন সে যদি উপরে দেখায় তখন কিন্তু সে আগের দেখানোর দিকটির বিপরীত দিক নির্দেশ করেছে।কারন বারো ঘন্টার ব্যবধানে পৃথিবীটাই ততক্ষনে উল্টে গেছে।সুতরাং আকাশ সম্পর্কে কোরান এর বক্তব্য আগাগোড়া ভুয়া।তাই যখন বলা হয় আকাশ ও পৃথিবী একসাথে মিশে ছিল তারপর পৃথক করা হয়েছে তখন এর কোন অর্থই হয় না।কারন আকাশের সাথে পৃথিবী এখনো মিশেই আছে।কারন পৃথিবীর প্রতিটা পরমানু ভরে আছে শূন্যস্থান দিয়ে অর্থাত আকাশ দিয়েই।এই শূন্যস্থানই হল ভরহীন স্থানকাল।আর বিগব্যাং এর সাথে স্থানকাল থেকে পৃথিবী আলাদা হবার কোন সম্পর্ক নাই,কারন বিগব্যাঙের সময় পৃথিবী ছিলোই না।বিগব্যাং এর ফলে স্থান কাল তৈরি হয় পনেরোশো কোটি বছর আগে অপর দিকে পৃথিবী তৈরি হয় পাঁচ শো কোটি বছর আগে।
#তিনিই সেই সত্বা যিনি তোমাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন পৃথিবীর সমস্ত কিছু,অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগী হয়ে সাত আসমান সৃষ্টি করেছেন।(সুরা বাকারা আয়াত 29)
খন্ডন:কি হাস্যকর একটি আয়াত।এখানে বলা হয়েছে পৃথিবী তৈরি করা হয়েছে আকাশ এর আগে।
https://youtu.be/N2CyPzOovFA
Deleteকোরানে বিগব্যাং!!!
ReplyDeleteপিপড়ার পাছায় গন্ডারের ঠ্যাঙ।
------------------------------
এই পোস্টটি হচ্ছে মুসলমানদের আরো একটি মিথ্যাচার ও গোঁজামিল ফাঁস করে দেবার জন্য লেখা।সাপ যেমন লেজের মধ্যে পাড়া দিলে ফোস করে ওঠে।ইসলাম নিয়ে কিছু বলতে গেলেই মুসলিমরা ফোস করে যে প্রথম ছোবলটি দেয়ার চেষ্টা করে তার নাম হল"খুব তো বিজ্ঞান সোদাও! তুই কি জানোস,আমগো কোরানে চৌদ্দশ বছর আগেই বিগব্যাঙের কথা আছে"।
কিন্তু তাদের প্রত্যেককেই যখন বিগ ব্যাং এর বেসিক কোন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তারা কিচ্ছু বলতে পারে।তারা হয় বিষয়টা মহাভন্ড জাকির নায়েকের মুখে শুনেছে তারপর তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বলেছে "আহ আমার ধর্মে কত্ত বিজ্ঞান "।কিন্তু কেউই বিজ্ঞান এর কোন বই হাতিয়ে কোরানের ঐ আয়াত গুলোর সাথে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করে নাই।
আমি এখানে একটা একটা করে কোরানের আয়াতকে ধরে ধরে দেখাবো কিভাবে মুসলিমরা বার্গারের সাথে পান্তাভাত মিলিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করে।
*আকাশ ও পৃথিবী এক সাথে মিশে ছিলো,পরে আমি উভয় কে পৃথক করে দিলাম।( সুরা আম্বিয়া,আয়াত নং:30)
খন্ডন:এই আয়াত টি হলো কোরানে বিগ ব্যাং এর কথা আছে সেটা প্রমান করার প্রধান আয়াত।এখানে দুইটি প্রধান শব্দ আছে একটা হল আকাশ আরেকটা হলো পৃথিবী।কোরানে আকাশকে বলা হয়েছে সুরক্ষিত ছাদ।
"এবং আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ"(আম্বিয়া,আয়াত 32)
কিন্তু বিজ্ঞানে আকাশের অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন।আমরা যে আকাশকে নীল বলি সেটা মূলত মহাকাশের একটি তুচ্ছ অংশ যেখানে বায়ুমন্ডলের অস্তিত্বের কারনে সেখানে আলোর বিক্ষেপনের ফলে নীল রং ধারন করে।আবার অসুমাবস্যায় যখন রাতের আকাশকে কালো বলি তখন কিন্তু সরাসরি বায়ুমন্ডল ভেদ করে মহাকাশকেই নির্দেশ করি।আমাদের এই মহাবিশ্ব সাধারন ভাবে যে তিনটি বিষয় নিয়ে গঠিত তা হল ভর,শক্তি এবং স্থানকাল।মহাবিশ্ব থেকে ভর ও শক্তিকে বাদ দিলে যা থাকে সেটাই স্থানকাল বা আকাশ।একটু সহজ করে বলি।আপনি যখন পৃথিবী থেকে চাঁদ দেখেন তখন বলবেন চাঁদের অবস্থান আকাশে আবার চাঁদে গিয়ে যদি পৃথিবীর দিকে তাকান তখন বলবেন পৃথিবীর অবস্থান আকাশে।অর্থাত চাঁদ থেকে দেখলে পৃথিবী আকাশে আবার পৃথিবী থেকে দেখলে চাঁদ আকাশে।আকাশ হল ভরবিহীন শূন্যস্থান।প্রতিটি পরমানুর ভেতর বেশিরভাগ অংশই এই শূন্যস্থান।তাই এক কথায় বলা যায় প্রতিটি পরমানুর বেশির ভাগ অংশই আকাশ দিয়ে ভরা।তাই আমরা নিজেরাই আমাদের শরীরে আকাশ ধারন করি।আকাশ কেবল উপরে নয় বরং চারপাশে।আদিমকাল থেকেই মানুষের ধারনা আকাশ উপরে থাকে এবং সেখানে দেবতাগন অবস্থান করেন এবং কেউ আবার তাদের সাথে দেখা করতে "মেরাজ বা উর্ধগমন" করেন।কিন্তু মহাকাশে উপর নিচ বলে কিছু হয় না।আমি যদি দিন বারোটায় কোন মুসলিমকে প্রশ্ন করি আল্লাহর আরশ কই?সে দুই হাত তুলে উপরের দিকে নির্দেশ করবে কিন্তু তাকেই যদি একই প্রশ্ন পুনরায় রাত বারোটায় করি তখন সে যদি উপরে দেখায় তখন কিন্তু সে আগের দেখানোর দিকটির বিপরীত দিক নির্দেশ করেছে।কারন বারো ঘন্টার ব্যবধানে পৃথিবীটাই ততক্ষনে উল্টে গেছে।সুতরাং আকাশ সম্পর্কে কোরান এর বক্তব্য আগাগোড়া ভুয়া।তাই যখন বলা হয় আকাশ ও পৃথিবী একসাথে মিশে ছিল তারপর পৃথক করা হয়েছে তখন এর কোন অর্থই হয় না।কারন আকাশের সাথে পৃথিবী এখনো মিশেই আছে।কারন পৃথিবীর প্রতিটা পরমানু ভরে আছে শূন্যস্থান দিয়ে অর্থাত আকাশ দিয়েই।এই শূন্যস্থানই হল ভরহীন স্থানকাল।আর বিগব্যাং এর সাথে স্থানকাল থেকে পৃথিবী আলাদা হবার কোন সম্পর্ক নাই,কারন বিগব্যাঙের সময় পৃথিবী ছিলোই না।বিগব্যাং এর ফলে স্থান কাল তৈরি হয় পনেরোশো কোটি বছর আগে অপর দিকে পৃথিবী তৈরি হয় পাঁচ শো কোটি বছর আগে।
#তিনিই সেই সত্বা যিনি তোমাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন পৃথিবীর সমস্ত কিছু,অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগী হয়ে সাত আসমান সৃষ্টি করেছেন।(সুরা বাকারা আয়াত 29)
খন্ডন:কি হাস্যকর একটি আয়াত।এখানে বলা হয়েছে পৃথিবী তৈরি করা হয়েছে আকাশ এর আগে।
https://youtu.be/N2CyPzOovFA
Delete