Monday, September 18, 2017

ফরজ নামাজের পরে হাত তুলে মুনাজাত করা প্রসঙ্গে।

ফরজ নামাযের পর মুনাজাতের বিষয় বুঝতে হলে আমাদেরকে দুটি পয়েন্ট ভাল করে বুঝতে হবে। যথা-

১.ফরজ নামাযের পর একাকি হাত তুলে  মুনাজাত জায়েয কি না?

২ .ফরজ নামাযের পর সম্মিলিতভাবে হাত তুলে মুনাজাত জায়েয কি না?

এখন ১নং মাসআলা তথা ফরজ নামাযের পর একাকি হাত তুলে  মুনাজাত ইসলামী শরীয়তে সম্পুর্ণরুপেই  জায়েয যা নবীজির একাধিক হাদিস দ্বারা প্রমানিত।নিম্ণে এ সম্পর্কে কিছু হাদিস পেশ করা হল-
★তিরমিজি শরিপ ৩৭৫ নং হাদিস এসেছে-عن الفضل بن عباس (رض) قال قال رسول الله (صلي) الصلاۃ مثني مثني تشهد في كل ركعتين وتخشع و تمسكن ثم تقنع يديك يقول ترفعهما الي ربك مستقبلا ببطونهما وجهك و تقول يا رب يا رب و من لم يفعل ذلك فهو كذا و في روايۃ فهو خداج
অর্থ-হযরত ফজল ইবনে আব্বাস (রাঃ)থেকে বর্ণিত,রাসুল (সাঃ)ইরশাদ করেন,নামাজের নিম্ন পরিমান দুরাকাত দুরাকাত (যেমন ফজরের নামাজ)। প্রতি দুরাকাতে তাশাহুদ পাঠ করা, খুশু খুজু,বিনয় ও নম্রতা অবলম্বন করতে হয়।অতঃপর তোমার প্রভুর দরবারে হাত দুখানা মুখমণ্ডল বরাবর উঠায়ে, ইয়া রব!ইয়া রব!বলে দোয়া করবে ।যে ব্যক্তি এরুপ নামাজ বাদ হাত উত্তোলোন করে দোয়া করেন না তার নামাজ অসম্পূর্ণ। এ হাদিস থেকে বুঝা যায় যে,নামাজ পড়ে হাত তোলা দোয়া করা রাসুলের নির্দেশ। ★মাজমাউয যাওয়ায়েদ ওয়া মানবাউল ফাওয়ায়েদ নামক কিতাবের ১৭৩৪৫ নং হাদিসে এসেছে-
عن بن الزبير انه راي رجلا رافعا يديه يدعوا قبل ان يفرغ من صلاته فلما فرغ منها قال ان رسول الله (صلي)لم يكن يرفع يديه حتي يفرغ من صلاتهঅর্থাৎ-হযরত ইবনে যুবাইর (রাঃ)থেকে বর্ণিত,তিনি এক ব্যক্তিকে তার নামাজ শেষ করার আগেই হাত তুলে দোয়া করতে দেখলেন।অতঃপর এ লোকটি যখন নামাজ শেষ করলেন তিনি তাকে বললেন,নিশ্চয় রাসুল (সাঃ) নামাজ শেষ হওয়ার আগে হাত তুলে দোয়া করতেন না। অর্থাৎ তিনি নামাজ শেষ করেই হাত তুলে দোয়া করতেন। এ হাদিস দ্বারাও বুঝা যাচ্ছে যে,রাসুলের অভ্যাস ছিল নামােজর শেষে হাত তুলে দোয়া করা ।
★তাফসিরে ইবনে কাসির সুরা নিসার ১০০ নং আয়াতের তাফসিরে একখানা হাদিস এসেছে -عن ابي هريرۃ (رض)ان رسول الله (صلي)رفع يده بعد ما سلم و هو مستقبل القبلۃ فقال اللهم خلص الوليد بن الوليد و عياش بن ابي ربيعۃ و سلمۃ بن هشام و ضعفۃ المسلمين الذين لا يستطيعون حيلۃ ولا يهتدون سبيلا من ايدي الكفار
 অর্থ-হযরত আবু হুরায়রাহ (রাঃ)থেকে বর্ণিত,নিশ্চয় রাসুল (সাঃ)নামাজের সালাম ফিরনোর পর কিবলার দিকে ফিরিয়ে দুহাত তুলে দোয়া করতেন,হে আল্লাহ আপনি ইবনে অলিদ,ইবনে আবি রবিয়া,ইবনে হিশাম ও এমন সব দূবল মুসলিমদের কাফিরদের হাত থেকে রক্ষা করুন যাদের কাছে নেই কোন কৌশল এবং নেই কোন বিকল্প রাস্তা। এ হাদিস দ্বারাও বুঝা যাচ্ছে রাসুল (সাঃ) নামাজ পড়ে দুহাত তুলে দোয়া করতেন।
★আল্লামা ইবনুস সানি লিখিত ,আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ নামক কিতাবের ১২১পৃষ্ঠায় একখানা হাদিস এসেছে-
عن انس (رض) عن النبي (صلي)انه قال ما من عبد بسط كفيه في دبر كل صلاۃ ثم يقول اللهم الهي و اله ابراهيم و اسحاق و يعقوب و اله جبراءيل و ميكاءيل و اسرافيل اسءلك ان تستجيب دعوتي فاني مضطر و تعصمني في ديني فاني مبتلي و تنا لني برحمتك فاني مذنب و تنفي عن الفقر فاني متمسكن الا كان علي الله ان لا يرد يديه خاءبينঅর্থাৎ-হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত রাসুল (সাঃ)থেকে বর্ণনা করেন,রাসুল (সাঃ)বলেন,যখন কোন বান্দা প্রত্যেক নামাজের পর দুহাত তুলে আল্লাহর দরবারে এ দোয়া করে যে,اللهم الهي و اله ابراهيم............................و تنفي عنرالفقر فاني متمسكن)তখন আল্লাহর উপরে কর্তব্য হয়ে যায় যে তার দুহাতকে নিরাশ অবস্হায় ফিরিয়ে না দেয়া। উপরের হাদিসখানাতেও নামাজের পর হাত তুলে দোয়া করার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

★ইমাম বুখারি (রঃ) এর লিখিত, আত-তারিখুল কাবির কিতাবের ৬/৮০ পৃষ্ঠায় হাদিস এসেছে-
عن المغيرۃ (رض)كان النبي (صلي) يدعوا في دبر صلاته
অর্থাৎ রাসুল (সাঃ) সবসময় তার নামাজ শেষ করে দোয়া করতেন। এ হাদিসখানাতে বুঝানো হয়েছে যে,রাসুল (সাঃ) সবসময় নামাজের শেষে দোয়া করতেন।আবার অন্য আরেকখানা হাদিসে রাসুল (সাঃ) এর দোয়ার পদ্ধতি বলা হয়েছে যে,রাসুল (সাঃ) যখনই কোন দোয়া করতেন তখনই হাত উঠাতেন।
যেমন: আবু দাউদ শরিপ ১৪৯২ নং হাদিসে এসেছে
عن الساءب بن يزيد (رض)عن ابيه ان النبي (صلي)كان اذا دعا رفع يديه مسح وجهه بيديه
অর্থাৎ রাসুল (সাঃ) যখনই দোয়া করতেন তখনই হাত উঠিয়ে দোয়া করতেন এবং দুহাত দ্বারা তার মুখমণ্ডলকে মাসেহ করতেন।

উপরের দুই হাদিসের প্রথম হাদিস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে রাসুল (সাঃ)প্রত্যেক নামাজের শেষে দোয়া করতেন আর দ্বিতীয় হাদিস দ্বারা বুঝা যায় রাসুল অধিকাংশ দোয়াতেই হাত উঠাতেন।সুতরাং দুহাদিসকে মিলিয়ে আমরা বুঝতে পারি যে রাসুল (সাঃ)প্রত্যেক নামাজের পরেই হাত তুলে দোয়া করতেন।

★পূর্বের আলোচনা দ্বারা পরিস্কার হয়ে গেল যে, রাসূল সাঃ ফরজ নামায শেষে হাত তুলে দুআ করতেন। এখন প্রশ্ন হল, রাসূল সাঃ ও সাহাবায়ে কেরাম রাঃ থেকে সম্মিলিতভাবে দুআ করা প্রমাণিত কি না?
নিচে কয়েকটি হাদীস দেয়া হল। যা পরিস্কারভাবে সম্মিলিত দুআ করা ও সম্মিলিত দুআর প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।

১.আলবিদায়া ওয়াননিহায়া গ্রন্থে আল্লামা ইবনে কাসীর রহঃ সনদসহ একখানা হাদিস বর্ণনা করেছেন।যার সারমর্ম হল,
আলা বিন হাযরামী রাঃ। মুস্তাজাবুদ দাওয়া সাহাবী ছিলেন। একদা বাহরাইনের জিহাদ থেকে ফেরার পথে এক স্থানে যাত্রাবিরতি করলে খাবার দাবার ও তাবুর রসদসহ উটগুলো পালিয়ে যায়। তখন গভীর রাত। সবাই পেরেশান। ফজরের সময় হয়ে গেলে আজান হল। সবাই নামায আদায় করলেন। নামায শেষে আলা বিন হাযরামী রাঃ সহ সবাই হাত তুলে সূর্য উদিত হওয়ার সূর্যের কিরণ গায়ে লাগা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় দুআ করতে থাকেন। {আলবিদায়া ওয়াননিহায়া-৬/৩২৮-৩২৯}
এ হাদিস দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যায় সাহাবিরা ফজরের নামাজ পড়ে সম্মিলিতভাবে দোয়া করেছেন।আর সাহাবিদের কাজ কখনও বেদআত হতে পারে না

২.আলমুজামুল কাবীর নামক হাদিসের কিতাবে এসেছে-
عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ الْفِهْرِيِّ – وَكَانَ مُسْتَجَابًا -: أَنَّ
ُ أُمِّرَ عَلَى جَيْشٍ فَدَرِبَ الدُّرُوبِ، فَلَمَّا لَقِيَ الْعَدُوَّ قَالَ لِلنَّاسِ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – يَقُولُ: ” «لَا يَجْتَمِعُ مَلَأٌ فَيَدْعُو بَعْضُهُمْ وَيُؤَمِّنُ سَائِرُهُمْ، إِلَّا أَجَابَهُمُ اللَّهُ» “.
ثُمَّ إِنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ احْقِنْ دِمَاءَنَا، وَاجْعَلْ أُجُورَنَا أُجُورَ الشُّهَدَاءِ
অর্থাৎ-হযরত হাবীব বিন মাসলামা আলফিহরী রাঃ। যিনি মুস্তাজাবুদ দাওয়া ছিলেন। তাকে একবার একটি বাহিনী প্রধান নিযুক্ত করা হয়। যুদ্ধের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের পর তিনি যখন শত্রুর সম্মুখিন হলেন। তখন লোকদের বললেন, আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন “যখনি কোন দল একত্র হয়, তারপর তাদের কথক দুআ করে, আর অপরদল আমীন বলে তখন আল্লাহ তাআলা তা কবুল করে নেন”।
এ হাদীস বলার তিনি [হাবীব বিন মাসলামা রাঃ] হামদ ও সানা পড়লেন। তারপর বললেন, হে আল্লাহ! তুমি আমাদের প্রাণ রক্ষা কর। আর আমাদের শহীদের সওয়াব দান কর।(হাদীস নং-৩৫৩৬)
এ হাদিসেও সম্মিলিত মুনাজাতের প্রতি রাসুল (সাঃ)আমাদের উৎসাহিত করেছেন।

৩. সহীহ বুখারীতে এসেছে,হযরত আনাস (রাঃ)বর্ণিত,
قَالَ: أَتَى رَجُلٌ أَعْرَابِيٌّ مِنْ أَهْلِ البَدْوِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَتِ المَاشِيَةُ، هَلَكَ العِيَالُ هَلَكَ النَّاسُ، «فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ، يَدْعُو، وَرَفَعَ النَّاسُ أَيْدِيَهُمْ مَعَهُ يَدْع
অর্থাৎ- একদা একজন গ্রাম্য সাহাবী রাসূল সাঃ এর কাছে আসলেন জুমআর দিন। এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জিনিস পত্র, পরিবার, মানুষ সবই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। একথা শুনে রাসূল সাঃ তার উভয় হাত উত্তলোন করলেন দুআর উদ্দেশ্যে। উপস্থিত সবাই রাসূল সাঃ এর সাথে দুআর জন্য হাত উত্তোলন করলেন। (হাদীস নং-১০২৯)

এ হাদীসে পরিস্কারভাবে রাসূল সাঃ থেকে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত প্রমানিত। লক্ষ্য করুন, রাসূল সাঃ দুআ করেছেন, আর উপস্থিত সাহাবীগণ আমীন আমীন বলে সম্মিলিত মুনাজাতে অংশ নিয়েছেন।

৪. হযরত সালমান রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন,
: «مَا رَفَعَ قَوْمٌ أَكُفَّهُمْ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ يَسْأَلُونَهُ شَيْئًا، إِلَّا كَانَ حَقًّا عَلَى اللهِ أَنْ يَضَعَ فِي أَيْدِيهِمُ الَّذِي سَأَلُوا
অর্থাৎ-  যখন কোন জামাআত তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করার আশায় আল্লাহর দরবারে হাত উঠায়, তখন আল্লাহর উপর হক হল প্রার্থিত বিষয় উক্ত জামাতকে প্রদান করা।
 {আলমুজামুল কাবীর লিততাবরানী, হাদীস নং-৬১৪২, আততারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-১৪৪, মাযমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৭৩৪১, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩১৪৫}
আল্লামা হায়ছামী রহঃ বলেন, এ হাদীসের সনদের সকল রাবীগণ সহীহের রাবী।{ মাযমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৭৩৪১}

এরকম আরো অসংখ্য বর্ণনা প্রমাণ করে সম্মলিত মুনাজাত এটি দুআ কবুলের আলামত। সেই সাথে উত্তম আমল। যা কিছুতেই বিদআত হতে পারে না। যে সম্মলিত মুনাজাত রাসূল সাঃ নিজে করেছেন সাহাবীদের নিয়ে, সাহাবায়ে কেরাম সাথিবর্গকে নিয়ে যে সম্মলিত মুনাজাত করেছেন, তা কী করে বিদআত হতে পারে?

সুতরাং বুঝা গেল যে, সম্মিলিত মুনাজাত করাও রাসূল সাঃ এবং সাহাবায়ে কেরাম রাঃ থেকে প্রমাণিত। সেই সাথে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করতে রাসূল সাঃ পরিস্কার ভাষায় উৎসাহ প্রদান করেছেন।

এখন যদি কোন ভাই বলে যে,শেষের তিনটি  হাদিসেতো নামাজের পরের কথা উল্লেখ নেই।তাদেরকে বলব,এ হাদিসগুলোর হুকুম হল-আম বা ব্যাপক যা সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য। আর এ ব্যাপক হুকুম থেকে যদি আপনি নামাজের পরের হুকুমকে বাদ দিতে চান তাহলে আপনাকে আলাদএমন কোন দলিল দেখাতে হবে যেখানে বলা হয়েছে সম্মিলিত মুনাজাত জায়েয তবে নামাজের পরে জায়েয নেই।আর এ রকম কোন নিষেধাজ্ঞার হাদিস কেহ দেখাতে পারবেন না।
তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়। যথা-
১.ফরজ নামাযের পর দুআকে জরুরী মনে করা।

২.দুআকে নামাযের অংশ মনে করা।

৩.এ ছাড়া নামায পূর্ণ হয় না আকিদা রাখা।

 এ তিনটির কোন একটি পাওয়া গেলে উক্ত দুআ বিদআত হবে। কারণ এর কোন প্রমাণ নেই।

কিন্তু যদি উপরোক্ত কোন কারণ পাওয়া না যায়। বরং যেহেতু রাসূল সাঃ ফরজ নামাযের পর দুআ করেছেন, সেই সাথে সম্মিলিতভাবে দুআ করতে উৎসাহ প্রদান করেছেন, সেই সওয়াব পাবার আশায় যদি ইমাম সাহেব সম্মিলিতভাবে দুআ করেন, তাহলে উক্ত সম্মিলিত দুআকে বিদআত বলার কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ বলে তাহলে সে হাদীসে নববী সম্পর্কে অজ্ঞ ছাড়া আর কিছু নয়।
والله اعلم بالصواب

Wednesday, August 2, 2017

পাটিগণিতের শর্টকাটের বিভিন্ন সুত্র।

গণিত শর্ট টেকনিক-
=========================
★পাইপ_এবং_চৌবাচ্চাঃ
নিয়ম-০১:
সম্পূর্ণ খালি একটি চৌবাচ্চা একটি নল দিয়ে ২০ মিনিটে সম্পূর্ণ ভর্তি করা যায়।২য় একটি নল দিয়ে ৩০ মিনিটে সম্পূর্ণ ভর্তি করা যায়। নল দুটি একই সাথে খুলে দিলে কত সময়ে চৌবাচ্চাটি পূর্ণ হবে?
#1_Technique::: চৌবাচ্চাটি পূর্ণ হতে সময় লাগবে
= XY / (X+Y)
= (20x30) / (20+30)
= 600/50
=12 min.
নিয়ম-০২:
একটি চৌবাচ্চার প্রথম নল দিয়ে পূর্ণ হতে সময় লাগে ২০ মিনিট। দ্বিতীয় নল দিয়ে খালি হতে ৩০ মিনিট সময় লাগে। নল দুইটি একই সাথে খুলে দিলে কত সময়ে চৌবাচ্চাটি খালি হবে?
#2_technique::: চৌবাচ্চাটি খালি হতে সময় লাগবে
= X(-Y)/(X-Y)
= (20x-30)/(20-30)
= -600/-10
= 60 min.
নিয়ম-০৩:
একটি চৌবাচ্চা তিনটি নল দিয়ে যথাক্রমে ১০, ১২ এবং ১৫ মিনিটে পূর্ণ হতে পারে।
তিনটি নল একই সাথে খুলে দিলে চৌবাচ্চাটি কত সময়ে পূর্ণ হবে?
#3_technique:::: চৌবাচ্চাটি পূর্ণ হতে সময় লাগবে
= XYZ/(XY+YZ+ZX)
= [(10X12x15)] / [(10X12)+(12X15)+(15X10)]
= 1800/450
= 4 min.

★নৌকা_স্রোতঃ
নিয়ম-১: নৌকার গতি স্রোতের অনুকূলে ঘন্টায় ১০ কি.মি. এবং স্রোতের প্রতিকূলে ২ কি.মি.।
স্রোতের বেগ কত?
#4_technique:::স্রোতের বেগ = (স্রোতের অনুকূলে নৌকার বেগ – স্রোতের প্রতিকূলে নৌকার বেগ) /২
= (১০ – ২)/২
= ৪ কি.মি.
নিয়ম-২: একটি নৌকা স্রোতের অনুকূলে ঘন্টায় ৮ কি.মি. এবং স্রোতের প্রতিকূলে ঘন্টায় ৪ কি.মি. যায়। নৌকার বেগ কত?
#5_technique::::নৌকার বেগ = (স্রোতের অনুকূলে নৌকার বেগ+স্রোতের প্রতিকূলে নৌকার বেগ)/২
= (৮ + ৪)/২
= ৬ কি.মি.
নিয়ম-৩: নৌকা 3 স্রোতের বেগ ঘন্টায় যথাক্রমে ১০ কি.মি. 3 ৫ কি.মি.। নদীপথে ৪৫ কি.মি. পথ একবার যেয়ে ফিরে আসতে কত সময় লাগবে?
উত্তর: স্রোতের অনুকূলে নৌকারবেগ = (১০+৫) = ১৫ কি.মি.
স্রোতের প্রতিকূলে নৌকার বেগ = (১০-৫) = ৫ কি.মি.
#6_technique::: মোট সময় = [(মোট দূরত্ব/ অনুকূলে বেগ) + (মোট দূরত্ব/প্রতিকূলে বেগ)]
= [(৪৫/১৫) + (৪৫/৫)]
= ৩ + ৯
= ১২ ঘন্টা
নিয়ম-৪: একজন মাঝি স্রোতের অনুকূলে ২ ঘন্টায় ৫ কি.মি. যায় এবং ৪ ঘন্টায় প্রথম
অবস্থানে ফিরে আসে। তার মোট ভ্রমণে প্রতি ঘন্টায় গড় বেগ কত?
উত্তর:
#7_technique:::গড় গতিবেগ = (মোট দূরত্ব/মোট সময়)
= (৫+৫)/(২+৪)
= ৫/৩ মাইল
নিয়ম-৫: এক ব্যক্তি স্রোতের অনুকূলে নৌকা বেয়ে ঘন্টায় ১০ কি.মি. বেগে চলে কোন স্থানে গেলএবং ঘন্টায় ৬ কি.মি. বেগে স্রোতের প্রতিকূলে চলে যাত্রারম্ভের স্থানে ফিরে এল।
যাতায়াতে তার গড় গতিবেগ কত?
#8_technique:::গড় গতিবেগ
= 2mn/(m+n)
= (২ x ১০ x ৬)/(১০+৬)
= ১৫/২ কি.মি

★কাজ এবং শ্রমিকঃ
নিয়ম-১: ৩ জন পুরুষ বা ৪ জন মহিলা একটি কাজ ২৩ দিনে করতে পারে। কত দিনে ঐ কাজটি শেষ করতে ২ জন পুরুষ এবং ৫ জন মহিলার প্রয়োজন হবে?
#9_technique::::T = (M1 x W1 x T1)/(M1W2 + M2W1)
= (৩x৪x২৩)/(৩x৫ + ৪x২)
= ১২ দিন
নিয়ম-২: যদি রিয়াদ একটি কাজ ১০ দিনে করে এবং রেজা ঐ কাজ ১৫ দিনে করে তবে রিয়াদ
এবং রেজা একসাথে কাজটি কত দিনে করতে পারবে?
#10_yechnique:::: G = FS/(F+S)
= (১০ x ১৫)/ (১০+১৫)
= ৬ দিনে
নিয়ম-৩: যদি ক একটি কাজ ১০ দিনে করে এবং ক 3 খ একসাথে কাজটি ৬ দিনে করে তবে
খ কাজটি কতদিনে করতে পারবে?
#11_technique::::G = FS/(F-S)
= (১০ x ৬)/ (১০-৬)
= ১৫ দিনে
নিয়ম-৪: ক, খ এবং গ একটি কাজ যথাক্রমে ১২, ১৫ এবং ২০ দিনে করতে পারে।
তারা একত্রে কাজটি কতদিনে করতে পারবে?
#12_technique:::::::T = abc/ (ab + bc + ca)
= (১২ x ১৫ x ২০)/ (১২x১৫ +
১৫x২০ +২০x১২)
= ৫ দিনে
নিয়ম-৫: ৯ জন লোক যদি একটি কাজ ৩ দিনে করে তবে কতজন লোক কাজটি ৯ দিনে করবে?
#Special_technique:::: M1D1 = M2D2
বা, ৯ x ৩ =M2 x ৯
সুতরাং, M2 = ৩ দিনে

★প্রশ্নধরণ::: বর্গের অন্তর বা পার্থক্য দেওয়া থাকলে, বড় সংখ্যাটি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে-
.টেকনিকঃবড় সংখ্যা=(বর্গের অন্তর+1)÷2
.উদা:
দুইটি ক্রমিক সংখ্যার বর্গের অন্তর যদি 47 হয় তবে বড় সংখ্যাটি কত?
সমাধানঃ বড় সংখ্যা=(47+1)/2=24
====================
.
প্রশ্নের ধরণ: দুইটি বর্গের অন্তর বা পার্থক্য দেওয়া থাকলে, ছোট সংখ্যাটি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে-
টেকনিকঃছোট সংখ্যাটি=(বর্গের অন্তর -1)÷2
উদা:
*** প্রশ্নঃ দুইটি ক্রমিক সংখ্যার বর্গের অন্তর 33। ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি কত হবে?
** সমাধানঃ ছোট সংখ্যাটি =(33-1)÷2=16(উঃ)
====================
.
প্রশ্নে যত বড....তত ছোট/ তত ছোট....যত বড উল্লেখ থাকলে সংখ্যা নির্নয়ের ক্ষেত্রে
টেকনিকঃসংখ্যাটি =(প্রদত্ত সংখ্যা দুটির যোগফল)÷2
.উদা:
প্রশ্নঃএকটি সংখ্যা 742 থেকে যত বড় 830 থেকে তত ছোট। সংখ্যাটি কত?
সমাধানঃ সংখ্যাটি=(742+8 30)÷2=786 উঃ

★❑ অধ্যায় ভাজক সংখ্যা
❑ শর্ট-টেকনিকে ভাজক সংখ্যা নির্ণয়ঃ
……………………………………......
#______প্রশ্নঃ পরিক্ষায় আসতে পারে 72 এর ভাজক সংখ্যা কতটি?
উত্তরঃ ১২টি

_______(প্রশ্নটি ২৫ তম বিসিএস সহ পিএসসির বিভিন্ন আরো ৯টি পরিক্ষায় আসছে)
.
#টেকনিকঃ
৭২ কে লসাগু করলে-
৭২÷২=৩৬
৩৬÷২=১৮
১৮÷২=৯
৯÷৩=৩
সুতরাং-(২×২×২) × (৩×৩)
.
____উপরে, লক্ষ করুন-
২হলো ৩বার এবং ৩ হলো ২বার
সুতরাং
৭২=২³ × ৩²
=(৩+১) × (২+১)=১২টি
____অর্থাৎ যত পাওয়ার [২³ এখানে পাওয়ার (³) ] আপনি শুধু তার সাথে ১ যোগ করে প্রাপ্ত পাওয়ার গুলো গুন করে দিলেই, উত্তর পেয়ে যাবেন।
.
#ব্যাখ্যাঃ ৭২ সংখ্যাটির ভাজক গুলো হলো-
১, ২, ৩, ৪, ৬, ৮, ৯, ১২, ১৮, ২৪, ৩৬, ৭২।

--------------------------

★গণিতের শর্টকার্ট গসাগুওলসাগু-
★দুটি সংখ্যার অনুপাত ৫ : ৭ এবং তাদের গ,সা,গু ৬ হলে সংখ্যা দুটির ল,সা,গু কত?
যেহেতু, সংখ্যাদ্বয়ের অনুপাত ৫:৭ এবং গ, সা,গু ৬
ল,সা,গু= অনুপাতদ্বয়ের গুনফল×গ,সা,গু=৫×৭×৬=২১০
সহজ নিয়ম, ল সা গু = অনুপাতদ্বয়ের গুনফল×গ, সা, গু

★দুই সংখ্যার অনুপাত ৫:৬ এবং তাদের ল.সা.গু ১২০ হলে সংখ্যা দুইটির গ.সা.গু কত?

ল,সা,গু= অনুপাতদ্বয়ের গুনফল×গ,সা,গু
গ,সা,গু=ল,সা,গু/অনুপাতদ্বয়ের গুনফল
=১২০/৩০
=৪

★ল সা গু = গুণফল /গ সা গু
গ সা গু = গুণফল /ল সাগু

★ দুটি সংখ্যার গ.সা.গু ১৫ এবং ল.সা.গু ৯০। একটি সংখ্যা ৩০ হলে অপর সংখ্যাটি কত....??
অপর সংখ্যাটি= ল সা গু *গ সা গু /30

★দুইটি সংখ্যার অনুপাত ৫:৬ এবং তাদের ল.সা.গু ৩৬০ হলে সংখ্যা দুটি কত?
Answer: 60
Explanation:
অনুপাত = ৫ঃ৬ ও লসাগু= ৩৬০ হলে , প্রথম সংখ্যা= (লসাগু/প্রথম অনুপাত)=(৩৬০/৫)=৭২ দ্বিতীয় সংখ্যা= (লসাগু/দ্বিতীয় অনুপাত)=(৩৬০/৬)=৬০

★টেকনিক-১:উভয় বিষয়ে ফেলের হার উল্লেখ থাকলে উভয় বিষয়ে পাশের হার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে-শর্ট‬ টেকনিকঃ
পাশের হার=১০০-( ১ম বিষয়ে ফেলের হার + ২য় বিষয়ে ফেলের হার- উভয় বিষয়ে ফেলের হার )

‪উদাহরন-১
কোন‬ পরিক্ষায় ২০% পরিক্ষার্থী গনিতে ৩০% পরিক্ষার্থী ইংরেজীতে ফেল করলো উভয় বিষয়ে ১৩ % পরিক্ষার্থী ফেল করলে শতকরা কত জন পরিক্ষার্থী পাশ করলো? (প্রাথমিক সঃশি নিয়োগ (ইছামতি)পরীক্ষা-২০১০)
উত্তরঃপাশের‬ হার(?)=১০০-[১ম বিষয়ে ফেলের হার(২০)+২য় বিষয়ে ফেলের হার(৩০)- উভয় বিষয়ে ফেলের হার(১৩)] =১০০-(২০+৩০-১৩)
=৬৩%(উঃ)

★টেকনিক ২:উভয় বিষয়ে পাশের হার উল্লেখ থাকলে উভয় বিষয়ে ফেলের হার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে-‪#‎শর্ট_টেকনিকঃ
ফেলের‬হার=১০০-( ১ম বিষয়ে পাশের হার + ২য় বিষয়ে পাশের হার- উভয় বিষয়ে পাশের হার )
(১ম টির উল্টো নিয়ম)

উদাহরন-১
কোন পরিক্ষায় ৮০% পরিক্ষার্থী গনিতে ৭০% পরিক্ষার্থী বাংলায় পাশ করলো। উভয় বিষয়ে পাশ করলো ৬০% পরিক্ষার্থী।উভয় বিষয়ে শতকরা কত জন ফেল করলো? (২২তম বিসিএস, উপজেলা শিক্ষা অফিসার-২০০৬,অর্থমন্ত্রনালয় ২০১১, ৬ষ্ঠ সহকারী জর্জ নিঃ ২০১১)
উত্তরঃ ফেলের হার(?)=১০০-[১ম বিষয়ে পাশের হার(৮০)+২য় বিষয়ে পাশের হার(৭০)- উভয় বিষয়ে পাশের হার(৬০)]

উদাহরন -২‬
কোন পরিক্ষায় ২০০জনের মধ্যে ৭০% ছাত্র বিজ্ঞানে এবং ৬০% ছাত্র অংকে পাশ করে করে। এবং ৪০% উভয় বিষয়ে পাশ করে। তবে উভয় বিষয়ে শতকরা কত জন ফেল করলো? (সঞ্চয় অধিদপ্ত্রর,সঃ পরিচালক, পরীক্ষা-২০০৬)
উত্তরঃ
=১০০-(৭০+৬০-৪০)
=১০%
সুতরাং উভয় বিষয়ে ফেল=২০০ এর ১০%=২০%(উঃ)

★টেকনিক ৩: উভয় বিষয়ে ফেল এবং পাশের উল্লেখ থাকলে মোট পরিক্ষার্থীর সংখ্যা নির্ণ্যয়ের ক্ষেত্রে-শর্ট টেকনিকঃ
মোট পরিক্ষার্থী=
উভয় বিষয়ে পাসকৃত ছাত্র ÷ (১ম বিষয়ে ফেল+২য় বিষয়ে ফেল+উভয় বিষয়ে ফেল) x ১০০

উদাহরন
কোন‬ স্কুলে ৭০% পরিক্ষার্থী ইংরেজীতে ৮০% পরিক্ষার্থী বাংলায় পাশ করলো।কিন্তু ১০% পরিক্ষার্থী উভয় বিষয়ে ফেল করলো।উভয় বিষয়ে
শতকরা কত জন ফেল করলো। যদি উভয় বিষয়ে ৩৬০ জন পরিক্ষার্থী পাশ করে তবে ঐ স্কুলে কত জন পরিক্ষার্থী পরিক্ষা দিয়েছে? (২৩তম বিসিএস)
উত্তরঃ মোট পরিক্ষার্থী=
উভয় বিষয়ে পাসকৃত ছাত্র(৩৬০)÷ {১ম বিষয়ে ফেল(১০০-৭০=৩০)+২য় বিষয়ে ফেল (১০০-৮০=২০)+উভয় বিষয়ে ফেল১০} x ১০০
=৩৬০ ÷ ৩০+২০+১০ x ১০০
=৬০০(উঃ)

★১,৫,৯,.....,৮১ ধারাটির সংখ্যাগুলোর গড় কত?
সমাধানঃ এটি একটি সমান্তর ধারা।
*নির্ণেয় গড় = (শেষ পদ + প্রথম পদ)/২
                      =(৮১+১)/২
                       =৮২/২
                       =৪১
য়ে
শতকরা কত জন ফেল করলো। যদি উভয় বিষয়ে ৩৬০ জন পরিক্ষার্থী পাশ করে তবে ঐ স্কুলে কত জন পরিক্ষার্থী পরিক্ষা দিয়েছে? (২৩তম বিসিএস)
উত্তরঃ মোট পরিক্ষার্থী=
উভয় বিষয়ে পাসকৃত ছাত্র(৩৬০)÷ {১ম বিষয়ে ফেল(১০০-৭০=৩০)+২য় বিষয়ে ফেল (১০০-৮০=২০)+উভয় বিষয়ে ফেল১০} x ১০০
=৩৬০ ÷ ৩০+২০+১০ x ১০০
=৬০০(উঃ)

★১,৫,৯,.....,৮১ ধারাটির সংখ্যাগুলোর গড় কত?
সমাধানঃ এটি একটি সমান্তর ধারা।
*নির্ণেয় গড় = (শেষ পদ + প্রথম পদ)/২
                      =(৮১+১)/২
                       =৮২/২
                       =৪১

★1+5+9+....+81=?
পদসংখা=(শেষপদ- প্রথমপদ)÷ সাধারন অন্তর+১
(৮১-১)÷৪+১=৮০÷৪+১=২১
যোগফল= {(প্রথমপদ+শেষপদ)÷২}*পদসংখ্যা।
{(১+৮১)÷২}*২১={৮২÷২}*২১
=৪১*২১
=৮৬১

★১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যাসমূহের
যোগফল।
ans= (১০০*১০১)/২
       =১০১০০/২
       =৫০৫০
১-১০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা=(২,৩,৫,৭)=৪টি।
১১-২০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা=(১১,১৩,১৭,১৯)=৪টি।
২১-৩০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা=(২৩,২৯)=২টি।
৩১-৪০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা=(৩১,৩৭)=২টি।
৪১-৫০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা=(৪১,৪৩,৪৭)=৩টি।
৫১-৬০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা=(৫৩,৫৯)=২টি।
৬১-৭০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা=(৬১,৬৭)=২টি।
৭১-৮০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা=(৭১,৭৩,৭৯)=৩টি।
৮১-৯০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা=(৮৩,৮৯)=২টি।
৯১-১০০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা=(৯৭)=১টি।
★★মনে রাখার সুবিধার্থে আপনার প্রিয়জনের ফোন নাম্বারের মতো ৪৪২২৩২২৩২১ মুখস্ত করে নিন★★
১-১০০ পর্যন্ত মোট মৌলিক সংখ্যা=২৫ টি।
১-১০০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যার যোগফল=১০৬০
১-১০০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যার গড়=৪২.৪

★আয়তাকার ক্ষেত্রফলের পরিসীমা বের করার নিয়ম-
পরিসীমা = (দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)  ২

★মাত্র ৫টি টেকনিকে
ত্রিকোনোমিতির সব অংক করার
কৌশল।
# সুত্র : ১
শীর্ষবিন্দুর উন্নতি কোন 30° হলে উচ্চতা
নির্ণয়ের ক্ষেত্রে টেকনিক মনেরাখুন

উচ্চতা= [পাদদেশ হতে দুরত্ত্ব÷√3]
.
# উদাহরন : একটি মিনাররের পাদদেশ
হতে 20 মিটার দুরের ১টি স্থান হতে
মিনারটির শীর্ষবিন্দুর উন্নতি কোন 30°
হলে মিনারের উচ্চতা কত?
.
# সমাধানঃউচ্চতা =[পাদদেশ হতে
দুরত্ত্ব÷√3]
=20/√3(উঃ)
==================
# সুত্র২ :-
শীর্ষ বিন্দুর উন্নতি কোন 60 হলে উচ্চতা
নির্ণয়ের ক্ষেত্রে টেকনিক মনেরাখুন-
উচ্চতা=[পাদদেশ হতে দুরত্ত্ব × √3]
.
# উদাহরনঃএকটি তাল গাছের
পাদবিন্দু হতে 10 মিটার দুরবর্তী স্থান
থেকে গাছের শীর্ষের উন্নতি কোন
60° হলে গাছটির উচ্চতা নির্ন্যয় করুন? .
# অথবাঃ
সুর্যের উন্নতি কোন 60° হলে একটি
গাছের ছায়ার দৈর্ঘ্য 10 মিটার হয়।
গাছটির উচ্চতা কত?
.
# সমাধানঃ- উচ্চতা=[পাদদেশ হতে
দুরত্ত্ব ×
√3]
=10√3=17.13(উঃ)
.
(মুখস্ত রাখুন √3=1.73205)
(শুধু মনে রাখুন 30° হলে ভাগ এবং 60°
হলে গুন হবে)
==================
# সুত্র৩ :-
সম্পুর্ন ভাবে বিচ্ছিন্ন না হয়ে ভুমির
সাথে 30 কোন উৎপন্ন হলে ভুমি হতে
ভাংগা অংশের উচ্চতা নির্ণয়ের
ক্ষেত্রে-কত উচুতে ভেংগেছিলো =
(খুটির মোট দৈর্ঘ্য ÷ 3)
.
# উদাহরনঃ-
একটি 48 মিটার লম্বা খুটি ভেংগে
গিয়ে সম্পুর্ন ভাবে বিচ্ছিন্ন না হয়ে
ভুমির সাথে 30 কোণ উৎপন্ন করে।
খুটিটি কত উচুতেবভেঙ্গেছিল ো ?
.
#সমাধানঃ-
কত উচুতে ভেঙ্গেছিলো = (খুটির মোট
দৈর্ঘ্য ÷ 3)
=48÷3=16(উঃ)
=================
#সুত্র 4:
সম্পুর্ন ভাবে বিচ্ছিন্ন না হয়ে ভুমির
সাথে 30 কোন উৎপন্ন হলে ভূমি হতে
ভাংগা অংশের উচ্চতা নির্ন্যেয়ের
ক্ষেত্রে-
# শর্ট_টেকনিক :
কতউচুতে ভেংগেছিলো=
(খুটির মোট
দৈর্ঘ্য ÷ 3)
.
#উদাহরনঃ-
18ফুট উচু একটি খুটি এমন ভাবে ভেংগে
গেলো যে ভাংগা অংশটি বিচ্ছিন্ন
না হয়ে ভুমির সাথে 30 কোনে স্পর্শ
করলো। খুটিটি মাটি থেকে কতফুট
উচুতে ভেংগে গিয়েছলো?
#সমাধানঃ-
কত উচুতে ভেংগেছিলো=
(খুটির মোট
দৈর্ঘ্য ÷ 3)
=(18÷3) =6ফুট (উঃ)
==================
# সুত্রঃ5
যখন মই দেয়ালের সাথে
হেলান দিয়ে
লাগানো থাকে তখন-
* শর্ট_টেকনিকঃ(মইয়ের উচ্চতা)² =
(দেয়ালের উচ্চতা)² +
(দেয়ালের দুরত্ব)²
উদাহরনঃ-
একটি 50মিটার লম্বা মই
খাড়া দেয়ালের সাথে হেলান
দিয়ে রাখা হয়েছে।মইয়ের
একপ্রান্তে মাটি হতে 40মিটার উপরে
দেয়ালকে স্পর্শ করে মইয়ের অপর প্রান্ত
হতে দেয়ালের লম্ব দুরত্ব কত মিটার? .
#সমাধানঃ-
(মইয়ের উচ্চতা)² =(দেয়ালের উচ্চতা)² +
(দেয়ালের দুরত্ব)²
বা, (দেয়ালের দুরত্ব)² =(মইয়ের উচ্চতা)²

(দেয়ালের উচ্চতা)²
বা, দেয়ালের দুরত্ব= √(50)² – √ (40)²
=10মিটার (উঃ)
.
[লক্ষ করুনঃ উপরের এই ৫নং সুত্রের
মাধ্যেমেই ‘মইয়ের উচ্চতা’
'দেয়ালেরউচ্চতা’ ও ‘দেয়ালের দুরত্ব’]


#Learn_Mathematics
গণিত শিক্ষা (বয়স ভিত্তিক):
.
1) পিতা পুত্রের চেয়ে ৩২ বছরের বড়। ৭ বছর পর পিতার বয়স পুত্রের বয়সের ২ গুণ অপেক্ষা ৫ বছর বেশি হবে। ৩ বছর পর পিতার বয়স কত হবে?
.
সমাধানঃ
ধরি,
পুত্রের বর্তমান বয়স= ক বছর।
পিতার বর্তমান বয়স= (ক+৩২) বছর।
৭ বছর পর পুত্রের বয়স= (ক+৭) বছর।
৭ বছর পর পিতার বয়স= (ক+৩২)+৭ বছর= (ক+৩২+৭) বছর= (ক+৩৯) বছর।
প্রশ্নমতে,
ক+৩৯= ২(ক+৭)+৫
বা, ক+৩৯= ২ক+১৪+৫
বা, ক-২ক= ১৯-৩৯
বা, -ক= -২০
বা, ক= ২০
ক = ২০
পিতার বর্তমান বয়স= (ক+৩২) বছর=(২০+৩২) বছর= ৫২ বছর।
৩ বছর পর পিতার বয়স=(৫২+৩) বছর= ৫৫ বছর।
উত্তর: পিতার বয়স ৫৫ বছর।
2) দুই বছর আগে বাবার বয়স পুত্রের বয়সের ১৪ গুণ। দুই বছর বাদে বাবার বয়স পুত্রের বয়সের চেয়ে ২৬ বছর বেশি হয়, তবে বাবা ও তার পুত্রে বয়সের অনুপাত কত হবে?
সমাধানঃ
ধরি,
পুত্রের বয়স= ক বছর।
বাবার বয়স= (ক + ২৬) বছর।
প্রশ্নমতে,
১৪ (ক-২) = ক + ২৬ -২
বা, ১৪ক – ২৮ = ক + ২৪
বা, ১৪ক – ক = ২৪ + ২৮
বা, ১৩ক = ৫২
বা, ক = ৫২÷১৩
বা, ক = ৪
ক = ৪
পুত্রের বয়স= ক বছর= ৪ বছর।
বাবার বয়স= (ক + ২৬) বছর= (৪ + ২৬) বছর= ৩০ বছর।
নির্ণেয় বাবার ও পুত্রের বয়সের অনুপাত= ৩০ : ৪ = ১৫ : ২
উত্তর: বাবার ও পুত্রের বয়সের অনুপাত ১৫ : ২
3) পিতার ও পুত্রের বর্তমান বয়সের সমষ্টি ৫০ বছর; যখন পুত্রের বয়স পিতার বর্তমান বয়সের সমান হবে তখন তাদের বয়সের সমষ্টি হবে ১০২ বছর। পিতার ও পুত্রের বর্তমান বয়স কত?
সমাধানঃ
ধরি,
পিতার বর্তমান বয়স= ক বছর।
পুত্রের বর্তমান বয়স= খ বছর।
যখন পুত্রের বয়স ক হবে তখন পিতার বয়স হবে= {ক+(ক-খ)} বছর।
১ম শর্তমতে,
ক+খ=৫০……………………(১)
২য় শর্তমতে,
ক + {ক+ (ক-খ)} = ১০২
বা, ক+ক+ক-খ= ১০২
বা, ৩ক-খ= ১০২
৩ক-খ= ১০২………………….(২)
(১) নং ও (২) নং সমীকরণ যোগ করে পাই-
ক + খ = ৫০
৩ক –খ = ১০২
_______________________________
৪ক = ১৫২
বা, ক= ১৫২÷৪
ক= ৩৮
(১) নং সমীকরণে ক এর মান বসিয়ে পাই-
ক+খ= ৫০
বা, ৩৮+খ= ৫০
বা, খ= ৫০-৩৮
বা, খ= ১২
খ = ১২
নির্ণেয় পিতার বয়স= ক বছর= ৩৮ বছর।
নির্ণেয় পুত্রের বয়স= খ বছর= ১২ বছর।
উত্তর: পিতার বয়স ৩৮ বছর ও পুত্রের বয়স ১২ বছর।
4) পিতা, মাতা ও পুত্রের বয়সের গড় ৩৭ বছর। আবার পিতা ও পুত্রের বয়সের গড় ৩৫ বছর। মাতার বয়স কত?
সমাধানঃ
পিতা, মাতা ও পুত্রের বয়সের সমষ্টি= (৩৭×৩) বছর= ১১১ বছর।
পিতা ও পুত্রের বয়সের সমষ্টি= (৩৫×২) বছর= ৭০ বছর।
নির্ণেয় মাতার বয়স= (১১১-৭০) বছর= ৪১ বছর।
উত্তর: মাতার বয়স ৪১ বছর।
5) পিতা ও দুই সন্তানের বয়সের গড় ২৭ বছর। দুই সন্তানের বয়সের গড় ২০ বছর হলে পিতার বয়স কত?
সমাধানঃ
পিতা ও দুই সন্তানের বয়সের সমষ্টি= (২৭×৩) বছর= ৮১ বছর।
দুই সন্তানের বয়সের সমষ্টি= (২০×২) বছর= ৪০ বছর।
নির্ণেয় পিতার বয়স= (৮১-৪০) বছর= ৪১ বছর।
উত্তর: পিতার বয়স ৪১ বছর।
6) পিতা ও দুই পুত্রের গড় ৩০ বছর। দুই পুত্রের বয়সের গড় ২০ বছর হলে, পিতার বয়স কত?
সমাধানঃ
পিতা ও দুই পুত্রের বয়সের সমষ্টি= (৩০×৩) বছর= ৯০ বছর।
দুই পুত্রের বয়সের সমষ্টি= (২০×২) বছর= ৪০ বছর।
নির্ণেয় পিতার বয়স= (৯০-৪০) বছর= ৫০ বছর।
উত্তর: পিতার বয়স ৫০ বছর।
7) পিতা ও মাতার বয়সের গড় ৪৫ বছর। আবার পিতা, মাতা ও এক পুত্রের বয়সের গড় ৩৬ বছর। পুত্রের বয়স কত?
সমাধানঃ
পিতা, মাতা ও এক পুত্রের বয়সের সমষ্টি= (৩৬×৩) বছর= ১০৮ বছর।
পিতা ও মাতার বয়সের সমষ্টি= (৪৫×২) বছর= ৯০ বছর।
নির্ণেয় পুত্রের বয়স= (১০৮-৯০) বছর= ১৮ বছর।
উত্তর: পুত্রের বয়স ১৮ বছর।
8) পিতা ও পুত্রের বয়সের সমষ্টি ৬০ বছর। মাতার বয়স পুত্রের বয়স অপেক্ষা ২০ বছর বেশি। পিতা ও মাতার গড় বয়স কত?
সমাধানঃ
মাতার বয়স যেহেতু পুত্রের বয়স অপেক্ষা ২০ বছর বেশি।
সুতারাং পিতা ও মাতার বয়সের সমষ্টি= (৬০+২০) বছর= ৮০ বছর।
পিতা ও মাতার বয়সের গড়= = = ৪০ বছর।
নির্নেয় পিতা ও মাতার গড় বয়স= ৪০ বছর।
উত্তর: পিতা ও মাতার গড় বয়স ৪০ বছর।
9) পাঁচ সন্তানের বয়সের গড় ৭ বছর এবং পিতাসহ তাদের বয়সের গড় ১৩ বছর। পিতার বয়স কত?
সমাধানঃ
৫ সন্তানের বয়সের সমষ্টি= (৭×৫) বছর= ৩৫ বছর।
পিতাসহ পাঁচ সন্তান বা ৬ জনের বয়সের সমষ্টি= (১৩×৬) বছর= ৭৮ বছর।
নির্ণেয় পিতার বয়স= (৭৮-৩৫)=৪৩ বছর।
উত্তর: পিতার বয়স ৪৩ বছর।
10) ৫ জন বালকের বয়সের গড় ১০ বছর। ঐ গলে আরও দুজন বালক যোগ দিলে তাদের সকলের বয়সের গড় হয় ১২ বছর। যোগদানকারী বালক দুটি যদি সমবয়সী হয় তবে তাদের প্রত্যেকের বয়স কত?
সমাধানঃ
৫ জন বালকের বয়সের সমষ্টি= (১০×৫) বছর= ৫০ বছর।
(৫+২) বা ৭ জন বালকের বয়সের সমষ্টি= (১২×৭) বছর= ৮৪ বছর।
যোগদানকারী বালকের বয়সের সমষ্টি= (৮৪-৫০) বছর= ৩৪ বছর।
যোগদানকারী প্রত্যেক বালকের বয়স= বছর= ১৭ বছর।
উত্তর: প্রত্যেক বালকের বয়স ১৭ বছর।
11) পিতা ও পুত্রের বর্তমান বয়স একত্রে ৮০ বছর। ৪ বছর পূর্বে পিতার বয়স পুত্রের বয়সের ৫ গুণ ছিল। তাদের বর্তমান বয়সের অনুপাত কত?
সমাধানঃ
৪ বছর পূর্বে পুত্রের বয়স= ক বছর।
পুত্রের বর্তমান বয়স= (ক+৪) বছর।
৪ বছর পূর্বে পিতার বয়স= ৫ক বছর।
পিতার বর্তমান বয়স= (৫ক+৪) বছর।
প্রশ্নমতে,
(ক+৪)+(৫ক+৪)=৮০
বা, ক+৪+৫ক+৪=৮০
বা, ৬ক+৮=৮০
বা, ৬ক= ৮০-৮
বা, ৬ক= ৭২
বা, ক= ৭২÷৬
বা, ক= ১২
ক= ১২
পিতার বর্তমান বয়স= (৫ক+৪) বছর=(৫×১২+৪)বছর=(৬০+৪) বছর= ৬৪ বছর।
পুত্রের বর্তমান বয়স= (ক+৪) বছর= (১২+৪) বছর= ১৬ বছর।
নির্ণেয় তাদের বর্তমান বয়সের অনুপাত= ৬৪ : ১৬
উত্তর: তাদের বর্তমান বয়সের অনুপাত ৬৪ : ১৬
12) পিতা ও পুত্রের বয়সের অনুপাত ১১: ৪। পুত্রের বয়স ১৬ বছর হলে, পিতার বয়স কত?
সমাধানঃ
ধরি,
পিতার বয়স= ক বছর।
প্রশ্নমতে,
ক : ১৬ = ১১ : ৪
বা, ক × ৪ = ১৬ × ১১
বা, ৪ক = ১৭৬
বা, ক = ১৭৬÷৪
বা, ক = ৪৪
ক = ৪৪
নির্ণেয় পিতার বয়স= ৪৪ বছর।
উত্তর: পিতার বয়স ৪৪ বছর।
13) পিতা ও পুত্রের বয়সের অনুপাত ১১: ৪। পিতার বয়স ৪৪ বছর হলে, পিতা ও পুত্রের বয়সের সমষ্টি কত?
সমাধানঃ
ধরি,
পিতার বয়স= ১১ক বছর।
পুত্রের বয়স= ৪ক বছর।
প্রশ্নমতে,
১১ক = ৪৪
বা, ক = ৪৪÷১১
বা, ক = ৪
ক = ৪
পিতার বয়স= ১১ক বছর= (১১×৪) বছর= ৪৪ বছর।
পুত্রের বয়স= ৪ক বছর= (৪×৪) বছর= ১৬ বছর।
নির্ণেয় পিতা ও পুত্রের বয়সের সমষ্টি= (৪৪+১৬) বছর= ৬০ বছর।
উত্তর: পিতা ও পুত্রের বয়সের সমষ্টি ৬০ বছর।
14) পিতা ও পুত্রের বর্তমান বয়সের অনুপাত ৭: ২। পিতার বর্তমান বয়স ৪২ বছর, ১০ বছর পূর্বে পুত্রের বয়স কত ছিল?
সমাধানঃ
প্রশ্নমতে,
বা, ৭(পুত্রের বর্তমান বয়স) =৪২×২
বা, ৭(পুত্রের বর্তমান বয়স) =৮৪
বা, পুত্রের বর্তমান বয়স = ৮৪÷৭
বা, পুত্রের বর্তমান বয়স= ১২
পুত্রের বর্তমান বয়স= ১২ বছর।
নির্ণেয় ১০ বছর পূর্বে পুত্রের বয়স= (১২–১০) বছর= ২ বছর।
উত্তর: ১০ বছর পূর্বে পুত্রের বয়স ছিল ২ বছর।
15) পিতা ও পুত্রের বয়সের সমষ্টি ৬৩ বছর এবং তাদের বয়সের অনুপাত ৭: ২। ৯ বছর পূর্বে তাদের বয়সের অনুপাত কত ছিল?
সমাধানঃ
অনুপাতদ্বয়ের সমষ্টি= (৭+২) = ৯
পিতার বয়স= (৬৩ এর ৭/৯ ) = ৪৯ বছর।
পুত্রের বয়স= (৬৩ এর ২/৯) = ১৪ বছর।
৯ বছর পূর্বে পিতার বয়স= (৪৯ -৯) বছর= ৪০ বছর।
৯ বছর পূর্বে পুত্রের বয়স= (১৪ -৯) বছর= ৫ বছর।
৯ বছর পূর্বে তাদের বয়সের অনুপাত= ৪০ : ৫= ৮ : ১
উত্তর: পিতার ও পুত্রের বয়সের অনুপাত ৮ : ১
16) পিতা ও পুত্রের বয়সের সমষ্টি ৭৪ বছর এবং তাদের বয়সের অনুপাত ১০ বছর পূর্বে ছিল ৭: ২। ১০ বছর পরে তাদের বয়সের অনুপাত কত হবে?
সমাধানঃ
ধরি,
পিতার বয়স= ক বছর।
পুত্রের বয়স= (৭৪-ক) বছর।
১০ বছর পূর্বে পিতার বয়স ছিল= (ক-১০) বছর।
১০ বছর পূর্বে পুত্রের বয়স ছিল= (৭৪-ক-১০) বছর।
প্রশ্নমতে,
(ক-১০) : (৭৪-ক-১০) = ৭ : ২
বা, ২(ক-১০) = ৭ ( ৬৪-ক)
বা, ২ক-২০ = ৪৪৮-৭ক
বা, ২ক+৭ক = ৪৪৮+২০
বা, ৯ক = ৪৬৮
বা, ক = ৪৬৮÷৯
বা, ক = ৫২
ক = ৫২
নির্ণেয় পিতার বয়স= ক বছর= ৫২ বছর।
নির্ণেয় পুত্রের বয়স= (৭৪-ক) বছর= (৭৪-৫২) বছর= ২২ বছর।
১০ বছর পর পিতা ও পুত্রের বয়সের অনুপাত= (৫২+১০) : (২২+১০)= ৬২ : ৩২ = ৩১ : ১৬
উত্তর: পিতা ও পুত্রের বয়সের অনুপাত ৩১ : ১৬



.

Sunday, July 30, 2017

বিজ্ঞান সম্পর্কিত যাবতীয় প্রশ্ন।

>> "বিসিএস প্রিলিতে ৪ নম্বর নিশ্চিত করুন এখনি।"<<
-
বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি ২০০ বিজ্ঞানের প্রশ্ন ( 4 Marks Common (100%)
-
1) আমাদের দেহকোষ রক্ত হতে গ্রহণ করে অক্সিজেন ও গ্লুকোজ। (১০ তম BCS )
2) উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র ট্যাকোমিটার।(২২ তম BCS
3) এনজিও প্লাষ্টি হচ্ছে হ্রৎপিন্ডের বন্ধ শিরা বেলুনের সাহায্যে ফুলানো। (২১ তম BCS)
4) কচুশাক বিশেষভাবে মূল্যবান যে উপাদানের জন্য লৌহ (১০তম বিসিএস)।
5) কম্পিউটার আবিষ্কার করেন হাওয়ার্ড এইকিন (২০তম বিসিএস)।
6) কর্কটক্রান্তি রেখা বাংলাদেশের মধ্যখান দিয়ে গেছে (১৬তম বিসিএস)।
7) কার্বুরেটর থাকে যে ইঞ্জিনে পেট্রোল ইঞ্জিনে (২৭তম বিসিএস)।
8) ক্যাসেটের ফিতার শব্দ রক্ষিত থাকে চুম্বক ক্ষেত্র হিসাবে (২৩তম বিসিএস)।
9) ক্লোনিং পদ্ধতিতে জন্মগ্রহণকারী ভেড়ার নাম ডলি (১৯তম বিসিএস)।
10) গ্যালিলিও’ হলো পৃথিবী থেকে পাঠানো বৃহস্পতির একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। (১৮ তম BCS )
11) গ্লিসারিন দ্রবীভূত হয় না পানিতে (২৮তম বিসিএস)।
12) চাঁদে কোন শব্দ করলে তা শোনা যাবে না, কারণ চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই (১৬তম বিসিএস)।
13) জলজ উদ্ভিদ সহজে ভাসতে পারে কারণ এদের কাণ্ডে অনেক বায়ু কুঠুরী থাকে (১০তম বিসিএস)।
14) জোয়ার ভাটার তেজকটাল হয় অমাবস্যায় (১৮তম বিসিএস)।
15) টুথপেষ্টের প্রধান উপাদান সাবান ও পাউডার। (১৭ তম BCS )
16) ডিজিটাল ঘড়ি বা ক্যালকুলেটারে কালচে অনুজ্জ্বল যে লেখা ফুটে উঠে সেটি সিলিকন চিপ (১৫তম বিসিএস)।
17) তামার সাথে যে উপাদান মেশালে পিতল হয় দস্তা (জিঙ্ক) (২৩তম বিসিএস)।
18) দিনরাত্রি সর্বত্র সমান নিরক্ষরেখায়। (২৮ তম BCS)
19) পানিতে নৌকার বৈঠা বাঁকা দেখা যাওয়ার কারণ আলোর প্রতিসরণ। (১৩ তম BCS)
20) পিসি কালচার’ বলতে বুঝায় মৎস্য চাষ (২৩তম বিসিএস)।
21) বাদুড় চলাফেরা করে সৃষ্ট শব্দের প্রতিধ্বনি শুনে। (২৭ তম BCS )
22) বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয় প্রতিবছর ৫ জুন (৩০তম বিসিএস)।
23) বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট যে ধাতু দিয়ে তৈরি টাংষ্টেন। (২৯ তম BCS)
24) ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র সিসমোগ্রাফ। (২২ তম BCS) 25) মঙ্গলগ্রহে প্রেরিত নভোযান ভাইকিং (১৩তম বিসিএস)। 26) মাছ অক্সিজেন নেয় পানির মধ্যে দ্রবীভূত বাতাস হতে। (১০ তম BCS )
27) মানুষের গায়ের রং নির্ভর করে যে উপাদানের উপর মেলানিন (২৭তম বিসিএস)।
28) মানুষের স্পাইনাল কর্ডের দৈর্ঘ্য ১৮ ইঞ্চি (প্রায়) (২৮তম বিসিএস)।
29) যখন সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে চাঁদ অবস্থান করে তখন হয় সূর্য গ্রহণ। (২৩ তম BCS )
30) যে ভিটামিন ক্ষতস্থান হতে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ‘K’ (২৬তম বিসিএস)।
31) যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে দর্পণ। (২৩ তম BCS )
32) যে হরমোনের অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয় ইনসুলিন (২০তম বিসিএস)।
33) রঙ্গীন টেলিভিশন হতে ক্ষতিকর যে রশ্মি বের হয় গামা রশ্মি। (২৪ তম BCS )
34) রেফ্রিজারেটরে কমপ্রেসরের কাজ ফ্রেয়নকে বাষ্পে পরিণত করা (২৮তম বিসিএস)।
35) শব্দের তীব্রতা নির্ণায়ক যন্ত্র অডিও মিটার (২৬তম বিসিএস)।
36) সমুদ্র পৃষ্ঠে বায়ুর চাপ প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ১০ নিউটন। (১০ তম BCS)
37) সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয় যে যন্ত্র দ্বারা ফ্যাদোমিটার। (২০ তম BCS )
38) সালোক সংশ্লেষণ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে হয় সবুজ আলোতে (২৬তম বিসিএস)।
39) সিনেমাস্কোপ প্রজেক্টরে যে ধরনের লেন্স ব্যবহৃত হয় অবতল (১৩তম বিসিএস)।
40) CNG -এর অর্থ কমপ্রেস করা প্রাকৃতিক গ্যাস (২৫তম বিসিএস)।
41) অ্যাসিড আবিস্কার হয় কবে ? ১৯৮১ সালে
42) অ্যাসিড নীল লিটমাস পেপারকে কী করে ? লাল করে
43) আকাশ নীল দেখায় কেন ? নীল আলোর বিক্ষেপণ অপেক্ষাকৃত বেশি
44) আকাশে মেঘ থাকলে গরম বেশি লাগে কেন ? মেঘ ভূ-পৃষ্ঠের তাপ বিকিরণে বাধা দেয় বলে
45) আঙ্গুরে কোন অ্যাসিড থাকে ? টারটারিক অ্যাসিড
46) আধুনিক কম্পিউটার কে আবিস্কারকরেন ? চার্লস ব্যাবেজ
47) আপেলে কোন অ্যাসিড থাকে ? সালিক অ্যাসিড
48) আমলকিতে কোন অ্যাসিড থাকে ? অক্সালিক অ্যাসিড
49) আমিষ জাতীয় খাদ্য কোন জারক রস পরিপাক করে ? পেপসিন
50) আয়নার পিছনে কিসের প্রলেপ দেয়া হয় ? সিলভারের
51) আয়োডিন প্রকৃতিতে কিভাবে থাকে ? কঠিন অবস্থায়
52) আলকাতরা কী থেকে তৈরী হয় ? কয়লা
53) আলোর গতির আবিস্কারক কে ? এমাইকেলসন
54) ইউরোসিল কোথায় থাকে? -RNAতে।
55) ইনসুলিন কোথায় উত্পন্ন হয় ?অগ্নাশয়ে
56) ইন্টারফেরন কি? ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক গুলো প্রোটিনের সমষ্টি যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
57) ইলেকট্রন কে আবিস্কার করেন ? জন থম্পসন
58) ইস্পাত তৈরিতে লোহার সাথে কী মিশাতে হয় ? কার্বন
59) ইস্পাতে কার্বনের শতকরা পরিমাণ কত ? ০.১৫ – ১.৫ %
60) উচ্চ শ্রেনীর প্রটিন সমৃদ্ধ খাবার কোনটি ? মাংশ
61) উড পেন্সিলের শীষ কী দিয়ে তৈরী হয় ? গ্রাফাইট
62) ‘উড স্পিরিট ‘ কী ? মিথাইল এলকোহল
63) উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম কী ? ট্যাকমিটার
64) উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জনক কে ? থিও ফ্রাসটাস
65) উদ্ভিদের জীবন্ত জীবাশ্ম কোনটি ? Cycas .
66) উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গ কোনটি ? ফুল
67) একোয়া রেজিয়া বা রাজ অম্ল কাকে বলে ? ৩:১ অনুপাতের নাইট্রিক ও হাইড্রক্লোরিক অ্যাসিড
68) এটম বোমা কে আবিস্কার করেন ? অটোহ্যান
69) এন্টামিবার সংখ্যাধিক্যে মানব দেহে কী সৃষ্টি হয় ? আমাশয়
70) এ্যাক্টোডার্মাল ডিসপ্লেসিয়া > ঘামগ্রন্থি ও দাঁতের অনুপস্থিতি
71) কচু খেলে গলা চুলকায় কিসের উপস্থিতির জন্য ? ক্যালসিয়াম অক্্রলিক
72) কচু শাকে কি বেশি থাকে ? লৌহ
73) কঠিন পদার্থে তাপ কোন পদ্ধতিতে প্রবাহিত হয় ? পরিবহন পদ্ধতিতে
74) কফিতে কোন উপাদান থাকে ? ক্যাফেইন
75) কমলা লেবুতে কোন অ্যাসিড পাওয়া যায় ? এসকরবিক অ্যাসিড
76) কম্পাঙ্ক বাড়লে শব্দের তীক্ষ্নতা ? বাড়ে
77) কম্পিউটার কে আবিস্কার করেন ? হাওয়ার্ড এইকিন
78) কয়টি পদ্ধতিতে তাপ পরিবহন হয় ? ৩ টি
79) কাঁদুনে গ্যাস এর রাসায়নিক নাম কী ? করপিক্রিন
80) কাচ তৈরির প্রধান কাঁচামাল কী ? বালি
81) কান্সারকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রাথমিক পদক্ষেপ কোনটি? ইন্টারফেরণ প্রয়োগ
82) কুইনাইন পাওয়া যায় কোন গাছ থেকে ? সিনকোনা
83) কে প্রথম রোবট আবিস্কার করেন ? উইলিয়াম গে ওয়ালটার
84) কে মেন্ডেলের ফ্যাক্টরের নাম দিয়েছিলেন জিন? বেটসন ( ১৯০৮ সালে।
85) কেচো কিসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় ? ত্বকের
86) কোন অধাতু বিত্দুত অপরিবাহী ? গ্রাফাইট
87) কোন উদ্ভিদ আমিষ ডাল
88) কোন এনজাইমের দ্বারা কাটা ডিএনএ জোড়া দেওয়া হয়? লাইগেজ।
89) কোন গ্রুপের রক্তকে সর্বজন গ্রহীতা বলে ? এবি গ্রুপ কে
90) কোন গ্রুপের রক্তকে সর্বজনীন দাতা বলে ? ও গ্রুপ
91) কোন জন্তুর চারটি পাকস্থলী আসে ? গরুর
92) কোন জলজ জীবটি বাতাসে নিঃশ্বাস নেয় ? শুশুক .
93) কোন ধাতু সবচেয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ? তামা
94) কোন মস্তিস্ক যে কোনো সিদ্ধান্ত দ্রুত দিতে পারে ? পুরুষ
95) কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি ? কঠিন মাধ্যমে
96) কোন মৌলিক অধাতু সাধারণ তাপমাত্রায় তরল থাকে ? ব্রোমিন
97) কোন মৌলিক ধাতু সাধারণ তাপমাত্রায় তরল থাকে ? পারদ
98) কোন রংয়ের কাপে চা তারাতারি ঠান্ডা হয় ? কালো
99) কোন স্তন্যপায়ী প্রাণী ডিম পারে ? প্লাটিপাস
100) কোনো পদার্থের পারমানবিক সংখ্যা হলো ? পরমানুর প্রোটন সংখ্যা
101) কোষের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে কে ? নিউক্লিয়াস
102) ক্যালকুলাস কে আবিস্কার করেন ? নিউটন
103) ক্রোমোজোমে কোন কোন মৌলিক পদার্থ থাকে? ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম , লৌহ
104) ক্রোমোজোমের প্রোটিন কয় প্রকার ।? ২ প্রকার। ১. হিস্টোন ২. নন- হিস্টোন
105) ক্লোন পদ্ধতিতে প্রথম ভেড়ার নাম কী ? ডলি .
106) ক্লোনিং কত প্রকার? ৩প্রকার । জিন , সেল, জীব ক্লোনিং।
107) ক্লোরিন প্রকৃতিতে কিভাবে থাকে ? গ্যাসীয় অবস্থায়
108) ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পরা বন্ধ করে কোন ভিটামিন ? ভিটামিন-কে ] 109) ক্ষার লাল লিটমাস পেপারকে কী করে ? নীল করে
110) খাদ্য শক্তি বেশি থাকে কোন মাছে ? শুটকি মাছে
111) খাবার লবনের রাসায়নিক নাম কী ? সোডিয়াম ক্লোরাইড
112) গলগন্ড রোগ হয় কিসের অভাবে ? আয়োডিনের অভাবে
113) গ্যাভানাইজিং কী ? লোহার উপর দস্তার প্রলেপ
114) গ্রীষ্ম কালে কোন ধরনের কাপড় পরিধান করা ভালো ? সাদা
115) চাদে কোনো শব্দ করলে শোনা যায় না কেন ? বাতাস নেই বলে
116) চাদের বুকে অবতরণ করা চন্দ্রযানের নাম কী ? অ্যাপোলো -১১
117) চাদের বুকে কে প্রথম অবতরণ করে ? নীল আর্মস্ট্রং ও এডউইন অল্ড্রিন
118) চাদের বুকে প্রথম মানুষ অবতরণ করে ?\ ২১ জুলাই , ১৯৬৯ সালে
119) চায়ের পাতায় কোন উপাদান থাকে ? থিন
120) চুম্বুকের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশী কোথায় ? মেরু বিন্দুতে
121) জীনের রাসায়নিক গঠন কী ? ডি এন এ
122) জীব RNA কোষে কয় প্রকার? -৩প্রকার । rRNA, mRNA, tRNA.
123) জীব জগতের বৈচিত্রের নিয়ন্ত্রককে? -জীন
124) জীব দেহের শক্তির উত্স কী ? খাদ্য
125) জীব প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ভাবিত নতুন প্রাণী কিংবা উদ্ভিদকে কি বলে ? ট্রান্সজেনিক প্রানী
126) জীব প্রযুক্তির উদাহরণ কোন গুলো ? অনুজীব বিজ্ঞান, টিস্যু কালচার , জিন প্রকৌশল
127) জীব বিজ্ঞানের জনক কে ? এরিস্টটল .
128) জীব সংরক্ষণ ও পচন নিবারণের জন্য কী ব্যাবহৃত হয় ফরমালিন
129) জীবাণু বিদ্যার জনক কে ? ভন লিউয়েন হুক .
130) জীবের বংশ গতির একক কোনটি ? জিন
131) জুভেনাইল গ্লুকোমা অক্ষিগোলোকের কাঠিন্য
132) টুথপেস্টের প্রধান উপাদান কী ? সাবান ও পাউডার
133) টেলিভিশন কে আবিস্কার করেন ? জন এল বেয়ার্ড
134) টেস্টিং সল্ট এর রাসায়নিক নাম কী ? সোডিয়াম মনো গ্লুটামেট
135) ট্রান্সজেনিক প্রানী উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রাণীগুলোর দুধ, রক্ত, মূত্র থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ আহোরণ করার প্রক্রিয়াকে কি বলে? মলিকুলার ফার্মিং
136) ঠোটের কোনা মুখের ঘা কিসের অভাবে হয় ? ভিটামিন -বি -২
137) ডায়বেটিস রোগ হয় কীসের অভাবে ? ইনসুলিন
138) ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতামাতা- সন্তান কত ভাগ মিল পাওয়া যায় ? ৯৯.৯%
139) ড্রাই আইস বা শুস্ক বরফ কাকে বলে ? কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইড কে
140) তবকের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় কে ? কেঁচো .
141) তরঙ্গ দর্ঘ্য বাড়লে শব্দের তীক্ষ্নতা ? কমে
142) তরল পদার্থে তাপ কোন পদ্ধতিতে প্রবাহিত হয় ? পরিচলন পদ্ধতিতে
143) তামাকে বিষাক্ত কোন পদার্থ থাকে ? নিকোটিন
144) তামার সাথে টিন মিশালে কী উত্পন্ন হয় ? ব্রোঞ্জ
145) তামার সাথে দস্তা বা জিঙ্ক মেশালে কি উত্পন্ন হয় ? পিতল
146) তেঁতুলে কোন অ্যাসিড থাকে ? টারটারিক অ্যাসিড
147) থাইমিন কোথায় থাকে? ডিএনএ ।
148) দই কি ? দুধের জমাট বাঁধা ব্যাকটেরিয়া
149) দাড়ি গোফ গজায় কোন হরমোনের কারণে ? টেসটেস্টোরেন হরমোন
150) দিনের আলোতে কাজ করে চোখের কোন অংশ ? কনস
151) দুধে কোন অ্যাসিড থাকে ? ল্যাকটিক অ্যাসিড
152) দুধের ঘনত্ব কোন যন্ত্র দিয়ে মাপা হয় ? ল্যাকটোমিটার
153) দুধের প্রোটিনের নাম কী ? কেজিন
154) দুধের শর্করাকে কী বলে ? ল্যাকটোজ
155) দৃশ্যমান বর্ণালীর ক্ষুদ্রতম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কোন আলোর ? বেগুনী
156) দৃশ্যমান বর্ণালীর বৃহত্তম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কোন আলোর ? লাল
157) নবায়নযোগ্য শক্তির উত্স কোথায় ? ফুয়েল সেল
158) নাড়ির স্পন্দন প্রভাবিত হয় কিসের মাধ্যমে ? ধমনীর মাধ্যমে
159) নারী পুরুষের মধ্যে কার তথ্য ধারণ ক্ষমতা বেশি ? নারীর
160) নাসা প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে ? ১৯৫৮ সালে
161) নাসার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ? যুক্তরাষ্টের ফ্লোরিডায়
162) নিউট্রন আবিস্কার করেন কে ? চ্যোডইউক
163) নিউমোনিয়া রোগ হয় কোথায় ? ফুসফুসে
164) নিম্ন শ্রেনীর প্রটিন সমৃদ্ধ খাবার কোনটি ? ডাল
165) পরমানুর চার্জ নিরপেক্ষ কণিকা কোনটি ? নিউট্রন
166) পরমানুর নিউক্লিয়াসে কি থাকে ? প্রোটন ও নিউট্রন
167) পরমানুর নেগেটিভ চার্জযুক্ত কণিকা কোনটি ? ইলেকট্রন
168) পরমানুর পজেটিভ চার্জযুক্ত কণিকা কোনটি ? প্রোটন
169) পরমানুর সর্বাপেক্ষা হালকা কোনা কোনটি ? ইলেকট্রন
170) পারমানবিক বোমা কে আবিস্কার করেন ? ওপেন হেমার
171) পাহাড়ে ওঠা কষ্টকর কেন ? অভিকর্ষজ বলের বিপরীদে কাজ করার জন্য
172) পুরুষ মানুষের জনন বৈশিস্টের জন্য দায়ী কোন ক্রোমোজম ? Y ক্রোমোজম
173) পূর্ণাঙ্গ স্নায়ু কোষকে কী বলে ? নিউরন
174) পৃথিবীতে মোট মৌলিক পদার্থের সংখ্যা কত ? ১০৯ টি
175) পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে বস্তুর ওজন কেমন ? শূন্য
176) পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম স্তন্যপায়ী প্রাণী কোনটি ? বামন চিকা .
177) পৃথিবীর দ্রুততম পাখি কোনটি ? সুইফট বার্ড
178) পৃথিবীর প্রথম মহাকাশচারী কে ? উইরি গ্যাগারিন (১৯৬১ সালে)
179) পেনিসিলিন কে আবিস্কার করেন ? আলেকজান্ডার ফ্লেমিং
180) পেসমেকার কে আবিস্কার করেন ? জার্মানির সিমেন্স এলিয়া কোম্পানী , ১৯৫৮ সালে
181) প্রকৃতিতে প্রাপ্ত মৌলের মধ্যে ধাতুর সংখ্যা কতটি ? ৭০ টি
182) প্রকৃতিতে প্রাপ্ত মৌলের সংখ্যা কতটি ? ৯২ টি
183) প্রকৃতিতে রেডিও আইসোটোপের সংখ্যা কত ? ৫০ টি
184) প্রকৃতিতে সবচেয়ে কঠিন পদার্থ কোনটি ? হীরা
185) প্রতি মিনিটে হৃদপিন্ডের সাভাবিক স্পন্দন কত ? ৭২ বার
186) প্রথম কম্পিউটার প্রোগামের রচয়িতা কে ? লেডী এ্যাডো অগাস্টা
187) প্রাকৃতিক গ্যাস এর প্রধান উপাদানকী ? মিথেন
188) প্রাকৃতিক লাঙ্গল বলা হয় কাকে ? কেঁচো .
189) প্রাণী কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয় কাকে ? মাইটোকন্ড্রিয়া
190) প্রাণীর প্রজনন কাজে প্রয়োজন কোন ভিটামিন ? ভিটামিন-ই
191) প্রেসার কুকারে রান্না তারাতারি হওয়ার কারণ কী ? উচ্চ চাপে তরলের স্ফুটনাংক বৃদ্ধি
192) প্রোটন কণিকা আবিস্কার করেন কে ? রাদারফোর্ড
193) প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের প্রধান কাজ কী ? দেহের ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন
194) ফারেনহাইট স্কেল এ মানব দেহের সাভাবিক উষ্ণতা কত ? ৯৮.৪ ডিগ্রী
195) ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় কোন প্রাণী ? মাছ .
196) বংশ গতিবিদ্যার জনক কে ? মেন্ডেল
197) বংশগতির ভৌত ভিত্তি কে? ক্রোমোজোম
198) বট গাছের আঠায় কোন এমজাইম থাকে? ফাইসিন । যা কৃমিরোগে ব্যবহৃত হয় ।
199) বাংঙের হৃতপিন্ডের প্রকোষ্ট কয়টি ? ৩ টি
200) বাংলাদেশের একটি জীবন্ত জীবাশ্ম কাকে বলে ? রাজ কাঁকড়া

Tuesday, June 13, 2017

★নাস্তিক ও অহিন্দুদের ব্যাপারে হিন্দুধর্ম কি বলে?

হিন্দ বা হিন্দু ধর্মের গ্রন্থগুলিতে যুদ্ধের ব্যপক বর্ণনা রয়েছে । ভারতের ধর্মভিত্তিক কাব্য গ্রন্থ মহাভারত এবং রামায়নের মূলবিষয় ইহল যুদ্ধ বিগ্রহ , হানাহানী, মারামারি । মহাভারতের উদ্যোগ পর্ব, ভীষ্ম পর্ব, দ্রোন পর্ব, কর্ণপর্ব, শল্যপর্ব, প্রভৃতিতে যুদ্ধের ধ্বংসলীলার কথা বর্ণিত হয়েছে। ভারতের বুকে অতীতে যে রক্ত গঙ্গা প্রবাহিত হয়েছিল তার বর্ণনা ঐ সব পর্বে বিস্তারিত ভাবে বিবৃত হয়েছে । রামায়নের রাম বাবনের যুদ্ধের কাহিনী কবি বাল্মিকীর বিষয় বস্তু । মহাভারতের একটি অংশের নাম গীতা । গীতা অর্থ গীত বা গান । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এই গান রচিত হয়েছিল । কৃষ্ণ (কাল) অর্জুন (সাদা) প্রতীকের মাধ্যমে কথোপকথন এই গানের বিষয়বস্তু ।

গীতার মতে যুদ্ধক্ষেত্র কুরক্ষেত্র, ধর্মক্ষেত্ররূপে স্বীকৃত । ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেত যুযুৎসব I অর্জুন শুভ্র বা কোমল অন্তরের মানুষ । তিনিযুদ্ধ, হত্যা রক্তপাত পছন্দ করতেন না । তিনি ছিলেন যুদ্ধবিরোধী শান্তি প্রিয় সাদা অন্তরের মানুষ । অপরদিকে কৃষ্ণরূপে যাকে চিত্রিত করা হয়েছে তিনি ছিলেন যুদ্ধের পক্ষে । হত্যা এবং ধ্বংস তার কাছে অতি সাধারণ বিষয় অর্জুন যখন বললেন, আমি যুদ্ধ করব না তখন কৃষ্ণ বললেন  হে পার্থ কাতর হইওনা ।
 এই পৌরুষ হীনতা তোমাকে শোভা পায়না(২/৩)।
 প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তিরা কি মৃত, কি জীবিত কাহারও জন্য শোক করেন না (২/১১) ।
 গতানূগতা সূংশ্চনানু শোচন্তি পন্ডিত । অতএব তুমি যুদ্ধ কর (২/১৮)
যুধ্যস্ব ভারত । ধর্ম যুদ্ধ অপেক্ষ ক্ষত্রিয়ের পক্ষে শ্রেয় আর কিছু নাই । ধর্মাদ্ধি যুদ্ধাচ্ছ্রেয়োহনাৎ ক্ষত্রিয়স্য নবিদ্যতে (২/৩১)
হত বা প্রাপ্ন্যসি স্বর্গ জিত্বাবা ভোক্ষ্য সেম হীম (২/৩৭)
এই যুদ্ধে হত হলে স্বর্গ লাভ আর জয়ী হলে পৃথি বীলাভ ।

এত সব লোভনীয় বক্তব্যের পরও অর্জুন অস্ত্র ত্যাগ করে বসে আছেন । তিনি কোন মতেই যুদ্ধ করবেন না ।
 অপরদিকে কৃষ্ণ বার বার বলে যাচ্ছেন, নিরাশী নির্মমোভূত্বা যুধ্যস্ব বিগত জ্বর(৩/৩০)
কামনা ও মমতা শূণ্য হয়ে শোক ত্যাগ করে তুমি যুদ্ধ কর ।গীতা কোন আবতীর্ণ গ্রন্থ নয় । কুরুক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে অবতার কৃষ্ণ এহেন দীর্ঘ বক্তৃতা প্রদান করেছিলেন বলেও গুণীজন বিশ্বাস করেন না ।
বঙ্কিম চন্দ্র চট্রোপাধ্যায় বলেছেন , গীতা গ্রন্থখানী ভগবত প্রণীত নহে, অন্য ব্যক্তি ইহার প্রনেতা ( রচনাবলী,৬৯৩পৃঃ )
তিনি আরো বলেছেন, যুদ্ধ ক্ষেত্রে উভয় সেবার সস্মুলে রথ স্থাপিত করিয়া কৃষ্ণার্জুনে যথার্থ এইরূপ কথোপকথন যে হইয়াছিল তাহা বিশেষ সন্দেহ (রচনাবলী ) অনেকের মতে গীতা শঙ্করাচার্য প্রণীত । রচনার পর এটিকে মহাভারতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়
(ভারতেবিবেকানন্দ, ৪২৪পৃঃ)

হিন্দুধর্ম অনুযায়ী যারা নাস্তিক ও অহিন্দু  তাদেরকে   পা দিয়ে মাড়িয়ে হত্যা করা, তাদের উপর রাগান্বিত হওয়া,তাদের ধনসম্পদ ছিনিয়ে আনা এবং তাদের সাথে যুদ্ব করে গনিমত হিসেবে তাদের সম্পদকে ও মহিলাদের   হস্তগত করা ইত্যাদি সকল কাজই বৈধ।কিন্তু বহুকাল পর্যন্ত হিন্দুধর্ম সম্পর্কে মানুষ না জানার কারনে এই চিনিসগুলো জানতো না কারন হিন্দু ধর্ম সকলের পড়ার অনুমতি ছিল না ।এখন ইন্টারনেটের কারনে মানুষ আস্তে আস্তে এ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতেছে।নিম্নে হিন্দু ধর্মে   নাস্তিক ও অহিন্দুদের ব্যাপারে কি বলা হয়েছে সে  সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করা হল-

★“যে লোক ঈশ্বরের আরাধনা করে না এবং যার মনে ঈশ্বরের প্রতি অনুরাগ নেই,তাকে পা দিয়ে মাড়িয়ে হত্যা করতে হবে।” (ঋগবেদ ১।৮৪।৮)

“তাদেরকে হত্যা কর, যারা বেদ ও উপাসনার বিপরীত।” অথর্ববেদ ২০/৯৩/১,

এই ব্যাপারে সরাসির বেদাঙ্গ এ রয়েছে, যারা অবিশ্বাসী ও ঈশ্বরের আরাধনা করে না তাদেরকে পাড়িয়ে মারার কথা।
নিরুক্ত ৫/১৭ ,


★“হে ঈশ্বর,যারা দোষারোপ করে বেদ ও ঈশ্বরের তাদের উপর তোমার রাগ বর্ষণ কর।”
                                       (ঋগবেদ ২।২৩। ৪
এর কমেন্টারিতে স্বামী দয়ানন্দ স্বরস্বতি লিখেছেন,  “যারা বেদ ও ঈশ্বর বিরোধি তারা হচ্ছে পাপী, এটাই হচ্ছে পার্থক্য ঈশ্বরের ভজনকারী ও অবিশ্বাসীর মধ্যে।”

★গবাদিপশুগুলো কি করছে নাস্তিকদের এলাকায়,যাদের বৈদিক রীতিতে বিশ্বাস নেই? যারা সোমার সাথে দুধ মিলিয়ে উতসর্গ করে না এবং গরুর ঘি প্রদান করে যজ্ঞও করে না? ছিনিয়ে আনো তাদের ধনসম্পদ আমাদের কাছে”। (ঋগবেদ ৩।৫৩।১৪)

স্বামী দয়ানন্দ স্বরস্বতি এর কমেন্টারিতে লিখেছে,“আলোকিত মানুষদের(আর্য) মধ্যে নাস্তিকরা কখনোই বেড়ে উঠবে না। এজন্য একজন জ্ঞানীর উচিত নাস্তিকতাবাদকে সমুলে উৎপাটন করে ফেলা।”


★কীকটবাসী [বেদের বাহিরের লোক] তাহারা গাভীর কি উপযোগ নেয়, না পানযোগ্য দুধ আদি দোহন করে, এবং না ঘৃতকে উত্তপ্ত করে। হে ঐশ্বর্যবান! নিজ ধন আমোদ প্রমোদে ব্যয়কারী পুরুষের ধনকে আমাদের প্রাপ্ত করাও আমাদের মধ্যে কুপ্রবৃত্তিবান লোক কে দমন করো "। (ঋগবেদ ৩/৫৩/১৪, জয়দেব শর্মা)

★“সেনাপ্রধান হিংস্র ও নির্দয়ভাবে শত্রুদের পরিবারের সদস্যদের সাথেও যুদ্ধ করবে।”(যজুর্বেদ ১৭।৩৯)

" এবং যজুর্বেদ ৭/৪৪ বলা হয়েছে, তাদের যুদ্ধের মাধ্যম বশ্যতা স্বীকার করাতে হবে”।

“শত্রূদের পরিবারকে হত্যা করো,তাদের জমি ধংস করো”। (যজুর্বেদ ১৭/৩৮)

"হে সেনাপ্রধান,আমাদের আশা পুর্ণ করো। হে ধনসম্পদের বাদশা,তোমার সহায়তায় আমরা যেন সম্পদশালী হতে পারি এবং যুদ্ধে জয় লাভ করে প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হতে পারি।” (যজুর্বেদ ১৮/৭৪)

★বেদ অনুসারে যে ব্যাক্তি কোন ব্রাক্ষণের ক্ষতি করে দেখুন তার প্রতি কি আদেশ,
“যে ব্যাক্তি ব্রাক্ষণের ক্ষতি করে ব্রাক্ষণের গরু নিজের কাজে লাগায়, তাকে ধংস করে দাও।”
                                   (অথর্ববেদ ১২/৫/৫২,)
 এই সুক্তেরই ৬২ নাম্বার মন্ত্রে আর্য সমাজের মুল ওয়েবসাইটে বলা আছে,
 “তু বেদ নিন্দুককো কাট ডাল, চির ডাল, ফাড় ডাল, জ্বালা দে, ফুক দে, ভষ্ম কর দে,”
অর্থাৎ বেদের নিন্দাকারীকে, কেটে ফেল, চিড়ে ফেল,ফেড়ে ফেল,জ্বালিয়ে দাও,ফুকে দাও,ভষ্ম করে দাও। (অথর্ববেদ ১২/৫/৬২,)

অথর্ববেদ ১২/৫/৫৪ এর কমেন্টারিতে তারা লিখেছে,“বেদানুযায়ী সত্যবীর পুরুষ নাস্তিকোকা নাশ করে”
অর্থঃ বেদ অনুযাই সত্যবীর পুরুষ নাস্তিকদের হত্যা করবে।

★শত্রুদের হত্যা কর ও তাদের জায়গা জমী ও রান্নাঘর ধংস কর। (যজুর্বেদ ১৩/১৩),

 “যুদ্ধই তোমাদের উন্নতির উৎস, এজন্যই তোমাদেরকে আমি যুদ্ধে প্রেরন করি”
 (যজুর্বেদ ৭/৩৮,)

★বেদাংগেও আছে,
শত্রুদের ধংস করে তাদের সম্পদ কেড়ে আনো। তাদের সম্পদ ও খাদ্য ঘর থেকে ছিনিয়ে আনো।”( নিরুক্ত ৪/৫ ,)


★গাড়ি, ঘোড়া, হাতি, অর্থ, শস্য , গবাদিপশু ও নারী তার দখলে যে যুদ্ধের মাধ্যমে তা জয় করে। (মনুসংহিতা ৭/৯৬,)
অর্থাৎ শত্রু পরিবারের নারীরাও যাবে দখলকারীর ভোগের জন্য।

আর যজুর্বেদ ২৯/৩৯ এ, এভাবেই যুদ্ধে ধনসম্পদ লুট খুনের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব দখল করতে বলছে। এবং একিসাথে এই মন্ত্রে স্পষ্টভাবে কোন আত্তরক্ষার্থে নয় বরং যারা শান্তিপ্রিয় তাদেরকে আক্রমন করে দখল করতে বলছে,
 “আমরা যেন সামরিক অস্রের মাধ্যমে বিশ্ব দখল করতে পারি, আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আমরা যেন শান্তিপ্রিয় বা আরামপ্রিয় শত্রুদের বিরুদ্ধে জয় লাভ করতে পারি। এভাবে অস্র দিয়ে আমরা যেন সারা বিশ্বের সকল অঞ্চলকে বশ্যতা স্বীকার করাতে পারি।”

এজন্যই বেদ শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার প্রতি যার রয়েছে অস্র।
“তার প্রতি শ্রদ্ধা, যার রয়েছে তলোয়ার, তীর। তার প্রতি সন্মান যার রয়েছে ধারালো অস্র। তার প্রতি খাদ্য নিবেদন যার রয়েছে ভাল অস্র।” (যজুর্বেদ ১৬/৩৬,)
সম্মানিত পাঠক উপরের আলোচনা থেকেই চিন্তা করে দেখুন হিন্দুধর্মের যুদ্বনীতী কত জটিল ও মারাত্নক যেখানে শান্তিপূর্ন অবস্হায়ও আক্রমন করা যাবে।বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে করুন-https://m.facebook.com/notes/md-rafat-rahman/বেদ-এ-অমানবিকতা-ও-নাস্তিক-অবিশ্বাসী-হত্যার-বিধানঃ/1476690319305165/










Saturday, June 10, 2017

★ইসলামের নাম দিয়ে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম কারা চালায় দেখুনঃ

ইসলাম হল-এই বিশ্বভ্রম্মাণ্ডের স্রষ্টা আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা।এখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিন্দুমাত্র স্থান নেই।আল-হামদুলিল্লাহ  বর্তমানে সারা বিশ্বে যেভাবে মুসলিমের  সংখ্যা বৃদ্বি পাচ্ছে বিবিসির ভাষ্যমতে আগামী ২০৭০ সালের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায় হয়ে যাবে বিশ্বের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ট।
বিস্তারিত লিঙ্ক- http://www.bbc.com/bengali/39301022
আর ইসলামের এই ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রাকে রুখতে ইহুদী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ,এমেরিকান গোয়োন্দা সংস্হা সিআইএ ,ভারতের সন্ত্রাসী গোষ্টি আর এস এস এবং খ্রীষ্ঠান মিশনারীরাসহ অসংখ্য গোষ্টি কোঁমরে গামছা বেধে নেমেছে।
তারা ইসলামের বিরুদ্বে যতগুলো প্লান নিয়ে  নেমেছে তার মধ্যে একটি প্লান হচ্ছে -তারা কিছু মুসলিমকে টার্গেট করে তাদের ব্রেইন ওয়াশ করে কোরআন হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাদেরকে মন্ত্রাসী কার্যক্রমের দিকে ধাবিত করতেছে।এজন্য তারা হাজার হাজার টাকা ব্যয় করতেছে।
ইসলামের নাম দিয়ে বিশ্বের জায়গায় জায়গায় কিছু উগ্রপন্থি মন্ত্রাসী গোষ্টি  সৃষ্টি করে বোমাবাজি করে ইসলাম ও মুসলিমদের কলুষিত করছে।
সত্য কখনও গোপন থাকেনা মিডিয়ার কারনে আমরা আজ এসবের  অনেক কিছুই  বুঝতেছি।
যেমন দেখুন-  কাশ্মীরে লস্করের সদস্য  'হিন্দু জঙ্গি' আটক-:http://www.bbc.com/bengali/news-40578276

বাম পন্থি নেতা Fidel Castro বলেছিলেন ""ISIS তৈরি করেছে ইসরাইল""
http://www.haaretz.com/world-news/americas/1.755429?v=975E9D335856D438F64D7A3FFA5D3DB6

সৌদি-আরবে-হামলার-হুমকি-আইএস'র
http://www.jugantor.com/online/international/2017/06/10/49233/

গুঁড়িয়ে-দেওয়া-আইএস-ঘাঁটি-সিআইএ’র-তৈরি-ব্যবহার:
http://m.banglatribune.com/foreign/news/198415/

আইএসের প্রধান আবু বকর বাগদাদি ইহুদি গোয়েন্দা সংস্হা  মোসাদের লোক:
www.jugantor.com/old/first-page/2015/11/18/9398


ইসরাইলে হামলার পর আইএসের ক্ষমা প্রার্থণা।
http://www.jugantor.com/online/international/2017/04/27/45761


আইএসের ব্যাপারে সৌদি আরবের গ্রাণ্ড মুফতির ফতোয়া:::
http://youtu.be/eZO8cs0IR8k

আইএসের নামে ওয়েবসাইট চালায় ভারতের হিন্দুরা:::
http://www.news-bangla.net/newsdetail/detail/34/304952

পাকিস্তানে সেনা অভিযানে আইএসের ৮ কমান্ডার নিহত :::
http://m.dailynayadiganta.com/?/detail/news/225877

ইরানে-জোড়া-হামলা:-দায়-স্বীকার-আইএসের:::
http://www.jugantor.com/online/international/2017/06/07/48983/

১: ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরই আইএস ফ্রান্সে দুইবার সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
২: জাপান ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরই দুই জাপানি অপহৃত হয় ও আইএস তাদের হত্যা করে
৩/ ইন্দোনেশিয়া ফিলিস্তিনের গাজায় একটি হাসপাতাল
প্রতিষ্ঠা করার পরই আইএস জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম এই মুসলিম রাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা চালায়
৪/ ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বেলজিয়াম একটি বৈঠকের আয়োজন করার পরই আইএস ইউরোপের এই দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
৫/ মে মাসে
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে
কিছু বক্তব্য দেয়া হয়। ইসরায়েলের একজন উচ্চ প্রভাবশালী এনালিস্ট মেন্দি সাফাদিকে গুপ্তচর হিসেবে আখ্যা দিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিএনপি নেতা আসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেড় মাসের মাথায়
আইএস
বাংলাদেশে এমন একটি
ভয়ানক সন্ত্রাসী হামলা ঘটালো।
৬/ বৃটেনে নির্বাচনে মুসলিম প্রার্থীরা ভালো অবস্থানে থাকায় এবং একজন প্রার্থী ইসরাইল বিরোধী কথা বলায় আই এস এর হামলা হয়, (একই কারণে জার্মানীতেও আইএস হামলা হয়েছিল)

এত প্রমান থাকার পরও যারা এ সমস্ত সন্ত্রাসী গোষ্টির কারনে ইসলামকে কলুষিত করতে চায় তাদের হয়ত বলতে হবে:- চরম অজ্ঞ নতুবা চরম ইসলাম বিদ্বেষী।
তাদেরকে বলতে চাই, ইসলাম পৃথিবীর শুরু থেকেই ছিল বর্তমানেও আছে কিয়ামত পর্যন্ত  থাকবে  ইনশাল্লাহ কিন্তু যারা অন্ধভাবে ইসলামের বিরোধীতা  করে যাচ্ছে তারা কিন্তু ফেরাউন,নমরুদের মতই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

তবে এটা ঠিক যে, বর্তমানে অধিকাংশ মুসলিমরা কোরান ও হাদিসের আমল থেকে দুরে থাকার কারনেই তারা বিশ্বে বিভিন্নভাবে অপমানিত হচ্ছে।আর মুসলিমদের উপর এরকম কিছু বিরুপ অবস্থা কেয়ামতের আগে পতিত হওয়ার ব্যাপারে  রাসুল (সাঃ) আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগেই ভবিষ্যতবাণী করে গেছেন।রাসুলের ভবিষ্যতবাণী ১০০% সঠিক সুতরাং চিন্তার কোন কারন নেই।আমাদেরকে মজবুতভাবেই কোরআন ও হাদিসকে আঁকড়ে ধরতে হবে তাহলে আমরাই হব-এই পৃথিবীর শ্রেষ্ট জাতী।
যেমন আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন,"তোমরাই হলে এই পৃথিবীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট জাতি।তোমাদের বাছাই করা হয়েছে সারা বিশ্বের মানুষদের কল্যান সাধনের জন্য। তোমাদের কাজ হল-তোমরা মানুষকে ভাল কাজের আদেশ দিবে ,খারাপ কাজ থেকে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর প্রতি পরিপূর্নরুপে ইমান রাখবে।"(আলে ইমরান-১১০)

★ব্রিটিশ নও মুসলিম ক্যাট স্টিভেন্সের ইসলাম গ্রহণের কাহিনী::::::

সাবেক পপ-তারকা ক্যাট স্টিভেন্স একজন বিখ্যাত নও-মুসলিম। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের এক খ্রিস্টান পরিবারে। তার বাবা ছিলেন একজন গ্রিক অর্থোডক্স খ্রিস্টান ও মা ছিলেন সুইডিশ ক্যাথলিক। অথচ স্টিভেন্স ব্রিটেনের প্রোটেস্টান্ট খ্রিস্টান সমাজে বসবাস করতে প্রোটেস্টান্ট ধর্মমত অনুযায়ী। মায়ের উৎসাহ পেয়ে স্টিভেন্স গান শেখেন। ফলে ২০ বছর বয়স হওয়ার আগেই তার ৮টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় এবং ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।
স্টিভেন্স ১৯৬৯ সালে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হন। তার শারীরিক অবস্থা এতই খারাপ হয়ে পড়েছিল যে চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছিলেন। প্রায় এক বছর ধরে হাসপাতালে থাকার পর তার মধ্যে বড় রকমের মানসিক পরিবর্তন ঘটে। এ সময় তিনি গভীর আগ্রহ নিয়ে প্রাচ্যের নানা ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করেন। এরপর থেকে তার গানের ভাবধারা ও পরিবেশ বদলে যেতে থাকে এবং সেগুলো হয়ে উঠতে থাকে আধ্যাত্মিক অর্থবহ।

স্টিভেন্স মরক্কো সফরে গেলে সেখানে আযানের সুমিষ্ট ধ্বনি তাকে বেশ আকৃষ্ট করে। এ সময় তার মনে যে ভাবনার উদয় হয়েছিল তা শোনা যাক তারই কথায়:
মনে মনে ভাবলাম,আল্লাহর জন্য সঙ্গীত? এমন বিষয় তো আর কখনও শুনিনি। অর্থের জন্য সঙ্গীত, খ্যাতির জন্য সঙ্গীত এবং ব্যক্তির গায়ের জোর বা শক্তির জন্য সঙ্গীত—এ ধরনের কথা তো শুনেছি;কিন্তু আল্লাহর জন্য সঙ্গীতের কথা কখনও শুনিনি।
স্টিভেন্স-এর পরবর্তী গানের ক্যাসেটগুলো আরো বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ক্যাট স্টিভেন্সের ভাই ডেভিড জানতেন ক্যাট বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনা করতে খুব ভালবাসেন। তাই মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় ডেভিড তার ভাইয়ের জন্য ইংরেজি ভাষায় অনুদিত পবিত্র কুরআনের একটি কপি সংগ্রহ করেন এবং দেশে ফিরে এসে ওই কপিটি তার ভাইকে উপহার দেন।
পবিত্র কুরআন পড়ে ক্যাট স্টিভেন্স এত অভিভূত হন যে তিনি ইসলাম সম্পর্কে সার্বিক গবেষণা ও পড়াশুনা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন:
“পবিত্র কুরআনের যে দিকটি সব কিছুর আগে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল তা হল এ মহাগ্রন্থের কভারের ওপর লেখকের কোনো নাম ছিল না। এ উপহার ছিল এমনই মূল্যবান সম্পদ যে তা আমার জীবনকে বদলে দিয়েছে।
যাই হোক,শুরু করলাম কুরআন অধ্যয়ন । যতবারই এ মহাগ্রন্থ পড়তাম ততবারই প্রশান্তি অনুভব করতাম । মনে হত এ কুরআন যেন আমার জন্যই লেখা হয়েছে, তাই বার বার পড়েও তৃষ্ণা মিটত না। পবিত্র কুরআন পড়ে বুঝতে পারলাম যে ইসলামই হল সেই ধর্ম যার সন্ধান আমি করছিলাম। কারণ, আমার মনের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছি এ মহান ধর্মে।
পবিত্র কুরআন আমার ওপর প্রভাব ফেলেছে কল্পনার চেয়েও অনেক গুণ বেশি। আমি বুঝতে পারলাম যে কুরআনের শাশ্বত বাণী নাজিল হয়েছে গোটা মানব জাতির চিরন্তন সৌভাগ্যের জন্যই। এ মহাগ্রন্থের বাণী খুবই সহজ ও স্পষ্ট। কুরআনের শব্দগুলো আমাকে খুবই বিস্মিত করে । এ পর্যন্ত জীবনে যত বই পড়েছি তার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা বা ব্যতিক্রমধর্মী লেগেছে এ মহাগ্রন্থ।

পবিত্র কুরআন পড়ার আগে পার্থিব জীবনকে আমার কাছে এক দুর্বোধ্য রহস্য বা ধাঁধা বলে মনে হত ।এ বিশ্ব জগতের যে একজন স্রস্টা রয়েছেন তা বিশ্বাস করতাম। কিন্তু জানতাম না এই যে স্রস্টা যাকে চোখে দেখা সম্ভব নয় তিনি কে। এটা জানার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু কোনো ফল পাইনি। ঠিক যেন এমন এক নৌকার অবস্থায় ছিলাম যা উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছিল না। কিন্তু যখন পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন করলাম তখন অনুভব করলাম যে এ বই যেন আমার সঙ্গে কথা বলছে। এভাবে এ মহাগ্রন্থের বাণীর মধ্যে পুরোপুরি ডুবে পড়েছিলাম।”

পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের পর ধীরে ধীরে ইসলামী মূল্যবোধগুলোকে নিজ জীবনের ওপর প্রয়োগ করছিলেন ক্যাট স্টিভেন্স। মশগুল হতে থাকেন আল্লাহর ইবাদতে। মদ, ক্লাব ও পার্টি—এসব পাপপুণ্য অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলছিলেন। অবশেষে গ্রহণ করেন পবিত্র ইসলাম ধর্ম। এভাবে ক্যাট স্টিভেন্স পরিণত হন ইউসুফ ইসলামে।

ইউসুফ নামটি যোসেফ নামের আরবি রূপ। এই নামটি বেছে নেয়া প্রসঙ্গে সাবেক ক্যাট স্টিভেন্স বা নও-মুসলিম ইউসুফ ইসলাম বলেছেন: “আমি সব সময়ই যোসেফ নামটি পছন্দ করতাম। যে স্কুলে আমি প্রথম ভর্তি হই ও পড়াশুনা করেছিলাম সেই স্কুলটির নাম ছিল সেন্ট যোসেফ। অবশ্য এই নাম বেছে নেয়ার মূল কারণটি হল কুরআনের সুরা ইউসুফ অধ্যয়ন এই সুরা দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে আমার মনকে।” ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর ইউসুফ ইসলাম মুসলমানদের প্রথম কিবলা অধ্যুষিত বায়তুল মুকাদ্দাস শহর সফর করেন। এই পবিত্র শহর সফরের কারণ তুলে ধরে তিনি বলেছেন, “এই পবিত্র স্থানে আমার ভাইয়ের জিয়ারতের সুবাদেই আমি সুপথ তথা ঈমানের সম্পদ পেয়েছি। মসজিদুল আকসা জিয়ারতের সময় যারা আমাকে নও-মুসলিম হিসেবে সনাক্ত করে ফেলে তারা আমার চার দিকে জড় হয় ।

আমি এই মসজিদে নামাজ পড়লাম ও অনেক কাঁদলাম। হায় আলকুদস! এ পবিত্র স্থান মুসলিম বিশ্বের হৃৎপিণ্ড। যতদিন এ হৃৎপিণ্ড অসুস্থ থাকবে ততদিন গোটা মুসলিম বিশ্বই অসুস্থ থাকবে। এই মসজিদুল আকসাকে দখল মুক্ত করা আমাদেরই দায়িত্ব। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জাতিগুলো যদি কুরআন ও এর শিক্ষার আলোকে চলে তাহলে কুদস মুক্ত হবে। আসলে ফিলিস্তিন সংকট কেবল ফিলিস্তিনি জাতির সংকট নয়। বরং গোটা মুসলিম বিশ্ব এই সংকটের সঙ্গে সম্পর্কিত।”

সাবেক পপ তারকা ইউসুফ ইসলাম বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে নিয়ে সঙ্গীতের একটি অ্যালবাম রচনা করেছেন। তার কাছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে সব সময়ই শান্তির প্রতীক বা আদর্শ বলে মনে হয়। নওমুসলিম ইউসুফ ইসলাম মনে করেন ইসলাম এমন এক ধর্ম যা অন্য সব ধর্মের কাছেও শান্তি ও সমঝোতার প্রচার-প্রসার ঘটাচ্ছে।
 তিনি বলেছেন, “বিশ্বনবী (সা.) নিয়ে রচিত সঙ্গীতের (সিডি) অ্যালবামটিতে আমি গোলাপ ফুলের সুঘ্রাণ দিয়েছি। তাই সিডিটি খোলার সাথে সাথেই শ্রোতা সুগন্ধ পান। এটা করার কারণ, গোলাপ ফুল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র অস্তিত্বের প্রতীক। আমি চাই শ্রোতারা যখন এই অ্যালবামের গান শুনবেন তখন যেন তারা এ মহামানবের প্রতীকী সুঘ্রাণ অনুভব করেন”

নও-মুসলিম ইউসুফ ইসলাম এখন ইসলামী জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর প্রয়াস চালাচ্ছেন। মুসলমান হওয়ার পর তিনি কিছু দিন গান গাওয়া ও রেকর্ড করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। বিয়ে করার পর তিনি ব্রিটিশ মুসলিম সমাজের সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন। পপ তারকা হিসেবে তার বার্ষিক আয় ছিল দেড় মিলিয়ন ডলার। তার জমানো সেইসব অর্থ ও ভবিষ্যৎ আয়কে লন্ডন ও অন্যান্য অঞ্চলের মুসলমানদের শিক্ষার কাজে ও অন্যান্য দাতব্য খাতে ব্যয় করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। মানব-দরদি শান্তি মিশন নিয়েও দেশে দেশে সফর করছেন সাবেক ক্যাট স্টিভেন্স। পৃথিবীর উত্তর থেকে দক্ষিণে এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিস্তৃত হয়েছে তার সফর।
এটা সত্য মুসলমান হওয়ার কারণে পাশ্চাত্যের শীর্ষস্থানীয় পপ তারকার পদটি এখন আর তার দখলে নেই, কিন্তু যা তিনি পেয়েছেন তা হল সবচেয়ে বড় সম্পদ তথা ঈমান ও আধ্যাত্মিক প্রশান্তি।

Monday, June 5, 2017

সমুদ্রের পানির মাঝখানে অদৃশ্য দেয়ালের অস্তিত্ব:কুরআন কি বর্ননা করেছে এ ক্ষেত্রে?

কুরআন কারিম সর্বকালের সর্ব যুগের মানুষের জন্য এক আলোকবর্তিকা ও বৈজ্ঞানিক সাংকেতিক সংক্ষিপ্ত বার্তা। পৃধিবীর মাঝে একমাত্র আল-কোরআন ও তার নিয়মাবলী মানুষকে শান্তির ধারায় আনয়ন করতে পারে। কুরআনের এ telegraphic message নাস্তিকতা ও বহুঈশ্বরবাদ হতে হতে মানুষকে হটিয়ে এক আল্লাহর দিকে আহবান করে। আসুন দেখি কি scientific message লুকিয়ে আছে কুরআনের এই আয়াতে যা ১৩৫০ বছর আগে মানুষ ভাবতে পারেনি বা সেভাবে চিন্তা করার যোগ্যতা বা সামর্থ অর্জন করতে সক্ষম হয়নি-
027.061 أَمَّنْ جَعَلَ الأرْضَ قَرَارًا وَجَعَلَ خِلالَهَا أَنْهَارً وَجَعَلَ لَهَا رَوَاسِيَ وَجَعَلَ بَيْنَ الْبَحْرَيْنِ حَاجِزًا أَإِلَهٌ مَعَ اللَّهِ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لا يَعْلَمُونَ
অর্থাৎ-  কে পৃথিবীকে করেছে আবাসযোগ্য এবং তার মধ্যে প্রবাহিত করেছেন নদী-নালা। আর তাতে স্থাপন করেছেন সৃদৃঢ় পর্বতমাল এবং দুই সাগরের মাঝখানে সৃষ্টি করেছেন অন্তরায়। আল্লাহর সঙ্গে কি অন্য কোনো ইলাহ আছে? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না।
(নামাল, ২৭ : ৬১)
055.019 مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ

055.020 بَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لا يَبْغِيَانِ

055.021 فَبِأَيِّ آلاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অনুবাদ:তিনি দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন, যারা পরস্পর মিলিত হয়। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক আড়াল, যা তারা অতিক্রম করতে পারে না। অতএব (হে মানব ও দানব) তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোনো নিয়ামতকে অস্বীকার করবে? (রহমান, ৫৫ : ১৯- ২১)

★সামুদ্রিক বিজ্ঞানিদের আবিষ্কার-:
                      গত ১৩৫০ বছরে এই আয়াতগুলির ব্যাখ্যা পূর্ববর্তী প্রজন্মের কাছে ছিল এক অজানা রহস্য। কিন্তু বর্তমানে Marine Science বা Oceanologist সামুদ্রিক বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক গবেষণা ও আবিষ্কারের ভিত্তিতে আমরা এখন এই আয়াতগুলির ব্যাখ্যা দিতে পারি বলা যায় পানির মতো পরিষ্কার কুরআনিক তথ্য।। উষ্ণ পানির স্রোতধারা বিশ্বের শীতল সাগরগুলোর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার সাগরসমূহে এ ধরনের স্রোতের প্রবাহ পরিলক্ষিত হয়। আশ্চর্য হলেও সত্য যারা মনে করেন রাসুল (সাঃ) আরব সাগরের কাছে গিয়ে হটাৎ করে এ তত্ব আবিষ্কার করেছেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানাই এ ধরনের স্রোত কেবল শুধু আরব উপদ্বীপের চারপাশেই সম্পূর্ণ অনুপস্থিত, বরং ভূমধ্যসাগরীয় ও ভারতীয় অঞ্চলসমূহেও এ স্রোতের দেখা পাওয়া যায়না। সর্বপথম এ প্রকারের স্রোতধারা আবিষ্কৃত্র হয় ১৯৪২ সালে। বর্তমানে সেগুলিকে অত্যন্ত জটিল গানিতিক ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে ও  কৃত্রিম satellite- এর মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে।
★আরো বিশ্লেষন-:
কুরআন মাজিদের এটিও অতুলনীয় আলৌকিকতা যে, তা এমন একটি রহস্যের দিকনির্দেশনা দিয়েছে, যা তৎকালে তথাকার কোনো আরব প্রত্যক্ষ করাতো দুরের কথা ভাবেওনি, যেখানে বা যে সময়ে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম গ্রহণ করেন। পূর্বে বর্ণিত কুরআন কারিমের আয়াত দুটি বোঝায়,
‘আল্লাহ তাআলা দু’টি সমুদ্রকে প্রবাহিত করেছেন এবং সেখানে দুই সাগরের মাঝখানে রয়েছে একটি অদৃশ্য দেয়াল বা আড়াল।’

অতিসম্প্রতি Oceanologist scientist-গন আবিষ্কার করেছেন, পানির এই দুই স্রোতধারা তিনটি মৌল নিয়ম অনুসরনের ফলে পানির মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে তা হলো-
 ১) ঘনত্ব

২) লবণাক্ততা

৩)ও উচ্চতার

তারা এও আবিষ্কার করেছেন, যখন পানির বাইরের স্রোতধারা ভেতরের স্রোতধারার দিকে প্রবাহিত হয় কিংবা তার বিপরীত অবস্থা ঘটে, তখন অন্য স্রোতের পানি তা তৎক্ষণাৎ তার অবস্থা বদলে ফেলে। যদিও আপাতদৃষ্টিতে আমরা দেখি সেখানে দুই ধরনের পানি স্বাধীনভাবে মিশে যায়, তথাপি উভয় প্রকৃতির পানি তাদের স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট্য রক্ষা করে চলে। অর্থাৎ পরিষ্কারভাবে সংক্ষিপ্তাকারে বললে বলতে হয় – পানির স্ব গুনাগুন বজায় থাকে যা অন্য পনির সাথে মিশ্রিত হয়না।কুরআন কারিম এমন একটি জটিল রহস্য বর্ননা করেছে, বিজ্ঞানীরা তা আবিষ্কার করার বহু শতাব্দী পূর্বে।

যেমন রোম সাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর  পানি একটি অপরটির সাথে মিশতে পারে না, কারণ সেখানে রয়েছে অন্তরায়। অথচ যে যুগে এ ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর কোন যন্ত্র পাতি ছিল না। এমন যুগে কুরআন বলে দিচ্ছে:
مرج البحرين يلتقيان بينهما برزخ لا يبغيان
তিনি পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত করেছেন। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক অন্তরায়, যা তারা অতিক্রম করে না। (সূরা রাহমান ১৯-২০)

বিভিন্ন তাফসীরে বর্ণিত হয়েছে যে, দুই সমুদ্র বলতে মিঠা ও লোনা সমূদ্র বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে উভয় প্রকার সাগর ও নদী সৃষ্টি করেছেন। কিছু কিছু স্থানে  দু’দরিয়া এক সাথে মিলিত হয়ে যায়, যার উদাহরন পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে আমরা দেখতে পাই। কিন্তু যে স্থানে মিষ্টি ও লোনা দুপ্রকার নদী বা সাগর মুখোমুখি বা পাশাপাশি প্রবাহিত হয় সেখানে বেশ দুর পর্যন্ত উভয়ের পানি আলাদা ও স্বতন্ত্র থাকে। একদিকে থাকে মিষ্টি পানি ও অপরদিকে থাকে লোনা পানি। কোথাও কোথাও এই মিষ্টি ও লোনা পানি উপরে নীচেও প্রবাহিত হয় (ঘনত্ব, লবণাক্ততা ও উচ্চতার কারনে )।  পানি তরল ও সূক্ষ্ম পদার্থ হওয়া সত্ত্বেও পরস্পরে মিশ্রিত হয় না।

★খ্যাতনামা Marine Biologist Jack V Costa-র আবিষ্কার-:
ফ্রান্সের বিজ্ঞানী জাক ভি. কোষ্টা, যিনি সমুদ্রের ভিতর পানি রিসার্চ বিষয়ে প্রসিদ্ধ, তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন রোম সাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগর রাসায়নিক মিশ্রনের গুনাবলী ও মাত্রার দিক থেকে একটি অন্যটির চেয়ে ভিন্ন রকম। তিনি এ বাস্তব সত্যটি হাতেনাতে প্রমানের উদ্দেশ্যে জিব্রাল্টারের দুই সমুদ্রের মিলন কেন্দ্রের কাছাকাছি সমুদ্রের তলদেশে গবেষণা চালালেন, সেখান থেকে তথ্য পেলেন যে জিব্রাল্টারের উত্তর তীর [মারুকেশ] আর দক্ষিণ তীর [স্পেন] থেকে আশাতীতভাবে একটি মিষ্টি পানির ঝর্ণা উথলে উঠে। এ বড় ঝর্ণাটি উভয় সমুদ্রের মধ্য দিয়ে ৪৫ সূক্ষ্ম কোনে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হয়ে চিরুনির দাঁতের আকৃতি ধারণ করে বাঁধের ন্যায় কাজ করে। এ ক্রিয়াকলাপের ফলে রোম সাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগর একটি আরেকটির সঙ্গে মিশতে পারে না।

দু’টি সমুদ্রের মিলনস্থলে যে পৃথকীকরণ বা পর্দা রয়েছে তা খালি চোখে বুঝার উপায় নেই। কেননা বাহ্যত সব সাগর একই রূপের মনে হয়। শুধু তিনি নন, বরং সমগ্র মেরিন বিজ্ঞানীরাই এই বাঁধা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন। তারা ১৯৪২ সনে শতাধিক মেরিন স্টেশন বসিয়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরীক্ষা করলেন। কোন জিনিস দুই সাগরের মিলন কেন্দ্রে বাঁধা সৃষ্টি করে আছে? তারা তথায় আলো পরীক্ষা করেন, বাতাস পরীক্ষা করেন এবং মাটি পরীক্ষা করে এর মধ্যে কোন বাঁধা বা পর্দা সৃষ্টি করার কারণ খুঁজে পেলেন না। এখানে পানির একটি হালকা, একটি ঘন রং পরিলক্ষিত হয়। যা খালি চোখে প্রত্যক্ষ করা সম্ভব নয়।

এমনকি বিজ্ঞানীরা আরো গভীর ভাবে বিষয়টিকে উপলব্ধির জন্য এবং আরো-পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র-এর দূরের থেকে অনুধাবনের পদ্ধতির মাধ্যমে বা এর মাধ্যমে ছবি ধারণ করেন।যার বর্ণনা এরূপ যে, ভূমধ্য সাগরের পানি গাঢ় নীল এবং আটলান্টিক সাগরের পানি হালকা নীল, আর জিবরাল্টার সেল যা পাহাড়াকৃতির এবং তার রং হল খয়েরি।

ঘনত্ব-উষ্ণতা এবং লবণাক্ততার দিক থেকে ভূমধ্য সাগরের পানি আটলান্টিকের তুলনায় অনেক বেশী। আরো মজার ব্যাপার হলো, ভূমধ্য সাগরের পানি জিবরাল্টার সেল বা সাগর তলের উঁচু ভূমির ওপর দিয়ে আটলান্টিক সাগরের মধ্যে শতাধিক কিলোমিটার প্রবেশ করেছে এবং তা ১০০০ হাজার মিটার গভীরে পৌঁছার পরেও তার উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যের ও রঙ্গের কোন পরিবর্তন সাধিত হয়নি। যদিও এতদূভয়ের মাঝে রয়েছে প্রচন্ড ঢেউ, প্রবল খরস্রোত এবং উত্তাল তরঙ্গ তথাপিও পরস্পর মিশ্রিত হয় না


★খ্যাতনামা Marine Biologist- Jack V Costa-র ইসলাম গ্রহন:
ফ্যান্সের প্রথিতযশা সমুদ্রবিজ্ঞানী জ্যাক ভি কোস্টা (Jack V Costa)। সমুদ্রের তলদেশের বিভিন্ন আবিষ্কারে তার অবদান অনস্বীকার্য। দুই সমুদ্রের মিলনদৃশ্য নিয়ে তিনি ব্যাপক গবেষণা করেছেন। তিনি তার রিসার্চে উপলব্ধি করেছিলেন যে, রোম সাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর রাসায়নিক মিশ্রণের গুণাবলি ও মাত্রা দিক দিয়ে একটি আরেকটি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি এ বাস্তবতা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করার জন্য জিব্রাল্টারের দুই সমুদ্রের সংযোগস্থলে গবেষণা চালালেন। তিনি দেখলেন, জিব্রাল্টারের উত্তর তীর (মারুকেশ) আর দক্ষিণ তীর (স্পেন) থেকে আশ্চর্যজনকভাবে একটি মিষ্টি পানির ঝরনা উথলে ওঠে। এ ঝরনাটি উভয় সমুদ্রের মধ্য দিয়ে ৪৫০ সূক্ষ্ম কোণে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হয়ে চিরুনির দাঁতের আকার ধারণ করে বাঁধের মতো কাজ করে। ফলে রোম সাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের পানি একটি আরেকটির সঙ্গে মিশে না।

পরে তাকে আল কোরআনে বর্ণিত আয়াতটি শোনানো হলো। তিনি দেখলেন, কোরআনে বর্ণিত তথ্যের সঙ্গে তার গবেষণার সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। জ্যাক ভি কস্টা চিন্তা করলেন, ১৪০০ বছর আগে মুহাম্মদ (সা.) এর মতো নিরক্ষর মানুষ সমুদ্রের তলদেশ পর্যবেক্ষণ করে এসব তথ্য কোরআনে লিখতে পারেন না। তাহলে কোরআনে সমুদ্র বিজ্ঞানের এ মহা তথ্য কীভাবে এলো? নিশ্চয় আল কোরআন ঐশী সত্য গ্রন্থ। এটা কোনো মানব রচিত নয়। Jack V Costa মুসলমান হয়ে গেলেন।

পবিত্র কোরআনের এমন অলৌকিকতা সর্বকালে প্রমাণিত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আল কোরআন মীমাংসাকারী বাণী এবং এটি নিরর্থক নয়।’
(সূরা আত তারিক : ১৩-১৪)।
অর্থাৎ পবিত্র কোরআনের প্রতিটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ এবং বাস্তবতার বিচারে সঠিক ও গুরুত্বপূর্ণ।






★বিশিষ্ট জ্ঞানী ও খ্রীষ্ঠান প্রফেসর ড. মরিস বুকাইলির ইসলাম গ্রহনের কাহিণী::::

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিত্রা ১৯৮১-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি আশির দশকের শেষের দিকে ফিরাউনের মমিকে নিয়ে প্রত্নতাত্তিক গবেষণার জন্য মিসরের কাছে অনুরোধ জানালেন। মিসরের সরকার তাতে রাজি হলে কায়রো থেকে ফিরাউনের লাশ এল প্যারিসে। প্লেনের সিড়ি থেকেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, তার মন্ত্রীবর্গ ও ফ্রান্সের সিনিয়র অফিসারগণ মাথা নিচু করে ফিরাউনকে স্বাগত জানালেন!!!

ফিরাউনকে জাঁকালো প্যারেডের মাধ্যমে রাজকীয়ভাবে বরণ করে ফ্রান্সের প্রত্নতাত্তিক কেন্দ্রের একটা বিশেষ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হল, যেখানে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সার্জনরা রয়েছে আর তারা ফিরাউনের মমির ময়নাতদন্ত করে সেটা স্টাডি করবে ও এর গোপনীয়তা উদঘাটন করবে।

মমি গবেষণার প্রধান সার্জন ছিলেন প্রফেসর ড. মরিস বুকাইলি। থেরাপিস্ট যারা ছিলেন তারা মমিটাকে পুনর্গঠন (ক্ষত অংশগুলো ঠিক করা) করতে চাচ্ছিল, আর ড. মরিস বুকাইলি দৃষ্টি দিচ্ছিলেন যে কিভাবে ফিরাউন মারা গেল! পরিশেষে, রাতের শেষের দিকে ফাইনাল রেজাল্ট আসলো। যাতে বলা হয়েছে তার শরীরে লবণের অংশ আছে আর ইহাই সবচেয়ে বড় প্রমাণ যে সে (ফিরাউন) ডুবে মারা গিয়েছিল আর মৃত্যু বরণের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র (লোহিত সাগর) থেকে তোলা হয়েছিল তারপর লাশ দ্রুত মমি করা হয়েছিল। এখানে ফিরাউনের মমিটি প্রফেসর মরিসকে হতবুদ্ধি করে দিল, যে কিভাবে এই মমি অন্য মমিদের তুলনায় সুরক্ষিত অবস্থায় থাকল, যা এটা সমুদ্র থেকে তোলা হয়েছে। কারণ আদ্র পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে আর প্রতিটি আদ্র বস্তুকে দ্রুত ধ্বংস করে দিয়ে থাকে।

ড. মরিস ফাইনাল রিপোর্ট তৈরি করল যাতে তিনি বললেন: এটা একটা নতুন আবিস্কার। সেই সময় তাকে কেউ ফেরাউনের এই ডুবে যাওয়া মমি সম্পর্কে প্রকাশ্যে আলোচনা না করার পরার্মশ দেন, কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে এর প্রতিবাদ করে বললেন যে, এরকম একটা বিশাল আবিস্কার যেটা আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য সহায়তা করবে সেটা জানানো যাবেনা!!

কেউ একজন তাকে বলল যে কুরআনে ফিরাউনের ডুবে যাওয়া ও তার লাশ সংরক্ষণের ব্যাপারে বিশদ আলোচনা এসেছে। এই ঘটনা শুনে ডা. মরিস বিস্মিত হয়ে গেলেন এবং প্রশ্ন করতে লাগলেন, এটা কিভাবে সম্ভব?? এই মমি পাওয়া গিয়েছে মোটে ১৮৮১ সালে, আর কুরআন নাজিল হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে!! আর প্রাচীন আরবেরা তো মমি করার পদ্ধতিই জানতো না, মাত্র কয়েক দশক আগে তা আমাদের হাতে আবিস্কৃত হয়!! ড. বুকাইলি ফিরাউনের লাশের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে গভীরভাবে ভাবছিলেন যে, মুসলিমদের কুরআনে কিভাবে ফিরাউনের লাশ সংরক্ষণের কথা এসেছে??
বাইবেলে ফিরাউন কর্তৃক মুসা (আ.)-এর পিছু নেয়ার কথা বলা আছে কিন্তু ফিরাউনের লাশের পরিনতি সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলা নাই। তিনি নিজেকেই প্রশ্ন করছিলেন আর ভাবতে ছিলেন যে, এটা কিভাবে ধারণা করা যায় যে, এই মমি যার সে মুসার (আ.)-এর পিছু নিয়েছিল? আর এটা কেমন করে সম্ভব যে, মুহাম্মদ (সা.) ১৪০০ বছর আগেই এটা সম্পর্কে জানতেন?? এবং আরো অনেক কিছু.......।

ডা. মরিস সেই রাতে ঘুমাতে পারলেন না, তিনি তোরাহ (তাওরাত) আনালেন এবং সেটা পড়লেন। তোরাহতে বলা আছে, পানি আসলো এবং ফিরাউনের সৈন্য এবং তাদের যানবাহনগুলোকে ঢেকে দিল, যারা সমুদ্রে ঢুকল তাদের কেউই বাঁচতে পারল না। ড. বুকাইলি আশ্চার্য হয়ে দেখলেন যে, তাওরাতে লাশের সংরক্ষণের ব্যাপারে কিছু বলা নাই!!

অতপার তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তিনি মুসলিম দেশে যাবেন এবং সেখানে প্রখ্যাত মুসলিম ময়নাতদন্তে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাক্ষাৎকার নিবেন ও আলোচনা করবেন। তিনি তথায় পৌছে ফিরাউনের লাশ ডুবে যাওয়া পরবর্তী সংরক্ষণের যে রেজাল্ট পেয়েছেন তা নিয়ে আলোচনা করেন, তখন একজন মুসলিম বিশেষজ্ঞ পবিত্র কুরআন খুললেন এবং আয়াতটা ড. বুকাইলিকে শুনালেন যেখানে সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা বলেনঃ-
"“অতএব, আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।"” [আল-কুরআন; সুরাঃ ১০, আয়াতঃ ৯২]

তিনি এই আয়াতের দ্বারা খুবই প্রভাবিত ও অভিভূত হয়ে তখনি ইসলাম গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়ে উচ্চ কন্ঠে ঘোষনা করলেন যে, আমি ইসলামে প্রবেশ করেছি এবং আমি এই কুরআনে বিশ্বাসী। [সুবহানাল্লাহ]

ডা. মরিস বুকাইলি ফ্রান্স ফিরে গেলেন এক ভিন্ন অবস্থায়। ফ্রান্সে ১০ বছর তিনি আর কোন ডাক্তারি প্রকটিস করেন নি বরং এই সময়ে তিনি আরবী ভাষা শিখেছেন আর পবিত্র কুরআনের   বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করেছেন। সব শেষে তিনি পবিত্র কুরআনের এই আয়াতটির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারলেন যাতে বলা আছেঃ
"“এতে মিথ্যার প্রভাব নেই, সামনের দিক থেকেও নেই এবং পেছন দিক থেকেও নেই। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।
” [আল-কুরআন; সুরাঃ ৪১, আয়াতঃ ৪২]

১৯৭৬ সালে ড. মরিস বুকাইলি বাইবেল, কুরআন এবং বিজ্ঞান” নামে একটি বই লেখেন যা পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের টনক নাড়িয়ে দেয়।যা বেস্ট সেলার হয়। যা প্রায় ৫০ টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে!এছাড়াও তিনি কোরানের উপর আরও একটি বই লেখেন এর নাম হল-আল কুরআন এক মহাবিস্ষয়।

আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এভাবে-ই হেদায়াত দান করেন। আল্লাহ আমাদেরকে ও কোরআন বোঝার ও তদানুযায়ী জীবন গড়ার তাওফীক দান করুক। আমীন।


Tuesday, May 30, 2017

★বিশিষ্ট পণ্ডিত ও হিন্দু ধর্মগুরু ড. শিবশক্তির ইসলাম গ্রহণের কাহিনী:

যদি আল্লাহ পাক কাউকে হেদায়াত দান করতে চান তবে কেউ তা রুখতে পারেনা। আর সে মূল্যবান হিদায়াত যদি মহান আল্লাহ পাক তার হাবীব হুজুর সা. এর দীদারের মাধ্যমে কাউকে দান করেন তবে তা যে কত বড় সৌভাগ্যের বিষয় তা সহজেই অনুমেয়। সে সৌভাগ্যশীল মানুষদের একজন হলেন ভারতের ৭০ কোটি হিন্দুর সাক্ষাৎ ভগবান ড. শিবশক্তি স্বরুপজি। হিদায়াতের নূর দ্বারা আলোকিত হয়ে পৃথিবীর সেরা আলোকিত মানুষে পরিণত হলেন ড. শিবশক্তি। তার ইসলাম গ্রহণের এ ঘটনায় সারা বিশ্ব বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিল। সারা দুনিয়ার স্বনামধন্য সব মিডিয়া তা গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছিল। তার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী যেকোন সত্যান্বেষী ও সত্যপ্রিয় মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। চলুন, শুনি সে স্বার্থক জীবনের অভূতপূর্ব কাহিনী।

১৯৮৬ সালের রমজান মাস। এ পবিত্র মাসেই ড. শিবশক্তি একটি স্বপ্ন দেখলেন। যে স্বপ্নটি তার জীবনকে পৌঁছে দিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। স্বপ্নটির সারসংক্ষেপ এমন যে, তিনি স্বপ্ন দেখার এক পর্যায়ে ভয়ে হাপাচ্ছেন আর দৌঁড়াচ্ছেন। এমন সময় তিনি তার সামনে এক নূরানী চেহারার সীমাহীন ব্যক্তিত্ববান এক মানুষকে দেখতে পেলেন, যিনি তাকে ভয় নেই বলে আশ্বস্ত করলেন এবং ড. সাহেবের কাছে এভাবেই  তার পরিচয় পেশ করলেন যে, আমিই শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সা.! সে স্বপ্নের মধ্যেই নবীজি সা. শিবশক্তিকে কালিমা পড়ার আহ্বান জানালেন এবং কালিমা স্বয়ং নিজেই পড়িয়ে দিলেন। এরপর থেকেই তিনি ইসলামকে মনে প্রাণে কবুল করে নিলেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে ড. ইসলামুল হক রাখলেন।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, ঠিক একই স্বপ্নটি তার বিদূষী স্ত্রী স্ত্রীমতি শ্রদ্ধাদেবীও দেখলেন, তিনিও কালিমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইসলামকে গ্রহণ করে খাদিজা হক নাম ধারণ করলেন। তাদের উচ্চশিক্ষিত গ্রাজুয়েট কন্যা শ্রীমতি অপরাজিতা দেবীও ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তার নাম রাখা হলো আয়েশা হক। তাদের আরেক কন্যাও স্বামীসহ ইসলাম গ্রহণের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন পিতার কাছে।

ড. সাহেব ভারতের বৃন্দাবনে জন্মগ্রহণ করেছেন। আর এ বৃন্দাবনেই হিন্দুদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম। হিন্দুসমাজ এ বৃন্দাবনকে তাদের পবিত্র তীর্থভূমি হিসেবে বিবেচনা করে। রাধা কৃষ্ণের লীলাভূমি নামেও এটি সারা পৃথিবীতে পরিচিত।

তিনি হিন্দু সমাজের নিকট এতই পূজনীয় ছিলেন যে,ভারতের হিন্দুসমাজ তার ব্যাপারে  মনে করত রাধা কৃষ্ণের এ লীলাভূমি বৃন্দাবনেই আরেক ভগবান জন্মগ্রহণ করে ‘শিবশক্তি’ নামধারণ করেছেন।

হিন্দুসমাজের এমন পূজনীয় ভগবান সমতুল্য শিবশক্তির ইসলাম গ্রহণের এ ঘটনায় ভারতীয় হিন্দুসমাজ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়। দুঃখে আর ক্ষোভে তাদের জ্ঞানীয় শক্তি লোভ পেয়ে যায়। ব্রাক্ষণ্যবাদের পতাকাবাহী এক শ্রেণীর সাম্প্রদায়িক লোক ড. শিবশক্তির বিরুদ্ধে মিছিল বের করে তার ফাসির দাবিতে উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে। তারা ‘নব ভারত টাইমস’ ‘নব ভারত সমাচার’ প্রভৃতি পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে নানা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে থাকে। ড. সাহেব সীমাহীন ধৈর্য আর সহিষ্ণুতার সাথে এ সমস্ত বিদ্বেষপূর্ণ প্রতিবেদনের জবাব দিয়েছেন তার লিখিত দুটি পুস্তক হিন্দি ভাষায় লিখিত ‘খোলাপত্র’ ও উর্দু ভাষায় লিখিত ‘লিজিয়ে আপ ভি সৌচিয়ে’ দ্বারা।

অপরদিকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত পৈতৃক আশ্রমের স্বর্ণসিংহাসনের মোহ ত্যাগ করে তিনি যখন ইসলামকে কবুল করেছেন তখন স্বাভাবিক ভাবেই পৃথিবীর সচেতন মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সারা জাহানের জ্ঞানী গুণীরা তাকে মোবারকবাদ জানিয়ে পত্র লিখতে থাকেন। তাদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোলাগার কথা জানান।

ড. শিবশক্তি উত্তর ভারতের মথুরা জেলার বৃন্দাবনে ১৯৩৬ সালে এক ঐতিহ্যবাহী মোহন্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তারা বংশানুক্রমেই সর্বস্বামী বা মোহন্ত। তার পিতার নাম প্রিতমদাস উদাসেন এবং মায়ের নাম ভানুমতি কর। তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সন্তান হলেন শিবশক্তি।

পিতার আশ্রমেই শিবশক্তি প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু করেন। পরে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অরিয়ান্টালিজম এ মাস্টার্স করেন। গুরু কুল কাংড়ি থেকে ‘আচারিয়া’ পদবি, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে বিশ্বের দশটি প্রধান ধর্মের উপর ডক্টরেট অব ডিভাইটিটি এবং অরিয়ান্টালিজম এ আরেকটি ‘পি এইচ ডি লাভ করেন।

পৃথিবীর বারটি ভাষায় তিনি পাণ্ডত্য অর্জন করেন। যার মধ্যে অন্যতম হলো ইংরেজি, সংস্কৃতি, গ্রিক, উর্দু, পালি, মারাঠি, গোরমুখি, গুজরাটি, আরবী প্রভৃতি ভাষা।

তিনি যখন ভ্যার্টিকানের পোপ পল-৬ এর বৃত্তি নিয়ে ইটালি যান তখন তাকে সেখানকার নাগরিকত্ব দেয়া হয়। পোপ জন পলের পক্ষ থেকে তাকে খৃষ্টধর্ম গ্রহনের আহব্বান জানালে তিনি তা উপেক্ষা করে ভারতে এসে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ভগবানের আসনে আরোহন করেন।

উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত মোহন্তগিরি পেশা ছিল তাঁর অঢেল তীর্থ উপার্জনের উৎস। অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগী অঢেল বিত্ত, সম্মান আর সেবাযত্নের  মোহ তাকে ধরে রাখতে পারেনি। কালিমার শ্বাশত আহবান তাকে বিমোহিত করতে সক্ষম হয়েছিল বিধায় তা সম্ভব হয়েছে।

আর্কষণীয় চেহারার শ্বেতশুভ্র চুল-দাড়িশোভিত ড. ইসলামুল হক বর্তমানে তাঁর ভাগ্যবতী স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে ভূপালের ১৫নং নীলম কলোনির একটি ভাড়া বাসার দোতলায় থাকেন। ভবনের পাশেই জাওয়াবিত মসজিদ। সেখানে তিনি ৫ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন। পাওয়ার থেরাপির আয়ুর্বেদ শাস্ত্র দ্বারা চিকিৎসার মাধ্যমে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁর জীবনে এতো প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও তিনি সীমাহীন নির্ভীক মানুষ। তিনি বলেছেন, এক আল্লাহকে ছাড়া কাউকে তিনি ভয় করেন না।
একজন সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিল যে, “ভারতীয় হিন্দুদের ভগবানের আসনে সমাসীন হবার সৌভাগ্য লাভ করেও আপনি কেন ইসলাম গ্রহণ করেছেন?

জবাবে ড. সাহেব বলেছিলেন, ‘আমি ভারতের আর ১০ জন হিন্দুর মত নই। আমি ব্যাপক পড়াশোনা করেছি। ভালো-মন্দ সম্পর্কে আমার যথেষ্ট জ্ঞান হয়েছে। বিশ্বের প্রধান ১০ টি ধর্মের উপর পড়াশোনা করে আমি অক্সফোর্ড থেকে পি. এইচ. ডি. ডিগ্রি লাভ করেছি। ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়েই আমি ইসলামের সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি। মানবীয় জীবন ব্যবস্থা হিসেবে একমাত্র ইসলামই শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করতে পারে। অন্য কোন ধর্মের এ দুঃসাহস নেই। ইসলামের সৌন্দর্য ও মানসিকতা আমাকে ইসলাম গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করেছে।

তাছাড়া গভীর রাতে হযরত মুহাম্মদ সা. আমাকে ও আমার বিদূষী স্ত্রীকে ইসলাম গ্রহনের নির্দেশও দেন। হাদীসের ভাষ্যনুযায়ী এ স্বপ্ন মিথ্যা হয়না। স্বপ্নযোগে হযরত মোহাম্মদ সা. এর দীদার কয়জনের ভাগ্যে জোটে?’ তিনি আরো বলেন, “নবীজি সা. এর নির্দেশ আমরা পালন করেছি মাত্র। কাজেই আমাদের ইসলাম গ্রহণ নিয়ে কোনরূপ প্রশ্ন তোলা ঠিক হবেনা বলে আমি মনে করি। ইসলাম গ্রহণ করতে পেরে আমরা নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। ” আল জান্নাত
১৪ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর


Friday, May 26, 2017

★রাসুল(সাঃ) চন্দ্র ও সূর্য গ্রহনের সময় উদ্বিগ্ন হওয়ার কারনঃ

 নাস্তিকেেরা প্রায় সময় উপহাস করে এই বলে যে, রাসুল(সাঃ) চন্দ্র ও সূর্য গ্রহনের সময় উদ্বিগ্ন হতেন যা একটি হাস্যকর বিষয়।
আসলে এটা তাদের জ্ঞানহীনতারই পরিচয় বহন করে।চন্দ্র ও সূর্য গ্রহনের প্রকৃত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানালে তারা কখনোই এ নিয়ে উপহাস করত না বরং নিঃসংশয়ে স্বাক্ষ দিয়ে দিত-

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্(সাঃ)!

একটু বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় যাচ্ছি চন্দ্র ও সূর্য গ্রহনের, যেন সবাই বুঝতে পারেন কেন রাসুল(সাঃ) এসময় উদ্বিগ্ন হতেন!

উদ্বিগ্নের কারনঃ

অভিকর্ষজ নিয়ম অনুযায়ী চন্দ্র ও সূর্য উভয়ই পৃথিবীর উপর বলীয় প্রভাব বিস্তার করে। আমরা জানি, অভিকর্ষ বল দুটি বস্তুর দূরত্বের বর্গের বিপরীতে হ্রাস পায়! পৃথিবী হতে সূর্যের দূরত্ব চন্দ্রের দূরত্বের ৪০০গুণ!  এই দূরত্বের কারনে সুবিশাল ভরসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও সূর্যের চাইতে চাদের অভিকর্ষ প্রতাপ পৃথিবীর উপর বেশি পড়ে। উভয় গোলকের অভিকর্ষ প্রভাবের প্রত্যক্ষ ফলাফলে সমুদ্রে জোয়ার -ভাটার সৃষ্টি হয়! বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী সূর্যের এই প্রভাবটি চাঁদের আকর্ষী বলের ৪৫ ভাগ।পৃথিবী চন্দ্রের কম দূরত্বের কারনে চাদ-পৃথিবী অভিকর্ষ শক্তি সূর্য-পৃথিবী অভিকর্ষ শক্তির চাইতে কম!

চাঁদ বা সূর্য যখন পৃথিবীকে আকর্ষন করে, এই আকর্ষী বলটি পৃথিবীকে সমস্ত বস্তু সমেত টেনে নিতে চায়! প্রকৃতির নিয়মের কারনে এটি সম্ভব হয়না। কঠিন বস্তুনিচয়ের উপরো এই বল কার্যকর হয়না---- বলটির প্রভাব যখন জলবিস্তারের উপর পড়ে,  তখন চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ জনিত টানের কারনে জলভাগ স্ফীত ও বলের দিকে নীত হতে চায়। বলটি এতটা শক্তিশালী নয় যে  ভূভাগের সমস্ত জলকে নিজের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু এর ততটা শক্তি রয়েছে যে বিপুল জলরাশীকে টেনে ধরে রাখতে সক্ষম। এই টানের দিকে জলের স্ফীত সৃষ্ট হয়। পৃথিবী গোলাকার এবং কঠিন ও অনড়, তাই এটানের প্রভাব ভূ-ভাগের সমস্ত জলরাশিতে পড়ে। ফলে জল বিস্তার স্থানচ্যুত হয়ে আসে বা আসতে চায়। ক্রমে ক্রমে জলীয় বলয়ে গতির সৃষ্টি হয় এবং জোয়ার আসে।
চাদের মত সূর্য ও পৃথিবীর জলরাশির উপর পৃথক একটি প্রভাব সৃষ্টি করে। যখন সূর্যের এই আকর্ষন চন্দ্রের আকর্ষণ রেখার উপর পতিত হয় বা সসমান্তরাল হয় তখন এই জোয়ারের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্য যখন মোটামোটি একই সরল রেখায় উপনীত হয়, তখন পৃথিবী জলীয়মন্ডলে যে প্রভাব পড়ে তাকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছে  Spring tide.
পূর্ণিমা বা অমাবস্যায় এই জোয়ার সৃষ্টি হয়।
প্রতিদিন আমরা যে জোয়ারের সাথে পরিচিত, অমাবস্যা বা পূর্ণিমায় সে জোয়ার অপেক্ষাকৃত অধিকতর প্রভাবশালী।

চাঁদ যদি গ্রহণী সমতলে অর্থাৎ সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে সূর্য- চাঁদ - পৃথিবী এই বিন্যাসে একটি সরল রেখায় উপনীত হয়, তখন চাঁদের পূর্ণ ছায়া পৃথিবীর উপর পতিত হয়। চাঁদ টি সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে এমনভাবে থাকে যে, সূর্য আড়াল হয়ে যায়। তখন যে গ্রহন হয় তা হল সূর্য গ্রহন।
চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের শূন্য লাইনে চলে আসে তখন তিন বস্তুর শক্তি ভেক্টরটি সূর্যের দিকে গতিমুখ করে থাকে। এই শক্তি ভেক্টরটি সাধারণত বেশি শক্তিশালী হয়। তখন কিন্তু সূর্য গ্রহন।আর এটি হতেপারে মহা সংকটকাল। ৩বস্তুর একত্রিত অভিকর্ষ শক্তি দূরে কোনো ধংসের আগন্তুককে ডেকে আনবার রাস্তাটি দেখিয়ে দেয়।
এই অবস্থাটি একটি অতিশয় নাজুক পরিস্থিতিরই নামান্তর, যা পরিণামে সর্বৈব ধংসের কারন হতে পারে।
সূর্যকে কেন্দ্র বিবেচনা করলে যে চিত্র আমরা প্রত্যক্ষ করতে পারি তা হলো----
এসটিরয়েড ও মিটিওর বেল্ট, শনির পাথুরে বেল্ট, ওল্ট ক্লাউড এইসব অঞ্চলের অভিশপ্ত  আগন্তুকগনের জন্য(যারা পৃথিবীর কক্ষপথ ছেদ করে) পৃথিবী হল সর্ব প্রথম লক্ষ বস্তু! কোন কারনে কোনো সময়ে সূর্য-চন্দ্র পৃথিবী লাইনে তৈরী হবার পর গতিটানের অনুকূল দিকে সন্তরণমান কোনো মহাকাশীয় বস্তু যদি ক্ষুদ্র কৌণিক দূরত্ব নিয়ে আপতিত হয়,তবে এ সর্বনাশের মখে পৃথিবী হল প্রথম পরিণামবাহী!
অতীতে পৃথিবীর সঞ্চালন তলকে যেসব গ্রহাণুরা ছেদ করে গেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ---- ইরোস ১৯৩১ সালে, ব্যাস ৩০ কিঃমিঃ।অ্যালবার্ট ১৯১১ সালে,ব্যাস ৫কিঃমিঃ।অ্যামোর ব্যাস ৮কিঃমিঃ। এছড়াও, এপোলো, অ্যাদোনিস ইত্যাদির আগমন ঘটেছিল ছিল । অনুরোপ ভাবে বিভিন্ন ধুমকেতুর আনাগোনা হয়েছে অতীতে।
এমনি একটি এসটিরয়েডের আঘাতে ৬কোটি ৫০লক্ষ বছর আগে যে বিপর্যয়ের সৃষ্ট হয়েছিল তার ফলে বিলুপ্ত হয়েছিল "ডাইনোসোরাস প্রজাতী"!!

প্রিয় ভাইয়েরা, এবার আপনারা বলুন চন্দ্র ও সূর্য গ্রহন আতংকের বিষয় নাকি উপভোগ করার বিষয়?

আজকের আধুনিক মুক্তমনাগণ যা জানেনা মহান রব ১৫০০ বছর আগেই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন তার প্রিয় হাবিবকে!! আর এজন্যই তিনি চন্দ্র ও সূর্য গ্রহনের সময় উদ্বিগ্ন হয়ে সবাইকে নিয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতে এবং আল্লাহ্‌র কাছে অনুগ্রহ ও দয়ার জন্য কান্নাকাটি করতেন!!
আল্লাহ্‌ আমাদের সবাই রাসুল(সাঃ) কথা ও কাজ  বুঝার ও জানার তওফিক দান করুন,আমিন!

Tuesday, May 16, 2017

★আল কোরআন আলোকে অতি পারমানবিক কনিকার অস্তিত্ব।::::

কাউকে যদি প্রশ্ন করা হয়, আমাদের মহাবিশ্বের
সবকিছু কি দিয়ে গঠিত? তাহলে সবাই বলবে, কেন পরমাণু দিয়ে গঠিত! যারা বিজ্ঞান সম্পর্কে
অল্পকিছু জানে তারা বলবে- ইলেকট্রন , প্রোটন আর নিউট্রন দিয়ে সকল পরমানু গঠিত, তাই সবকিছুই এই ইলেকট্রন-প্রোটন-নিউট্রন দিয়েই গঠিত। এতসব কথা আমরা জেনেছি সেটি কিন্তু খুব বেশি দিন আগে নয়।

দার্শনিক এরিস্টটল(৩৮৪-৩২২ খ্রিঃপূঃ) মনে করতেন, আমাদের মহাবিশ্বে যা কিছু আছে তা সবই “মাটি”, “পানি”, “আগুন” আর “বাতাস” এই চারটি মৌলিক জিনিস দিয়ে গঠিত। তিনি এমনই প্রভাবশালী দার্শনিক ছিলেন যে, তার মৃত্যুর পরও প্রায় দুই হাজার বছর মানুষ এই কথাই মেনে নিয়েছিল। তবে ভিন্ন মত যে একেবারেই ছিলনা তা নয়। ডেমোক্রিটাস নামে এক গ্রিক মনে করতেন ব্যাপারটি এমন নয়। তিনি ভাবতেন, কোন পদার্থকে ভাঙ্গলে দেখা যাবে এরা খুব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কনা দিয়ে গঠিত । তিনি আরও প্রস্তাব করেন যে, এসব কনাকে আর ভাঙ্গা যাবে না।তিনি এসব অবিভাজ্য কনার
নাম দেন এটম বা পরমানু।

কিন্তু এরিস্টটল বা ডেমোক্রিটাস কারও কথার পক্ষেই কোন প্রমান ছিল না। ১৯১১ সালে আর্নেস্ট রাদারফোর্ড নামে একজন পদার্থবিজ্ঞানী পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি পরমানু মডেল প্রস্তাব করেন ।পরবর্তীতে আরও
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেই মডেলের উন্নতি করা
হয়। আর একথাও প্রতিষ্ঠিত হয় যে, সকল পদার্থই পরমানু দিয়ে গঠিত; তবে এসব পরমানুও অবিভাজ্য নয়। পরমানুগুলো ইলেকট্রন, প্রোটন আর নিউট্রন নামে মৌলিক কনিকা দিয়ে গঠিত। প্রকৃতিকে প্রথমে যতটা সহজ সরল বলে ভাবা হয়েছিল, দেখা গেল ব্যাপারটা মোটেই সেরকম না।

বিজ্ঞানীরা দেখতে পেলেন, কোন সহজ উপায়েই
পরমানুর ভেতরে থাকা অতি-পারমানবিক কনাদের আচরন ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না। গবেষণা চলতেই থাকল। পরবর্তী গবেষণায় বেরিয়ে এল আরও আশ্চর্য তথ্য। প্রোটন, নিউট্রনকে আমরা যেমন অবিভাজ্য ও মৌলিক কনা বলে ভেবে এসেছি, সেগুলো আসলে অবিভাজ্য না। প্রোটন ও নিউট্রনগুলো “কোয়ার্ক” নামে এক ধরনের কনা দিয়ে গঠিত। তিনটি কোয়ার্ক মিলে তৈরি হয় একটি প্রোটন বা নিউট্রন। পার্টিক্যাল এক্সিলারেটরের ভিতর পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে ভেঙ্গে আরও অনেক অস্থায়ী অতিপারমানবিক কনিকার অস্তিত্ব পাওয়া গেল। তবে এরা সবাই কিন্তু পদার্থের কনিকা। এটুকু আমরা জানতে পারলাম, সকল প্রকার পদার্থ পরমাণু দিয়েই
গঠিত আর এসব পরমাণু বিভিন্ন অতি পারমানবিক কনা দিয়ে দিয়ে তৈরি।

সুতরাং বলা যায় যে, পরমানুকেও যে বিভক্ত করা যায় তা বিংশ শতাব্দীর আবিষ্কার। এই তথ্য ১৪০০ বছর আগে কারই জানা ছিল না।আর পরমানুকে আরবীতে অতি সাধারনভাবে  আরবীতেٍٍ ذَرَّةٍ বলা হয়। “ذَرَّةٍ” (জাররাহ) তথা পরমানু ছিল একটি সীমা যা কেউ অতিক্রম করতে পারত না।কিন্তু কোরআনের নিচের আয়াতটি “ذَرَّةٍ” বা পরমানু শব্দের এ সীমা স্বীকার করে না-
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لَا تَأْتِينَا السَّاعَةُ ۖ قُلْ بَلَىٰ وَرَبِّي لَتَأْتِيَنَّكُمْ عَالِمِ الْغَيْبِ ۖ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ وَلَا أَصْغَرُ مِن ذَٰلِكَ وَلَا أَكْبَرُ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
“কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু,না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে।”[৩৪:৩]
এ আয়াতে মহান আল্লাহর সর্বজ্ঞান, তার প্রকাশ্য ও গোপন সকল কিছুর জ্ঞানের দিকে ইঙ্গিত করে। তারপর এটি বলে যে, আল্লাহ্‌ তাআলা পরমানু অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর কিংবা বৃহত্তর সবকিছুর ব্যাপারেই সচেতন। এভাবে এ আয়াতটি সুস্পষ্টভাবে প্রমান করে যে পরমানুর থেকে ক্ষুদ্রতর কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকা সম্ভব।যে সত্যটি আধুনিক বিজ্ঞান দ্বারা অতি সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে।

Monday, May 15, 2017

হিন্দু ধর্মের দৃষ্টিতে নারীদের অবস্হান।

সনাতন হিন্দু ধর্মের তথাকথিত প্রগতিশীল লোকেরা সময়-সুযোগ পেলেই বড়াই করে বলে বেড়ান, হিন্দু ধর্মে না-কী নারীদের যথেষ্ট স্বাধীনতা-সম্মান দেয়া হয়েছে; নারীদের মাতৃজ্ঞানে এ ধর্মে পূঁজা করা হয়;হিন্দু নারীরা অন্যান্য ধর্মের তুলনায় অনেক বেশি প্রগতিশীল!
এ ধরনের বক্তব্য প্রচারের কারণ আছে; পশ্চিমা সামাজ্যবাদের বর্তমান চক্ষুশুল ইসলামি মৌলবাদ নিয়ে সারা বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো ব্যস্ত থাকায় ফাঁক দিয়ে সুযোগ বুঝে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের ধর্মকে প্রগতিশীল, যুগোপযুগী, নারী স্বাধীনতার পক্ষে—ইত্যাদি তকমা ব্যবহার (ব্রেনওয়াশ!) করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।

এ প্রবন্ধে আমি শুধুমাত্র প্রগতিশীল দাবিদার হিন্দুধর্মাবলম্বীদের দাবিগুলোর যথার্থতা নিরুপণের জন্য হিন্দু ধর্মীয় অনুশাসনগুলোর‘কিছু’ দৃষ্টান্ত হাজির করার চেষ্টা করবো। আমি মনে করি, এই ‘কিছু’, অনেক কিছু বোঝার জন্য যথেষ্ট।.এবার মূল আলোচনায় আসি। বলা হয়ে থাকে হিন্দুধর্মের মূল গ্রন্থ বেদ। এজন্য অনেকে হিন্দুধর্মকে বৈদিক ধর্ম হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন। হিন্দুধর্মের বেদ চারটি; যথা-
 ঋগবেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ ও যজুর্বেদ।
 যজুর্বেদ আবার দুই ভাগে বিভক্ত যথা-
 একটি হচ্ছে কৃষ্ণযজুর্বেদ বা তৈত্তরীয় সংহিতা
অন্যটি শুক্লযজুর্বেদ;
 এই শুক্লযজুর্বেদ আবার দুই ভাগে বিভক্ত।যথা-
একটি -শতপথ ব্রাহ্মণ
অন্যটি বৃহদারণ্যকোপনিষদ।
 শুক্লযজুর্বেদের অন্তর্গত শতপথ ব্রাহ্মণে নারীকে তুলনা করা হয়েছে এভাবে,
 “সে ব্যক্তিই ভাগ্যবান, যার পশুসংখ্যা স্ত্রীর সংখ্যার চেয়ে বেশি” (২/৩/২/৮)।
 শতপথ ব্রাহ্মণের এ বক্তব্যকে হয়তো দরদী ধর্মবাদীরা ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে যৌক্তিকতা দিতে চেষ্টা করবেন, কিন্তু পরের আরেকটি শ্লোকে পাওয়া যায় হিন্দু ধর্মের দৃষ্টিতে নারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থান;
 “বজ্র বা লাঠি দিয়ে নারীকে দুর্বল করা উচিৎ, যাতে নিজের দেহ বা সম্পত্তির উপর কোনো অধিকার না থাকতে পারে” (৪/৪/২/১৩)।
 এর থেকে স্পষ্ট কোনো বক্তব্যের আর প্রয়োজন আছে? বৃহদারণ্যকোপনিষদে ঋষি যাজ্ঞবাল্ক্য বলেন, “স্ত্রী স্বামীর সম্ভোগকামনা চরিতার্থ করতে অসম্মত হলে প্রথমে উপহার দিয়ে স্বামী তাকে‘কেনবার’ চেষ্টা করবে, তাতেও অসম্মত হলে হাত দিয়ে বা লাঠি দিয়ে মেরে তাকে নিজের বশে আনবে” (৬/৪/৭, ১/৯/২/১৪)।

 দেবীভাগবত-এ নারীর চরিত্র সম্পর্কে বলা আছে (৯:১): “নারীরা জোঁকের মত, সতত পুরুষের রক্তপান করে থাকে। মুর্খ পুরুষ তা বুঝতে পারে না, কেননা তারা নারীর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে পড়ে। পুরুষ যাকে পত্নী মনে করে,সেই পত্নী সুখসম্ভোগ দিয়ে বীর্য এবং কুটিল প্রেমালাপে ধন ও মন সবই হরণ করে।”
বাহ্! হিন্দুরা না-কি মাতৃজ্ঞানে দেবীর (দূর্গা, কালি,মনসা, স্বরসতী, লক্ষী) পূজা করে?.
হিন্দুধর্ম গ্রন্হে নারীদের জন্য মনু বেদসহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠের অধিকার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন,
 “নারীরা ধর্মজ্ঞ নয়, এরা মন্ত্রহীন এবং মিথ্যার ন্যায় (অশুভ)এই শাস্ত্রীয় নিয়ম” (মনুসংহিতা,৯/১৮)

 হিন্দুধর্মের ইতিহাসে সেই কুখ্যাত সতীদাহ বা সহমরণের কথা প্রথম জানা যায় অথর্ববেদে, “... জীবিত নারীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতের বধু হতে” (১৮/৩/৩);
 “এই নারী পতিলোকে যাচ্ছে, এ প্রাচীন রীতি অনুসরণ করছে...” (১৮/৩/৩/১)।
 এ প্রাচীন রীতি কত পুরানো?এটি আর্য না প্রাগার্য সংস্কৃতি? কারণ আমরা ইন্দো-ইয়রোপীয় অন্য সভ্যতাগুলিতে আমরা সহমরণের কথা তো পাই না। উত্তরগুলো আমার জানা নেই।
তবে পাঠক, আপনারা হয়তো ইতিহাস পাঠের কারণে জানেন, এই বাংলায় ১৮১৫ সাল থেকে ১৮২৮ সাল পর্যন্ত মাত্র তের বছরে ব্রাহ্মণ্যবাদীর দল পুণ্যলাভের আশায় আর নারীর সতীত্ব (?) রক্ষার ধুয়া তুলে ৮১৩৫ জন নারীকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে সতী বানিয়েছিল! তো, একটি নিরাপরাধ মেয়েকে টেনে-হিচড়ে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলছে, পাশে মা-বাবা,আত্মীয়স্বজন সকলে দাঁড়িয়ে ‘বল হরি বল’কীর্তন গেয়ে নিজেদের স্বর্গে যাবার আয়োজন করছে, ভাবতেই তো গা গুলিয়ে উঠে! মানুষ কী পরিমাণ পাষণ্ড-হারামি-ধর্মান্ধ হলে এরকম কাজ করতে পারে? ‘ধর্ম’ নামক আফিমীয় মাদক মানুষকে কতটুকু নিবোর্ধ-মানবিকতাশূণ্য বানিয়ে দেয়, তারই উদাহরণ হতে পারে উপমহাদেশের এই সতীদাহ প্রথা।

★মনুসংহিতা এবং নারী :
                     হিন্দু আইনের মূল উৎস হচ্ছে এই ‘মনুসংহিতা’ এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছেও এটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হিসেবে বিবেচ্য। এই ধর্মগ্রন্থে নারীর কর্তব্য সম্পর্কে বলা হয়েছে,
 “বৈবাহিকো বিধিঃ স্ত্রীণাং সংস্কারো বৈদিকঃ স্মৃতঃ/পতিসেবা গুরৌ বাসো গৃহার্থোহগ্নিপরিক্রিয়া॥” (২:৬৭), অর্থাৎ স্ত্রীলোকদের বিবাহবিধি বৈদিক সংস্কার বলে কথিত, পতিসেবা গুরুগৃহেবাস এবং গৃহকর্ম তাদের (হোমরূপ) অগ্নিপরিচর্যা; সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্যই নারী এবং সন্তান উৎপাদনার্থে পুরুষ সৃষ্টি হয়েছে (৯:৯৬)।
 যে সকল নারী একদা বৈদিক মন্ত্র-শ্লোক পর্যন্ত রচনা করেছিলেন, তাদের উত্তরসূরীদের জন্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত-অমন্ত্রক (২:৬৬
); নারী মন্ত্রহীন, অশুভ (৯:১৮)।
কন্যা, যুবতী,রোগাদি পীড়িত ব্যক্তির হোম নিষিদ্ধ এবং করলে নরকে পতিত হয় (১১:৩৭)!
 স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে বলা হয়েছে
 (৫:১৫৪) “বিশীলঃ কামবৃত্তো বা গুণৈর্বা পরিবর্জিতঃ/উপচর্যঃ স্ত্রিয়া সাধ্ব্যা সততং দেববৎ পতিঃ॥”
 বাংলা করলে দাঁড়ায়, স্বামী দুশ্চরিত্র, কামুক বা নির্গুণ হলেও তিনি সাধ্বী স্ত্রী কর্তৃক সর্বদা দেবতার ন্যায় সেব্য। পরবর্তী শ্লোকে রয়েছে,
কোনো নারী (স্ত্রী) যদি স্বামীকে অবহেলা করে, ব্যভিচারিণী হলে সংসারে তো নিন্দিত হবেই সাথে-সাথে যক্ষা, কুষ্ঠ ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়,শুধু তাই নয় পরজন্মে শৃগালের গর্ভে জন্ম নিবে সেই নারী (৫:১৬৩-১৬৪)।

 স্ত্রীদের জন্য স্বামী ছাড়া পৃথক যজ্ঞ নেই, স্বামীর অনুমতি ছাড়া কোনো ব্রত বা উপবাস নেই, শুধু স্বামীর সেবার মাধ্যমেই নারী স্বর্গে যাবে (৫:১৫৫)।
 সাধ্বী নারী কখনো জীবিত অথবা মৃত স্বামীর অপ্রিয় কিছু করবেন না (৫:১৫৬)।
 স্বামী মারা গেলে স্ত্রীদের কি করতে হবে
“কামন্তু ক্ষপয়েদ্দেহং পুস্পমূলফলৈঃ শুভৈঃ/ন তু নামাপি গৃহ্নীয়াৎ পত্যৌ প্রেতে পরস্য তু॥” (৫:১৫৭), সহজ ভাষায় বাংলা করলে হয়, স্ত্রী সারা জীবন ফলমূল খেয়ে দেহ ক্ষয় করবেন, কিন্তু অন্য পুরুষের নামোচ্চারণ করবেন না।
 কিন্তু স্ত্রী মারা গেলে স্বামী কি করবেন,
 “ভার্যায়ৈ পূর্বমারিণ্যৈ দত্ত্বাগ্নীনন্ত্যকর্মণি/পুনর্দারক্রিয়াং কুর্যাৎপুনরাধানমেব চ॥” (৫:১৬৮),
 এই শ্লোকেরও বাংলা শুনুন, দাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ করে স্বামী আবার বিয়ে এবং অগ্ন্যাধ্যান করবেন।

 সত্যি! নারী-পুরুষের মধ্যে কী চমৎকার সমতা!! কেহ কেহ বলেন, ‘মনুবাদ’ থেকেই না-কি ‘মানবতাবাদ’ এসেছে! দারুন! ধন্য মোরা মনুর প্রতি! আবার এই ‘মনুবাদ’না-কী হিন্দু আইনের উৎস! নারীর গুণাবলী নিয়ে মনু বলেন,
 নারীর কোনো গুণ নেই, নদী যেমন সমুদ্রের সাথে মিশে লবনাক্ত (সমুদ্রের গুণপ্রাপ্ত) হয়, তেমনই নারী বিয়ের পর স্বামীর গুণযুক্ত হন (৯:২২)।
 নারীর স্বাধীনতা সম্পর্কে মনুর সংহিতাতে বলা আছে : “অস্বতন্ত্রাঃ স্ত্রিয়ঃ কার্য্যাঃ পুরুষৈঃ স্বৈর্দ্দিবানিশম্/ বিষয়েষু চ সজ্জন্ত্যঃ সংস্থাপ্যা আত্মনো বশে॥” (৯:২), অর্থাৎ স্ত্রীলোকদের স্বামীসহ প্রভৃতি ব্যক্তিগণ দিনরাত পরাধীন রাখবেন, নিজের বশে রাখবেন...;
পিতা রক্ষতি কৌমারে ভর্ত্তা রক্ষতি যৌবনে/রক্ষতি স্থবিরে পুত্রা ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি॥” (৯:৩) অর্থাৎ স্ত্রীলোককে পিতা কুমারী জীবনে, স্বামী যৌবনে ও পুত্র বার্ধক্যে রক্ষা করে; (কখনও) স্ত্রীলোক স্বাধীনতার যোগ্য নয়।

 এখন যারা (সনাতনবাদীরা) নারীমুক্তির বিষয়ে নিজ ধর্মের পক্ষে সাফাই গান, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, এই শ্লোক দেখে তারা কী ব্যাখ্যা দেবেন? নিশ্চয়ই আমতা আমতা করে ছলনা-শঠতার মাধ্যমে যৌক্তিকতা (বাস্তব উপযোগিতা) দানের চেষ্টা করবেন, কিংবা অস্বীকার করে বসবেন, আদৌ এ ধরনের কোনো শ্লোক কোথাও নেই! নারী সম্পর্কে ঘৃণ্য দৃষ্টিভঙ্গি ছড়িয়ে আছে সমগ্র মনুসংহিতা জুড়েই; নারীনিন্দায় মনুসংহিতা শ্লীলতার সীমা অতিক্রম করে গেছে।
 মনুর দৃষ্টিতে নারী স্বভাবব্যভিচারিণী, কামপরায়ণা; কাম, ক্রোধ,পরহিংসা, কুটিলতা ইত্যাদি যত খারাপ দোষ আছে, সবই নারীর বৈশিষ্ট্য, এসবই দিয়ে নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে! তবু সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এসব কিছুই নজরে আসে না, তাঁরা উদয়-অস্ত খুঁজে বেড়ান ইসলামধর্ম, নারীদের কোন্ অধিকার দিয়েছে, আর কোন্ অধিকার দেয়নি!
 আলোচনায় মশগুল কোথায় কোন মুসলিম দেশে নারীদেরকে পাথর ছুড়ে হত্যার ফতোয়া দেয়া হল, বোরকা চাপিয়ে দেয়া হল,কিংবা কোথায় হিল্লা বিয়েতে নারীকে বাধ্য করা হল! এ নিয়েই তাদের মাথা-ব্যাথা! হিন্দুধর্মের এমন স্ববিরোধী, মানবতাবিরোধী, নারী-বিদ্বেষী চরিত্র জানার পরও কোন্ যুক্তিতে হিন্দুধর্মকে আধুনিক-প্রগতিশীল দাবি করা হয়? নারীর প্রতি এতো বিদ্বেষ, হিংসা, ঘৃণা আর কোনো ধর্মে আছে কি-না আমার জানা নেই?

 ধর্মগুরু, ঈশ্বরতুল্য মনু ঠিক কী পরিমাণ নারী-বিদ্বেষী হলে বলতে পারেন :
 “নৈতা রূপং পরীক্ষন্তে নাসাং বয়সি সংস্থিতিঃ/সুরূপং বা বিরূপং বা পুমানিত্যেব ভুঞ্জতে॥“ (৯:১৪), অর্থাৎ“যৌবনকালে নারী রূপ বিচার করে না, রূপবান বা কুরূপ পুরুষ মাত্রেই তার সঙ্গে সম্ভোগ করে।”
 (বাহ্! মনে হয় তাদের নিজেদের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র!);
 আসুন, একই রকম আরেকটি মনুর শ্লোক দেখি “স্বভাব এস নারীনাং নরাণামিহ দূষণম্/অতোহর্থান্ন প্রমাদ্যন্তি প্রমদাসু বিপশ্চিতঃ॥” (২:২১৩) অর্থাৎ “নারীর স্বভাবই হলো পুরুষদের দূষিত করা...”!

 ★মহাভারত এবং নারী :
                     সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে আরেকটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে মহাভারত;যদিও ইদানীং অনেকে একে মহাকাব্য হিসেবে বিবেচনা করেন, তবে বেশিরভাগ ধর্মাবলম্বীদের কাছে ধর্মগ্রন্থ হিসেবে ‘মহাভারতের কথা অমৃতসমান’ বিবেচিত হয়। পণ্ডিতেরা বলেন মহাভারতের রচনাকাল খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে খ্রিস্টাব্দ চতুর্থ শতকের মধ্যে এবং কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের কাল (যদি বাস্তবে কখনো সে যুদ্ধ ঘটে থাকে) মোটের উপর খ্রিস্টপূর্ব নবম শতক।
 মহাভারতেও নারী সম্পর্কে মনুসংহিতার প্রভাব পড়েছে তীব্রভাবে, এসেছে নারী সম্পর্কে অনেক হীন বক্তব্য; যার সামান্য কয়েকটি আগ্রহীদের জন্য তুলে ধরা হচ্ছে : মহাভারতের অসংখ্য চরিত্রের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হচ্ছে ভীষ্ম, তাঁর মধ্যেও স্পষ্টরূপে মনুর ছায়া পরিলক্ষিত হয়
, তিনি বলেন (১৩/৩৮),
 “উহাদের (স্ত্রীলোকদের) মত কামোন্মত্ত আর কেহই নাই। ... কাষ্ঠরশি যেমন অগ্নির, অসংখ্য নদীর দ্বারা যেমন সমুদ্রের ও সর্বভূত সংহার দ্বারা অন্তকের তৃপ্তি হয় না, তদ্রুপ অসংখ্য পুরুষ সংসর্গ করিলেও স্ত্রীলোকের তৃপ্তি হয় নাধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরও গুরু ভীষ্মের মতোই,তাঁর মুখেও শোনা যায় তীব্র নারীনিন্দা,
 “উহারা (নারীরা) ক্রিয়া-কৌতুক দ্বারা পুরুষদিগকে বিমোহিত করে। উহাদিগের হস্তগত হইলে প্রায় কোনো পুরুষই পরিত্রাণ লাভ করিতে পারে না।গাভী যেমন নূতন নূতন তৃণভক্ষণ করিতে অভিলাষ করে, তদ্রুপ উহারা নূতন নূতন পুরুষের সহিত সংসর্গ করিতে বাসনা করিয়া থাকে” (১৩/৩৯)।
 আবারো পঞ্চপাণ্ডবের মহাজ্ঞানী পিতামহ ভীষ্মের উপলব্ধি,
 “মানুষের চরিত্রে যত দোষ থাকতে পারে,সব দোষই নারী ও শূদ্রের চরিত্রে আছে।জন্মান্তরীয় পাপের ফলে জীব স্ত্রীরূপে (শূদ্ররূপেও) জন্মগ্রহণ করে” (ভীষ্মপর্ব ৩৩/৩২);
 “স্ত্রীগণের প্রতি কোন কার্য বা ধর্ম নেই। (কারণ) তারা বীর্যশূণ্য,শাস্ত্রজ্ঞানহীন।” (অনু, ১৩/৩৯)
এরপরেও নাকি মহাভারতের কথা অমৃতসমান!
 (সূত্র : মনুসংহিতা ও নারী, পৃষ্ঠা ৭২-৭৬)
 “তুলাদণ্ডের একদিকে যম,বায়ু, মৃত্যু, পাতাল, দাবানল, ক্ষুরধার বিষ, সর্প ও বহ্নিকে রেখে অপরদিকে নারীকে স্থাপন করিলে ভয়ানকত্বে উভয়ে সমান-সমান হবে” (অনুশাসনপর্ব ৩৮)।

 ব্রাহ্মণ্যধর্মের ‘সম্পূর্ণ ধর্মগ্রন্থ’ রূপেই এখন গীতার স্থান; এবং কারো কারো কাছে আধুনিক ধর্মগ্রন্থ! গীতাকে বলা হয়, শ্রীভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী, ভগবদগীতা। কিন্তু এই গীতাতেও দেখি ভগবানের কণ্ঠে মনুর বক্তব্য! শ্রীমদ্ভগবদগীতায় পঞ্চপাণ্ডবের শ্রেষ্ঠ বীর শ্রীমান অজুর্নের মুখে শুনি—
 “অধর্মাভিভাবাৎ কৃষ্ণ প্রদুষ্যন্তি কুলস্ত্রিয়ঃ/স্ত্রীষু দুষ্টাসু বার্ষ্ণেয় জায়তে বর্ণসঙ্করঃ॥”(গীতা, ১:৪০)
 অর্থাৎ “হে কৃষ্ণ, অধর্মের আবির্ভাব হলে কুলস্ত্রীরা ব্যভিচারিণী হয়। হে বার্ষ্ণেয়, কুলনারীগণ ব্যভিচারিণী হলে বর্ণসংকরের সৃষ্টি হয়”।
 এর পরেই বর্ণসঙ্কর সৃষ্টি হলে কি হয়, তারও উত্তর রয়েছে :
“সঙ্করো নরকায়ৈব কুলনাং কুলস্য চ/পতন্তি পিতরো হ্যেষাং লুপ্তপিণ্ডোদকক্রিয়াঃ॥” (গীতা,১:৪১)
 অর্থাৎ বর্ণসঙ্কর, কুলনাশকারীদের এবং কুলের নরকের কারণ হয়। শ্রাদ্ধ-তর্পণাদি ক্রিয়ার লোপ হওয়াতে ইহাদের পিতৃপুরুষ নরকে পতিত হয়।”
 এই উক্তিগুলো পঞ্চপাণ্ডবের এক ভাই অর্জুনের; মেনে নিচ্ছি ভগবদগীতায় শ্রী ভগবানের উক্তিই প্রামাণ্য, অর্জুনের নয়।
কিন্তু এ প্রসঙ্গে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের বক্তব্য খণ্ডন তো করেনই নি, বরঞ্চ সে বক্তব্যকে পুরোপুরি সমর্থন করে এবং অর্জুনকেও ছাড়িয়ে গিয়ে নারীদের ‘পাপযোনি’বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন :
 “মাং হি পার্থ ব্যপাশ্রিত্য যেহ্যপি স্যুঃ পাপযোনয়ঃ/স্ত্রিয়ো বৈশ্যাস্তথা শূদ্রাস্তেপি যান্তি পরাং গতিম্॥” (গীতা,৯:৩২) অর্থাৎ “আমাকে আশ্রয় করে স্ত্রী, বৈশ্য, শূদ্র এসব পাপযোনিরাও পরম গতি লাভ করে থাকে”।

এরপরই দয়ময় ভগবান ব্রাহ্মণ ও রাজর্ষিদের ভক্তিতে গদগদ হয়ে বলেন :
 “কিং পুনর্ব্রাহ্মণাঃ পুণ্যা ভক্তা রাজর্ষয়স্তথা/অনিত্যমসুখং লোকমিমং প্রাপ্য ভজস্ব মাম্॥” (৯:৩৩) অর্থ হচ্ছে “পুণ্যশীল ব্রাহ্মণ ও রাজর্ষিগণ যে পরম গতি লাভ করিবেন তাহাতে আর কথা কি আছে?
অতএব আমার আরাধনা কর। কারণ এই মর্তলোক অনিত্য এবং সুখশূণ্য।

” পাঠক, বত্রিশ নম্বর শ্লোকে লক্ষণীয় যে,নারীর সাথে বৈশ্য ও শূদ্ররা পাপযোনিভুক্ত, শুধু ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় বাদে! কিন্তু নারী যদি কোনো ব্রাহ্মণের মেয়ে হয় তবুও সে ভগবানের দৃষ্টিতে পাপযোনিভুক্ত। বুঝা যাচ্ছে, ভগবানের কাছে নারীর আলাদা কোনো জাত বা বর্ণ নেই; সব নারীই পাপযোনিভুক্ত। কিন্তু খটকা লাগে, কোনো ব্যক্তির নিজের জন্মের উপর নিজের কি কোনো হাত থাকতে পারে? যদি হাত নাই থাকে, তবে নারী,বৈশ্য, শূদ্ররা পাপযোনিভুক্ত হয় কী করে? তাছাড়া এ ধরনের নোংরা বক্তব্য কী কোনো ধর্মগ্রন্থে থাকতে পারে?
এ ধরনের নোংরা বাণী এখানেই শেষ নয়, আরো আছে; প্রচুর পরিমাণে আছে।
নারীদের নিয়ে হিন্দু ভগবান থেকে শুরু করে মুনি-ঋষি, ঠাকুর-পুরোহিত, রাজন্যবর্গ কারোর-ই চিন্তার শেষ নেই। নারী অমুক, নারী তমুক! অনেকেই ভাবতে পারেন, হিন্দুধর্মের দৃষ্টিতে নারী বোধহয় কখনোই ভালো নয়? না, না। এরকমটি নয়। হিন্দু মুনি-ঋষিরা ভালো নারী-ধর্মচারী নারীর বৈশিষ্ট্য ঠিক করে দিয়েছেন!
তাদের দৃষ্টিতে সতী-সাধ্বী-ধর্মচারিণী হচ্ছে—
 “ন চন্দ্রসূর্যৌ ন তরুং পুন্নাুো যা নিরীক্ষতে/ভর্তৃবর্জং বরারোহা সা ভবেদ্ধর্মচারিণী॥ (মহাভারত, ১২/১৪৬/৮৮) অর্থাৎ “যে নারী স্বামী ব্যতীত কোনো পুংলিঙ্গান্ত (নামের বস্তু), চন্দ্র, সূর্য,বৃক্ষও দর্শন কওে না, সে-ই ধর্মচারিণী।” ওরেবাব্বা! দেখলেন তো! ধর্মচারিণী হতে হলে কি কি গুণ থাকা প্রয়োজন? এতো দেখি পর্দাপ্রথা থেকেও চূড়ান্ত ও উন্মত্ত সংস্করণ!

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এরপরেও কোন মুখে দাবি করেন, তাদের ধর্ম প্রগতিশীল, তাদের ধর্মে নারী সম্পর্কে কোনো বাজে ধারণা নেই? না জেনে দাবি করে বসলে আমার কিছু বলার নেই? কিন্তু জেনে-শুনে যারা এগুলো গোপন করে নিজেদের ধর্ম যুগোপযুগী,নারী-মুক্তির পক্ষে কিংবা নারী-মুক্তি হিন্দু ধর্মেই রয়েছে বলে সাফাই গান, তাদের জন্য বাংলা ভাষায় একটা ভদ্র শব্দ প্রচলিত আছে, তা হল‘চশমখোর’!

হিন্দুধর্ম নারীকে বিন্দুমাত্র মানুষের মূল্য দেয় না; নারী শুধুমাত্র পণ্য, নারীর নিজস্ব কোনো অধিকার নেই, নেই স্বাধীনতা; এখনো হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিয়ের সময় কন্যাদান করা হয় পুরুষের (স্বামী/প্রভু) কাছে যজ্ঞ-মন্ত্র ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতা মেনেই। বৈদিকযুগ থেকেই বিয়ের সময়ই কন্যাদান নয়, অহরহই যে কোনো অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে ক্ষত্রিয় রাজা বা ঠাকুর-পুরোহিত-ব্রাহ্মণদের মনোরঞ্জনের জন্য নারীদের দান করা হতো, দেখুন পবিত্র মহাভারতের কিছু নমুনা : মহাভারতের কথিত শ্রেষ্ঠ সত্যবাদী যুধিষ্ঠির নিজেও যজ্ঞে-দানে-দক্ষিণায় বহুশত নারীকে দান করে দিতেন অবলীলায় অতিথিরাজাদের আপ্যায়নে (আশ্বমেধিকপর্ব ৮০/৩২, ৮৫/১৮)!
 রাজাদের লালসার তো শেষ নেই! শুধু ক্ষত্রিয় রাজারা ভোগের জন্য নারী পেলে তো হবে না, অমৃতের সন্তান ব্রাহ্মণেরা কী দোষ করলো তবে! চিন্তার কিছু নেই, ওদের জন্যও ব্যবস্থা আছে। শ্রাদ্ধের-দক্ষিণার তালিকাতে পুরোহিত ব্রাহ্মণদের নারী দান করার বিধান রয়েছে,
দেখুন : আশ্রমবাসিকপর্ব ১৪/৪, ৩৯/২০, মহাপ্রস্থানপর্ব ১/৪, স্বর্গরোহণপর্ব ৬/১২,১৩।

 যাহোক, এই ইহজগতে না হয় দুদর্মনীয় কামভোগের একটা ব্যবস্থা করা গেল, কিন্তু মৃত্যুর পর কী হবে? মরণের পরেও তো সুখ-শান্তির ব্যবস্থা থাকা চাই। চিন্তা নেই, তারও রেডিমেড ব্যবস্থা আছে। যুদ্ধক্ষেত্রে বীরের মতো যুদ্ধ করে মারা গেলে স্বর্গে পাওয়া যাবে অসংখ্য সুন্দরী নারী।প্রমাণ চাই তো নিশ্চয়ই!
দেখুন : বনপর্ব ১৮৬-১৮৭
,কর্ণপর্ব ৪৯/৭৬-৭৮,
শান্তিপর্ব ৬৪/১৭, ৩০; ৯৬/১৮,১৯, ৮৩, ৮৫, ৮৬, ৮৮, ১০৬ রামায়ণের অযোধ্যাকাণ্ড ৭১/২২, ২৫, ২৬, সুন্দরকাণ্ড ২০/১৩।
(সূত্র : প্রাচীন ভারত সমাজ ও সাহিত্য,পৃষ্ঠা ৬৩)
 নারীর জন্য নয় কোনো ধর্মগ্রন্থ :

পাঠক, এবার আলোচনায় ইতি টানতে হচ্ছে। অনেকক্ষণ ধরেই তো দেখলেন-পড়লেন হিন্দুধর্মীয় অনুশাসনগুলো।কি মনে হয়? এই ধর্মীয় অনুশাসনগুলো কী নারীদের পক্ষে, কিংবা ওগুলোতে কি নারীদের প্রতি ইতিবাচক কোনো বক্তব্য আছে? (অস্বীকার করছি না, কোথাও কোথাও হয়তো ভাসা-ভাসা আছে, কিন্তু সার্বিকভাবে দেখলে, কখনোই বলা যাবে না, হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলো নারীদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে) কেউ কেউ হয়তো পুরানো সেই ভাঙা রেকর্ড ‘ভগবানের কাছে নারী-পুরুষ সবই সমান’ বাজিয়ে বলবেন ওগুলো এক-আধটু সব ধর্মেই আছে, এতে দোষের কিছু নেই! এসব কথা শুনলে বড্ড হাসি পায়; করুণা হয় সনাতনপন্থীদের প্রতি!
সনাতনপন্থীদের কথা এবার বাদ দেই, অনেকে হয়তো ভাবছেন, নারীর প্রতি এতো অবমাননা, অশ্লীল বক্তব্য থাকার পরও নারীরা এ হীন অবস্থানকে মেনে নিলেন কেন?প্রশ্নটা আমাকেও ভাবিয়েছে অনেকদিন। আমার ক্ষুদ্রবুদ্ধিতে মনে হয়, তৎকালীন পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা শুধু এগুলোকে ধর্মীয়-বিধান বলেই মানতে বাধ্য হয়েছিলেন; না হলে নির্ঘাত বিদ্রোহ হত।

সেকালে নারীরা কোনো ধরনের শিক্ষা পাননি;খুব পরিকল্পিতভাবেই তাদেরকে ধর্মগ্রন্থ এবং অন্যান্য জ্ঞানার্জন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। নারীর সবরকম মানবিক ও সামাজিক অধিকারকে অস্বীকার করে পুরুষদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল ভোগের জন্য আর সন্তান উৎপাদনের জন্য; তবে সে সন্তান হতে হবে ছেলে।মেয়ে জন্মের পরই মাথায় ঢুকানো হত‘জন্মান্তরবাদ’ ও ‘কর্মবাদ’-এর তত্ত্ব। মনুর মতো শাস্ত্রকাররা নারীদের বুঝাতেন, নারীর জন্ম হল আজন্ম পাপের ফল...! মনুসংহিতাসহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ করলে বোঝা যায়, ব্রাহ্মণপুরুষ কর্তৃক রচিত ওগুলো একেকটা ‘পুরুষসংহিতা’; নারীদের (যে বর্ণের হোক) জন্য নয় ওগুলো।

  ★সহায়ক গ্রন্থপঞ্জি:
 (১) সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (ভূমিকা, অনুবাদ,টীকা), ২০০২, মনুসংহিতা, আনন্দ পাবলিশার্স,কলকাতা।
 (২) শ্রী জগদীশচন্দ্র ঘোষ (সম্পাদিত), ১৯৯৭,শ্রীমদ্ভগবদগীতা, প্রেসিডেন্সী লাইব্রেরী, কলকাতা।
 (৩) কল্যাণী বন্দ্যোপাধ্যায়, ১৯৯৮, ধর্ম ও নারী,এলাইড পাবলিশার্স, কলকাতা।
 (৪) কঙ্কর সিংহ, ২০০৫, মনুসংহিতা ও নারী,র‌্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন, কলকাতা।
 (৫) সুকুমারী ভট্টাচার্য, ২০০২, প্রাচীন ভারত সমাজ ও সাহিত্য, আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা।
 (৬) সা’দ উল্লাহ্, ২০০২, নারী অধিকার ও আইন,সময় প্রকাশন, ঢাকা।
 (৭) মাহমুদ শামসুল হক, ১৯৯৬, নারীকোষ,তরফদার প্রকাশনী, ঢাকা।
 (৮) প্রবীর ঘোষ, ১৯৯৪, যুক্তিবাদের চোখে নারী-মুক্তি, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা।