This blog related islamic lecture,islamic essay,islamic debate and other islamic activities.
Monday, September 12, 2016
ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুন একটি মহাপাপ।
★★হস্তমৈথুন করার অপকারিতা।★★
------------------------------------------------------
হস্তমৈথুন করা এমন একটি কমন সমস্যা যে সমস্যাটিতে বর্তমান বিশ্বের বহু মানুষ আক্রান্ত।অথচ এ কাজটি ইসলামে যেভাবে নিষিদ্ব তদ্রুপ চিকিৎসাবিজ্ঞানেও নিষিদ্ধ। নিচে এ কাজটির অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-
★হস্তমৈথুনের জাগতিক অপকারিতা:
হস্ত মৈথুনের জাগতিক অনেক অপকারিতা অনেক।যথা-
*পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যে্সব
সমস্যায় ভুগতে পারে তার মধ্যে একটি
হল নপুংসকতা (Impotence)।অর্থাৎ ব্যক্তি যৌন
সংগম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায়।পুরুষ
হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে
নপুংসক(Impotent)হয়ে যায়।
*আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত(Premature
Ejaculation)।অর্থাৎ খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত
ঘটে।ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট
করতে অক্ষম হয়।বৈবাহিক সম্পর্ক
বেশিদিনস্থায়ী হয় না।
*আরো একটি সমস্যা হল Temporary
Oligospermia।Oligospermia হলে বীর্যে
শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়।তখন বীর্যে শুক্রাণুর
সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম।[২ কোটি]।যার ফলে
Male infertility দেখা দেয়।অর্থাৎ সন্তান
জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয়। একজন
পুরুষ যখন স্ত্রী গমন করেন তখন তার
থেকে যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে
শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত।স্বাস্থ্যবিজ্ঞান
মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির
কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে
কোন সন্তান হয় না।
*অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল
করে দেয়।Dr.Liu বলেন-"There is a huge
change in body chemistry when
one masturbates excessively"
*আর শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতি হয়--
Nervous system,heart,digestive system,urinary
system এবং আরো অন্যান্য system ক্ষতিগ্রস্ত
হয় ।
*পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর
রোগ-বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায়।
*চোখের ক্ষতি হয়।
*স্মরণ শক্তি কমে যায়।
*মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয়
হস্তমৈথুনের কারণে।
*আরেকটি সমস্যা হল Leakage of semen।অর্থাৎ
সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরলপদার্থ
বের হয়।ফলে অনেক মুসলিম ভাই নামায পড়তে
পারেন না।মহান আল্লাহ্ তা'আলার স্মরণ থেকে
মুসলিমদের দূরে রাখে হস্তমৈথুন।
* আর কোন
নারী যখন স্বমেহন বা হস্তমৈথুন করে তখন
তারHymen(fold of mucous membrane partly
closing the vagina in a virgin) break হওয়ার
সম্ভাবনা বেড়ে যায়।অর্থাৎ তার কুমারীত্ব
(Virginity)হারানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
অনেকে স্বমেহন করতে গিয়ে কুমারীত্ব
হারিয়ে ফেলে।ফলে তার বিয়ে করতে
সমস্যা হয়।বিয়ের পর স্বামী তার এ অবস্থা
দেখে তাকে সন্দেহ করে তালাক দেয়।তাই
হস্তমৈথুন নারীদের অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি
করে।
★ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুনের অপকারিতা।
*আল্লাহ তা’আলার দেয়া বীর্যক্ষয় করার জন্য যে ব্যক্তি
হস্তমৈথুনের চর্চা করে বা অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তখন তার
সেই অঙ্গ পরকালে সাক্ষী দেবে। আল্লাহ তা’আলা
বলেনঃ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﻧَﺨْﺘِﻢُ ﻋَﻠَﻰٰ ﺃَﻓْﻮَﺍﻫِﻬِﻢْ ﻭَﺗُﻜَﻠِّﻤُﻨَﺎ ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ ﻭَﺗَﺸْﻬَﺪُ ﺃَﺭْﺟُﻠُﻬُﻢ ﺑِﻤَﺎ
ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻜْﺴِﺒُﻮﻥَ [ ٣٦: ٦٥ ]
“সেই দিন আমি তাদের মুখের উপর মোহর মেরে দেব,
বরং তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে, আর তাদের পা
সাক্ষ্য দেবে যা তারা অর্জন করত সে-সন্বন্ধে। ” -
(৩৬:৬৫)
*এছাড়াও আল্লাহ্ তা'য়ালা আরও বলেন,
"মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং
তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব
পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত
আছেন। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের
দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত
করে।" (২৪:৩০-৩১)
*হাদীস শরীফে বলা আছে,
রসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন-“যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই
চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুইপায়ের
মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের)
নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে আমি তার বেহেশতের
নিশ্চয়তা দিব । ” –(বুখারী, মিশকাত)
*উক্ত হাদিস থেকে প্রমানিত হচ্ছে, এ দু’টো অঙ্গ
পাপের জন্য খুব সুবিধার। যদি কোন ব্যক্তি এ দু’টো
অঙ্গের হেফাজত করে, বিশেষ করে যুবক/যুবতী
অবস্থায় যৌনাঙ্গের হেফাজত করে এবং কোন
প্রকারেই হস্তমৈথুনের চেষ্টা না করে তাহলে সে
জান্নাতে প্রবেশের বিরাট সুযোগ পেয়ে যাবে।
★--হস্তমৈথুন ছাড়ার টিপস :
– কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই
সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে
যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত কোন সময়ে যদি এমন
ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক
পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন বুকডন বা অন্য
কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত
হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে,
ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন।
গোসল করার
সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং
দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে
আসুন।
– মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের
ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে
তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে করবেন।
– যতটা সম্ভব নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন।
– ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনেই নেশা থেকে মুক্তি
পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে
যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়।
মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হ
তাশ হয়ে সব
ছেড়ে দেবেন না। চেষ্টা করে যান।
– যে কোন উপায়ে পর্ণমুভি আর চটি এড়িয়ে চলুন।
– কম্পিউটারে পর্ণ দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন
করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন যাতে অন্যরাও
দেখতে পায় আপনি কী করছেন। এতে পর্ণ সাইটে
ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে।
– যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত
করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে
দূরে থাকুন।
যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য
মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন
থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন। পুড়িয়ে
বা ছিড়ে ফেলুন। হার্ডড্রাইভ বা মেমরি থেকে এক্ষুনি
ডিলিট করে দিন।
ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে
ব্রাউজারে্র প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট
কন্টেন্ট ব্লক করে দিন। কোন সেক্স টয় থাকলে
এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন।
– যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি
বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে
চলুন।
– হস্তমৈথুনে চরমভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা
থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময়
কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে
আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে
একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে
গিয়ে সময় কাটাতে পারেন।
– সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। কিছু করার না থাকলে
মুভি দেখুন বা বই পড়ুন।
– ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা
ভুলিয়ে দেবে।
– সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে
চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না।
– ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম
টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না করে
পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।
– যখন তখন বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে অন্যদের
সঙ্গ নিয়ে বসুন।
– বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে
চেষ্টা করুন।
– যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য
কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।
– বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান।
– ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম
করতে পারেন।
– নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন, আপনার সাথে যারা
আছে তাদের কথা ভাববেন।
– ফোনসেক্স এড়িয়ে চলুন
– অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন না। রাতের বেলা
হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার করুন।
বা দরজা
জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান।
যখন
দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে
পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য
নেয়া যায়। এখানে লজ্জার কিছু নাই।
– উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।
– বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না।
– গার্লফ্রেণ্ড বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে,
নির্জনে বসে প্রেমালাপ করবেন না।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment