Monday, September 12, 2016

রাসুল (সাঃ)তার রওজা শরীপে স্বশরীরে জীবিত থাকার প্রমান।

বর্তমানে আমাদের সমাজে কিছু লোককে বলতে শুনা যায় যে রাসুল (সাঃ)তার রওজায় স্বশরীরে জীবিত নেই এবং আরেক দলকে বলতে শুনা যায় যে রাসুল (সাsmile মৃত্যুবরণই করেন নি।এই উভয় গ্রুপই ভুলের মধ্যে আছে বরং সঠিক মাসআলা হচ্ছে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ইনতেকাল করেছেন এটা যেমন অকাট্য সত্য তেমনি রাসুল (সাsmile ইন্তেকালের পর কবরের জগতে স্বশরীরে জিবীত রয়েছে এটাও সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত।নিম্নে রাসুল (সাঃ) যে তার রওজায় স্বশরীরে জিবীত এ সম্পর্কে কয়েকখানা দলিল পেশ করা হল- ★ইবনে মাজাহ শরিপ হাদিস নং ১৬৩২- ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺍﻟﺪﺭﺩﺍﺀ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃﻛﺜﺮﻭﺍ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻠﻲ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ﻓﺈﻧﻪ ﻣﺸﻬﻮﺩ ﺗﺸﻬﺪﻩ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﻭﺇﻥ ﺃﺣﺪﺍ ﻟﻦ ﻳﺼﻠﻲ ﻋﻠﻲ ﺇﻻ ﻋﺮﺿﺖ ﻋﻠﻲ ﺻﻼﺗﻪ ﺣﺘﻰ ﻳﻔﺮﻍ ﻣﻨﻬﺎ ﻗﺎﻝ ﻗﻠﺖ ﻭﺑﻌﺪ ﺍﻟﻤﻮﺕ ﻗﺎﻝ ﻭﺑﻌﺪ ﺍﻟﻤﻮﺕ ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺣﺮﻡ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﺭﺽ ﺃﻥ ﺗﺄﻛﻞ ﺃﺟﺴﺎﺩ ﺍﻷﻧﺒﻴﺎﺀ ﻓﻨﺒﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺣﻲ ﻳﺮﺯﻕ অর্থাৎ হযরত আবুদ দারদা রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,রাসুল সাঃ বলেন,তোমরা শুক্রবারে আমার উপরে বেশি বেশি দরুদ শরিপ পাঠ কর।কেননা শুক্রবারে আল্লাহর অগনিত ফেরেশতা তোমাদের নিকট উপস্হিত হয়।আর তোমাদের যেকোন লোক আমার উপরে দরুদ পড়ার সাথে সাথেই আমার কাছে পোঁছিয়ে দেওয়া হয়।রাবী বলেন ,আমি রাসুল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম,আপনার মৃত্যুর পরেও কি আপনার কাছে দরুদ পোঁছানো হবে?তখন রাসুল সাঃ বলেন হ্যাঁ আমার মৃত্যুর পরও আমার কাছে দরুদ পোঁছানো হবে।আর জেনে রাখ,আল্লাহ তায়ালা জমিনের উপর নবীদের দেহ হারাম করে দিয়েছেন।সুতরাং আল্লাহর নবী জীবিত এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে রিজিকপ্রাপ্ত হয়। উপরের হাদিস দ্বারা বুঝা যায় যে রাসুল সাঃ সহ সমস্ত নবীগনই কবর জগতে জীবিত। ★আবু দাউদ শরিপ ১৫৩১ নং হাদিস এসেছে, قال النبي صلي الله عليه و سلم,ﺇﻥ ﺃﻓﻀﻞ ﺃﻳﺎﻣﻜﻢ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ، ﻓﻴﻪ ﺧُﻠق ﺁﺩﻡ ، ﻭﻓﻴﻪ ﻗﺒِﺾ ، ﻭﻓﻴﻪ ﺍﻟﻨﻔﺨﺔ ، ﻭﻓﻴﻪ ﺍﻟﺼﻌﻘﺔ ، ﻓﺄﻛﺜﺮﻭﺍ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﻴﻪ ، ﻓﺈﻥ ﺻﻼﺗﻜﻢ ﻣﻌﺮﻭﺿﺔ ﻋﻠﻲّ ‏» ﻗﺎﻟﻮﺍ: ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ! ﻭﻛﻴﻒ ﺗُﻌﺮﺽ ﺻﻼﺗﻨﺎ ﻋﻠﻴﻚ ، ﻭﻗﺪ ﺃﺭﻣﺖَ ‏( ﻗﺎﻝ: ﻳﻘﻮﻟﻮﻥ:ﺑَﻠﻴﺖَ ‏) ، ﻗﺎﻝ : ‏« ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺣﺮﻡ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﺭﺽ ﺃﺟﺴﺎﺩ ﺍﻷﻧﺒﻴﺎء অর্থাৎ রাসুল( সাঃ) বলেন,নিশ্চয় সবচেয়ে সম্মানিত দিন হচ্ছে শুক্রবার দিন।কারন এ দিনে হযরত আদম আঃ কে সৃষ্টি করা হয়েছে ,এ দিনেই আদমের মৃত্যু হয়েছে, এ দিনেই শৃংগায় ফুঁ দেওয়া হবে,এবং এ দিনেই কিয়ামত হবে।সুতরাং তোমরা এই দিনে বেশি বেশি করে দরুদ পড়।কেননা তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।সাহাবিরা বলল,হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ ) আপনি যখন মৃত্যুবরণ করবেন এবং আপনার শরীর গলে যাবে তখন কিভাবে আপনার কাছে আমাদের দরুদ পোঁছানো হবে?তখন রাসুল সাঃ বলেন,নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা জমিনের উপর নবীদের দেহ খাওয়াকে হারাম করে দিয়েছেন। এ হাদিস দ্বারাও বুঝা যাচ্ছে রাসুল সাঃ সহ সমস্ত নবীরাই কবরে স্বশরীরে বিদ্যমান আছেন। ★সহীহ মুসলিম হাদিস নং ২৩৭৫, ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ r ﻗﺎﻝ " : ﻣﺮﺭﺕ ﻋﻠﻰ ﻣﻮﺳﻰ ﻭﻫﻮ ﻳﺼﻠﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ " ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻋﻨﺪ ﻛﺜﻴﺐ ﺍﻷﺣﻤﺮ ﻭﻫﻮ ﻗﺎﺋﻢ ﻳﺼﻠﻲ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ } অর্থাৎ রাসুল সাঃ বলেন, আমি (মিরাজের রাত্রিতে)কাসিবুল আহমার নামক স্হানে মুসা আঃ কে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে দেখেছি। এ হাদিস দ্বারাও বুঝা যাচ্ছে যে,মুসা নবী কবরে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতেছেন কারন তিনি কবরে জিবীত আছেন। তাহলে দেখুন মুসা আঃ এর যদি এ অবস্হা হয় আমাদের নবীর কি অবস্হা হবে? ★আরেক খানা হাদিসে এসেছে, ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ‏( ﺍﻷﻧﺒﻴﺎﺀ ﺃﺣﻴﺎﺀ ﻓﻲ ﻗﺒﻮﺭﻫﻢ ﻳﺼﻠﻮﻥ ‏) ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ ﻓﻲ ﺣﻴﺎﺓ ﺍﻷﻧﺒﻴﺎﺀ ﻓﻲ ﻗﺒﻮﺭﻫﻢ ‏[ ﺹ 2 ﺻﺤﺤﻪ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ } ﺍﻟﺴﻠﺴﻠﺔ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ 2/187 ‏(অর্থাৎ হযরত আনাস( রাঃ )থেকে বর্ণিত,রাসুল সাঃ বলেন,সমস্ত নবীগন তাদের কবরে জীবিত ,তারা কবরে নামাজ পড়তেছে। এ হাদিস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, সমস্ত নবীগন কবরে কবর জগতে জীবিত আছে।আর আমাদের নবী সমস্ত নবীদের সরদার সে হিসেবে উনার শানও সমস্ত নবীদের থেকে বেশি হবে।

No comments:

Post a Comment