This blog related islamic lecture,islamic essay,islamic debate and other islamic activities.
Monday, September 12, 2016
পাঁ ছুয়ে সালাম করা কি শিরক?একট পর্যালোচনা।
উত্তর:সম্মানিত লোকের কদমবুচি করে সম্মান করা শিরক নয় বরং এটা ইসলামি শরিয়তে সমপুরণরুপে জায়েয।নিচে এ ব্যাপারে হাদিসের দলিল পেশ করা হল-
★ইবনে মাজাহ শরিপ,হাদিস নং-3703عن صفوان بن عسال رض ان قوما من اليهود قبلوا يدا النبي عليه السلام و رجليهঅথাৎ হযরত সাফওয়ান বিন আসসাল রাঃ থেকে বণিত,তিনি বলেন,নিশচয় একদল ইহুদি রাসুল সাঃ এর দুহাত ও দুপায়ে চুম্বন করলেন।এ হাদিস থেকে বুঝা যায় কদমবুচি করা জায়েয ।এটা যদি শিরক হইত তাহলে রাসুল সাঃ ইহুদেরকে এই শিরকি কাজ থেকে বাধা দিতেন।এ হাদিসখানা ইমাম তিরমিজি রঃ আরও বিস্তারিতভাবে তার জামিউত তিরমিজিতে উললেখ করেছেন।হাদিসখানা উল্লেখ্ করার পর ইমাম তিরমিজি রঃ বলেছেন-هذا حديث حسن صحيحঅথাৎ এ হাদিসখানা হাসান,সহীহ।(তিরমিজি হাদিস নং-2733)
*আবু দাউদ শরিপ হাদিস নং-5225عن زارع رض قال لما قدمنا المدينۃ فجعلنا نتبادر من رواحلنا فنقبل يد رسول الله عليه السلام ورجليهঅথাৎ হযরত জারে রাঃ থেকে বণিত,তিনি বলেন,আমরা মদিনা শরিপ পোঁছে তাড়াহুড়া করে ছাওয়ারি হতে অবতরণ করে হুযুর সাঃ এর হাত পা চুম্বন করতে লাগলাম।এ হাদিস থেকেও বুঝা যায় কদমবুচি করা রাসুল সাঃ জায়েয করে গেছেন।কেননা রাসুল সাঃকে হযরত জারে সহ অনেক সাহাবি কদমবুচি করলেন কিনতু রাসুল সাঃ তাদেরকি নিষেধ করেন নি।
*ইমাম বুখারি রঃ এর লিখিত ,الاداب المفرد,হাদিস নং976قال الاوزاعي بن عامر رض قدمنا فاخبرنا ان هذا رسول الله عليه السلام فقبلنا يداه و قدمهঅথাৎ হযরত আওযায়ি ইবনর আমের রাঃ থেকে বণিত,তিনি বলেন,আমরা আগমন করলাম।অতপর আমরা জানলাম যে উনি হচছে আল্লাহর রাসুল সাঃ।অতপর আমরা তার হাতে ও পায়ে চুম্বন করলাম।
*ইমাম বাজজার রঃ এর লিখিত কিতাব, মুসনাদে বাজজার হাদিস নং4450عن عبد الله بن بريدۃ رض عن ابيه قال جاء رجل الي النبي عليه السلام فقال ارني ايۃ قال اذهب الي تلك الشجرۃ فادعها فذهب اليها فقال ان رسول الله عليه السلام يدعوك فمالت علي كل جانب منها حتي قلعت عروقها ثم اقبلت حتي جاءت الي رسول الله عليه السلام فامرها رسول الله ان ترجع فقام الرجل فقبل راسه و يديه و رجليه و اسلمঅথাৎ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদাহ রাঃ তার পিতা থেকে বরণনা করেন,তিনি বলেন,এক ব্যকতি রাসুল সাঃ এর নিকট এসে বললেন,আমাকে
কিছু নিদশন দেখান।রাসুল সাঃ তাকে বললেন,ঐ গাছের নিকট গিয়ে তাকে আমার কাছে ডেকে আন।লোকটি গাছের নিকট গিয়ে গাছকে উদ্যেশ্যে করে বললেন,রাসুল সাঃ তোমাকে ডাকতেছেন।গাছটি সাথে সাথে সমূলে রাসুল সাঃ এর নিকট আসল।অতপর রাসুল সাঃ গাছটিকে আবার স্বসানে ফিরে যাওয়ার নিদেশ দিলেন।রাসুল সাঃ এর এ মুজেজাটি দেখে লোকটি রাসুল সাঃ এর মাথা,দুহাত,দুপায়ে চুম্বন করলেন এবং ইসলাম গ্রহন করলেন।উপরের এই দুই হাদিস দারাও বুঝা গেল কদমবুচি জায়েয।
*শুধু রাসুল সাঃ নয়,সাহাবাদের মধ্যেও এ কদমবুচির প্রচলন ছিল।যেমন ইমাম বুখারির الاداب المفرادকিতাবের975নং হাদিসে এসেছে عن صهيب رض رايت عليا يقبل يد العباس و رجليهঅথাৎ-হযরত সুহাইব রাঃ থেকে বণিত,তিনি বলেন,আমি হযরত আলি রাঃ কে হযরত ইবনে আব্বাসের হাত ও পায়ে চুম্বন করতে দেখেছি।
উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেল,কদমবুচির আমলটি রাসুলের যুগ থেকেই প্রমানিত।যারা এটাকে শিরক বলতে চান তাদেরকে বলব,কোন জায়েয কাজকে বিনা প্রমানে শিরক বললে শরিয়তে তার কি হুকুম আপনারাই চিনতা করুন।অনেকে যুক্তি দেখায়,কদমবুচির সময় মাথা জুকে যায় এ জন্য এটা শিরকের সাথে মিল রাখে। তাদেরকে বলব যে যেখানে রাসুলের হাদিস আছে সেখানে যুক্তি অচল।
উল্লেখ্য:কদমবুচি করা সুননাতে রাতিবা নয়।সুতরাং এটাকে সবসময়ের অভ্যাসে পরিনত করা ঠিক নয়।বরং এটা হল জায়েযের মাসআলা।যারা এটাকে শিরক বলে এবং যারা এটাকে ওয়াজিব মনে করে উভয়েই ভুল বিশাসে আছে।উপমহাদেশের অন্যতম ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ গাঙ্গুয়ি রঃও তার লিখিত কিতাব ফতোয়ায়ে রশিদিয়া আকসির ৫৪৫ পৃষ্টায় কদমবুচি জায়েযের ফতোয়া দিয়ে গেছেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment