সৃষ্টির শুরু থেকেই আল্লাহ তায়ালা নর ও নারীর মধ্যে করে দিয়েছেন এক বিশেষ আকর্ষন।যে আকর্ষনের প্রভাবেই তারা পরস্পরের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে অথবা বিভিন্ন কুকর্মে লিপ্ত হচ্ছে।বর্তমানে এ ফেতনার জামানায় একজন স্বতিসাদ্দী নারী খুজে পাওয়া বড়ই দুষ্কর হয়ে গেছে।পবিত্র কোরআন ও হাদিসে সতীসাদ্দী নারীদের কিছু বিশেষ গুনাগুন উল্লেখ করা হয়েছে। নিন্মে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হল-
★আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা রুমের 21নং আয়াতে ইরশাদ করেন,
, ﻭَﻣِﻦْ ﺁَﻳَﺎﺗِﻪِ ﺃَﻥْ ﺧَﻠَﻖَ ﻟَﻜُﻢْ ﻣِﻦْ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻜُﻢْ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟًﺎ ﻟِﺘَﺴْﻜُﻨُﻮﺍ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ ﻭَﺟَﻌَﻞَ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْﻣَﻮَﺩَّﺓً ﻭَﺭَﺣْﻤَﺔً
অর্থাৎ আল্লাহর নিদর্শনের মধ্য একটি নিদর্শন হচ্ছে,তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তাদের দ্বারা প্রশান্তি লাভ করতে পার এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক মহব্বত ও রহমত ঢেলে দিয়েছেন।
উপরের আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে,যে সমস্ত মহিলাদের সোন্দর্য,কথাবার্তা,ও চরিত্র দ্বারা পুরুষরা মানসিকভাবে প্রশান্তি লাভ করে এ সমস্ত মহিলারা আল্লাহ তায়ালার বিশেষ নিদর্শন।
★রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻣﺘﺎﻉ ﻭﺧﻴﺮ ﻣﺘﺎﻉ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺍﻟﺼﺎﻟﺤﺔ অর্থ এ পৃথিবীর সমস্ত নেয়ামতই সম্পদ।আর এ সম্পদগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী (মুসলিম শরীপ1467) এ হাদিস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে একজন নেককার মহিলা মুসলিম পুরুষদের জন্য এ দুনিয়ায় সবচেয়ে দামি সম্পদ।
★শুধু তাই নয় রাসুলুল্লাহ (সা:) এক হাদিসে একজন নেককার রমনীকে তাকওয়ার পর দুনিয়ায় সর্বোত্তম জিনিস হিসেবে উল্লেখ করেছেন।যেমন রাসুলুল্লাহ (সা:) এরশাদ করেন,
ﻣﺎ ﺍﺳﺘﻔﺎﺩ ﺍﻟﻤﺆﻣﻦ ﺑﻌﺪ ﺗﻘﻮﻯ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺧﻴﺮﺍ ﻣﻦ ﺯﻭﺟﺔ ﺻﺎﻟﺤﺔ، ﺇﻥ ﺃﻣﺮﻫﺎ ﺃﻃﺎﻋﺘﻪ، ﻭﺇﻥ ﻧﻈﺮ ﺇﻟﻴﻬﺎ ﺳﺮﺗﻪ، ﻭﺇﻥ ﺃﻗﺴﻢ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺃﺑﺮﺗﻪ، ﻭﺇﻥ ﻏﺎﺏ ﻋﻨﻬﺎ ﻧﺼﺤﺘﻪ ﺃﻭ ﺣﻔﻈﺘﻪ ﻓﻲ ﻧﻔﺴﻬﺎ ﻭﻣﺎﻟﻪ (ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ 1857)
অর্থাৎ-তাকওয়ার পর একজন মুমিনের নিকট কল্যানময় জিনিস হচ্ছে,একজন নেককার মহিলা অর্থাৎ যে মহিলার ভিতরে চারটি গুন পাওয়া যাবে।যথা-
1-যদি তাকে স্বামী কোন নেক কাজের নির্দেশ দেয় তার সামর্থ অনুযায়ি স্বামীর নির্দেশকে মান্য করে।
2-যদি তার দিকে স্বামী দৃষ্টি দেয়,(তার সোন্দর্য,ব্যবহার,ও কথাবার্তায় )স্বামীকে আনন্দিত করে।
3-যদি স্বামী তার কাছে কোন কিছু চায় তার সাধ্যানুযায়ী স্বামীর চাহিদাকে পুরন করে।
4-আর স্বামী যদি কখনও তার থেকে অনুপস্থিত থাকে,তার অনুপস্থিতে ঐ মহিলা তার নিজের ইজ্জত আব্রু ও স্বামীর সম্পদের হেফাজত করে।
সুতরাং আমাদের প্রত্যেকেরই বিয়ে সাদী করার সময় চিন্তাভাবনা করা উচিৎ যে,কোন ধরনের মহিলাদেরকে আমরা নিজের সঙ্গিনী হিসেবে গ্রহন করতেছি।সে কি নেককার নাকি বদকার?
রাসুলুল্লাহ (সা:) এক হাদিসে ইরশাদ করেন,
ﺗُﻨْﻜَﺢُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻟِﺄَﺭْﺑَﻊٍ : ﻟِﻤَﺎﻟِﻬَﺎ ، ﻭَﻟِﺤَﺴَﺒِﻬَﺎ ، ﻭَﻟِﺠَﻤَﺎﻟِﻬَﺎ ، ﻭَﻟِﺪِﻳﻨِﻬَﺎ ﻓَﺎﻇْﻔَﺮْ ﺑِﺬَﺍﺕِ ﺍﻟﺪِّﻳﻦِ ﺗَﺮِﺑَﺖْ ﻳَﺪَﺍ
অর্থাৎ মহিলাদেরকে চারটি দিক বিবেচনা করে বিয়ে করা হয়। যথা-
1-তার ধন সম্পদকে বিবেচনা করে।
2-তার বংশ মর্যাদাকে বিবেচনা করে।
3-তার সোন্দর্যকে বিবেচনা করে।
4-তার ধার্মিকতাকে বিবেচনা করে। তুমি ধার্মিকতার দিকটি বেশি গুরুত্ব দাও এটার বিনিময়ে তোমার জীবন সোভাগ্যবান হবে।(বুখারী শরীপ হাদিস নং 4802)
এই হাদিস দ্বারা বুঝা যায় যে,বিয়ে সাদীর সময় আমাদেরকে অন্যান্য গুনের পাশাপাশি ধার্মিকতার দিকটি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে আশা করা যায় আমাদের জীবন সৌভাগ্যবান হবে।আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে একজন নেককার স্ত্রী অর্জন করার তাওফিক দান করুক!আমিন!
★আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা রুমের 21নং আয়াতে ইরশাদ করেন,
, ﻭَﻣِﻦْ ﺁَﻳَﺎﺗِﻪِ ﺃَﻥْ ﺧَﻠَﻖَ ﻟَﻜُﻢْ ﻣِﻦْ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻜُﻢْ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟًﺎ ﻟِﺘَﺴْﻜُﻨُﻮﺍ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ ﻭَﺟَﻌَﻞَ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْﻣَﻮَﺩَّﺓً ﻭَﺭَﺣْﻤَﺔً
অর্থাৎ আল্লাহর নিদর্শনের মধ্য একটি নিদর্শন হচ্ছে,তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তাদের দ্বারা প্রশান্তি লাভ করতে পার এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক মহব্বত ও রহমত ঢেলে দিয়েছেন।
উপরের আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে,যে সমস্ত মহিলাদের সোন্দর্য,কথাবার্তা,ও চরিত্র দ্বারা পুরুষরা মানসিকভাবে প্রশান্তি লাভ করে এ সমস্ত মহিলারা আল্লাহ তায়ালার বিশেষ নিদর্শন।
★রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻣﺘﺎﻉ ﻭﺧﻴﺮ ﻣﺘﺎﻉ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺍﻟﺼﺎﻟﺤﺔ অর্থ এ পৃথিবীর সমস্ত নেয়ামতই সম্পদ।আর এ সম্পদগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী (মুসলিম শরীপ1467) এ হাদিস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে একজন নেককার মহিলা মুসলিম পুরুষদের জন্য এ দুনিয়ায় সবচেয়ে দামি সম্পদ।
★শুধু তাই নয় রাসুলুল্লাহ (সা:) এক হাদিসে একজন নেককার রমনীকে তাকওয়ার পর দুনিয়ায় সর্বোত্তম জিনিস হিসেবে উল্লেখ করেছেন।যেমন রাসুলুল্লাহ (সা:) এরশাদ করেন,
ﻣﺎ ﺍﺳﺘﻔﺎﺩ ﺍﻟﻤﺆﻣﻦ ﺑﻌﺪ ﺗﻘﻮﻯ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺧﻴﺮﺍ ﻣﻦ ﺯﻭﺟﺔ ﺻﺎﻟﺤﺔ، ﺇﻥ ﺃﻣﺮﻫﺎ ﺃﻃﺎﻋﺘﻪ، ﻭﺇﻥ ﻧﻈﺮ ﺇﻟﻴﻬﺎ ﺳﺮﺗﻪ، ﻭﺇﻥ ﺃﻗﺴﻢ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺃﺑﺮﺗﻪ، ﻭﺇﻥ ﻏﺎﺏ ﻋﻨﻬﺎ ﻧﺼﺤﺘﻪ ﺃﻭ ﺣﻔﻈﺘﻪ ﻓﻲ ﻧﻔﺴﻬﺎ ﻭﻣﺎﻟﻪ (ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ 1857)
অর্থাৎ-তাকওয়ার পর একজন মুমিনের নিকট কল্যানময় জিনিস হচ্ছে,একজন নেককার মহিলা অর্থাৎ যে মহিলার ভিতরে চারটি গুন পাওয়া যাবে।যথা-
1-যদি তাকে স্বামী কোন নেক কাজের নির্দেশ দেয় তার সামর্থ অনুযায়ি স্বামীর নির্দেশকে মান্য করে।
2-যদি তার দিকে স্বামী দৃষ্টি দেয়,(তার সোন্দর্য,ব্যবহার,ও কথাবার্তায় )স্বামীকে আনন্দিত করে।
3-যদি স্বামী তার কাছে কোন কিছু চায় তার সাধ্যানুযায়ী স্বামীর চাহিদাকে পুরন করে।
4-আর স্বামী যদি কখনও তার থেকে অনুপস্থিত থাকে,তার অনুপস্থিতে ঐ মহিলা তার নিজের ইজ্জত আব্রু ও স্বামীর সম্পদের হেফাজত করে।
সুতরাং আমাদের প্রত্যেকেরই বিয়ে সাদী করার সময় চিন্তাভাবনা করা উচিৎ যে,কোন ধরনের মহিলাদেরকে আমরা নিজের সঙ্গিনী হিসেবে গ্রহন করতেছি।সে কি নেককার নাকি বদকার?
রাসুলুল্লাহ (সা:) এক হাদিসে ইরশাদ করেন,
ﺗُﻨْﻜَﺢُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓُ ﻟِﺄَﺭْﺑَﻊٍ : ﻟِﻤَﺎﻟِﻬَﺎ ، ﻭَﻟِﺤَﺴَﺒِﻬَﺎ ، ﻭَﻟِﺠَﻤَﺎﻟِﻬَﺎ ، ﻭَﻟِﺪِﻳﻨِﻬَﺎ ﻓَﺎﻇْﻔَﺮْ ﺑِﺬَﺍﺕِ ﺍﻟﺪِّﻳﻦِ ﺗَﺮِﺑَﺖْ ﻳَﺪَﺍ
অর্থাৎ মহিলাদেরকে চারটি দিক বিবেচনা করে বিয়ে করা হয়। যথা-
1-তার ধন সম্পদকে বিবেচনা করে।
2-তার বংশ মর্যাদাকে বিবেচনা করে।
3-তার সোন্দর্যকে বিবেচনা করে।
4-তার ধার্মিকতাকে বিবেচনা করে। তুমি ধার্মিকতার দিকটি বেশি গুরুত্ব দাও এটার বিনিময়ে তোমার জীবন সোভাগ্যবান হবে।(বুখারী শরীপ হাদিস নং 4802)
এই হাদিস দ্বারা বুঝা যায় যে,বিয়ে সাদীর সময় আমাদেরকে অন্যান্য গুনের পাশাপাশি ধার্মিকতার দিকটি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে আশা করা যায় আমাদের জীবন সৌভাগ্যবান হবে।আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে একজন নেককার স্ত্রী অর্জন করার তাওফিক দান করুক!আমিন!

No comments:
Post a Comment